আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
193 views
in সালাত(Prayer) by (19 points)
ألسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَ رَحْمَةُ اللّٰهِ وَ بَرَكَاتُهٗ

প্রশ্নঃ শায়খ, আমার পূর্বে কয়েক বছরের নামাজ কাজা রয়েছে। এরপর দ্বীনের বুঝ আসার পর থেকে নামাজ পড়ে আসছি। আমি বইয়ে পড়েছি কারো জিম্মায় ৬ ওয়াক্তের কম কাজা থাকলে সেটা আগে আদায় করে চলমান ওয়াক্তের নামাজ পড়তে হবে।
এখন আমার যদি ৩/৪/৫ ওয়াক্ত নামাজ কখনও কাজা হয় তাহলে আমারও কি কাজা টা আগে আদায় করে চলমান ওয়াক্তের নামাজ পড়তে হবে?  আমার যেহেতু পূর্বে অনেক উমরি কাজা আছে তাহলে তো আমার ৩/৪/৫ ওয়াক্তের কাজা টা পূর্বের উমরি কাজার সাথে add হয়ে অনেক ওয়াক্ত হচ্ছে । আমি ৩/৪/৫ ঐ ওয়াক্তের কাজা না পড়ে চলমান ওয়াক্তের নামাজ টা পড়তে পারব?

جَزَاكَ اللّٰهُ خَيْرًا

1 Answer

0 votes
by (59,970 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

নামাজ ত্যাগ অনেক মারাত্মক গুনাহ।

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ أَوْصَانِي خَلِيلِي ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ " وَلاَ تَتْرُكْ صَلاَةً مَكْتُوبَةً مُتَعَمِّدًا فَمَنْ تَرَكَهَا مُتَعَمِّدًا فَقَدْ بَرِئَتْ مِنْهُ الذِّمَّةُ وَلاَ تَشْرَبِ الْخَمْرَ فَإِنَّهَا مِفْتَاحُ كُلِّ شَرٍّ " .

আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার প্রিয় বন্ধু (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে এই উপদেশ তুমি স্বেচ্ছায় ফরয নামায ত্যাগ করো না। যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় তা ত্যাগ করে তারথেকে (আল্লাহর ) যিম্মদারি উঠে যায়। তুমি মদ্যপান করো না। কেননা তা সর্বপ্রকার অনিষ্টের চাবিকাঠি। (সুনানে ইবনে মাজাহ ৪০৩৪)

 

অধিক কাযা নামাজ তারতীবকে রহিত করে দেয়। ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে আছে-

حتي ترك صلاة شهر ثم قضي ثلاثين فجر ثم ثلاثين ظهرا ثم هكذا صح

মর্মার্থ: কারোর যদি এক মাসের নামাজ কাযা হয়ে যায়। অত:পর সে ত্রিশ দিনের ফজরের নামাজ কাযা করে তারপর জহর…তাহলে তা সহীহ আছে। ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/১৮৩

আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/25597/

 

https://ifatwa.info/5512/?show=5512#q5512  নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,

বালিগ হওয়ার পর যার জীবনে ছয় ওয়াক্তের বেশী নামায কা'যা হয়নি, সেই ব্যক্তিই সাহেবে তারতীব। সুতরাং কেউ যদি টানা কয়েক বছর নামায না পড়ে তাকে এবং পরবর্তীতে নিয়মিত নামায পড়া শুরু করে, এবং তখন ১/২ ওয়াক্ত নামায কা'যা হয়,তাহলে ঐ ব্যক্তি সাহেবে তারতীব হবে না। কেননা ঐ ব্যক্তির অধীনে বা জিম্মায় অসংখ্যাত  নামায কা'যা রয়েছে। তাই ঐ ব্যক্তিকে সাহেবে তারতীব বলা যাবে না। সাহেবে তারতীব হওয়ার জন্য ছয় ওয়াক্তের বেশী নামায কাযা হতে পারবে না বা জিম্মায় থাকতে পারবে না।

 

যদি কারো অনেক নামায কা'যা থাকে, এবং ঐ ব্যক্তি কা'যা আদায় করতে করতে ছয় ওয়াক্তের কম নামায তার জিম্মায় বাকী থাকে, তাহলে কি সে সাহেবে তারতীব হবে?

এ সম্পর্কে দু ধরণের বক্তব্য পাওয়া যায়, বিশুদ্ধ কথা হল, ঐ ব্যক্তিও সাহেবে তারতীব হিসেবে গণ্য হবে।

 

সাহেবে তারতীব ব্যক্তির জন্য তারতীব রক্ষা করা ওয়াজিব। অর্থাৎ প্রথমে কাযা নামায গুলো ধারাবাহিক আদায় করতে হবে। তারপর ওয়াক্তের নামায আদায় করতে হবে। উল্টো করলে ওয়াজিব তরকের গোনাহ হবে।

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি সাহেবে তারতীব হবেন না কারণ, ইতিপূর্বে আপনার অনেক নামাজ কাযা আছে তাই কখনো এক/দুই ওয়াক্ত নামাজ কাযা হয়ে গেলেও আপনি চলমান ওয়াক্তের ফরজ নামাজ পড়তে পারবেন এতে কোনো সমস্যা নেই তবে অবশ্যই সময় সুযোগ করে অতীতের ছুটে যাওয়া নামাজগুলো কাযা করে নিবেন

উমরী কাযা সম্পর্কে জানুন- https://ifatwa.info/50083?show=50103#a50103


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 614 views
...