আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
218 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
recategorized by
আমি যদি এখন শুধু মাত্র নিজের পরিবার  এবং আমার একটি আত্মীয়ের পরিবার সহ বিয়ে করি কিন্তু মেয়েটির সাথে বর্তমানে সংসার না করে ২ বছর পড় মেয়েটিকে ইন শা আল্লাহ নিজের ঘরে তুলি আমার পড়াশোনা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত এবং ২ বছর হওয়ার পূর্বে আমি হয়তো ওকে ভরণপোষণ ও দিবোনা(চাকরী পাওয়ার আগ পর্যন্ত),সে নিজের বাড়িতে থাকবে এইভাবে কথাবার্তা বা শর্তসাপেক্ষে বিয়ে হলে কি কোনো গুনাহ হবে আমার?ইন শা আল্লাহ ওয়ালিমা যদি আল্লাহ বাঁচাইয়া রাখেন ২ বছর পড় করি এতে সমস্যা আছে কিনা?এবং তখন আমার বিবাহ করলে কোনো সমস্যা আছে কিনা?মানে দুইবার বিয়ে করলে একই মানুষকে এতে সমস্যা হবে কিনা?
আর মেয়ের বাড়ির এলাকার মসজিদে বিয়ের খুতবা পড়া হলে কিংবা মেয়ের নিজের বাড়িতে ইমাম এনে বিয়ের খুতবা পড়ালে সমস্যা হবে কিনা?বিয়ের দিন মেয়ের বাড়িতে এভাবেই ওরা খাবারের ব্যবস্তা যদি করেন মানে বিয়ের জন্য ইন শা আল্লাহ আমরা ১০/১৫ জন যদি মেয়ের বাড়িতে খাই কোনো গুনাহ হবে কি?আল্লাহর রহমতে পাত্র এবং পাত্রী জানেন যে মেয়ে পক্ষের থেকে কোনো আয়োজন করার নিয়ম নেই কিন্তু পরিবারের সদস্যদের দ্বীনের জ্ঞান না থাকার কারণে ওরা এইটা না জানার কারণে ওদেরকে বুঝানো হয়তো একটু কঠিন যে মেয়ে পক্ষের কোনো খরচ বা খাবারের আয়োজন করার নিয়ম নেই।এমতাবস্থায় যদি মেয়ের বাড়িতে খাওয়া হয় তাহলে কি পাত্রর এবং পাত্রপক্ষের কোনো গুনাহ হবে?জুলুম এর পর্যায়ে পড়বে কি এটা?আমাদের   দেশের প্রচলিত নিয়মে যে বিবাহ রেজিস্ট্রি করা হয় এবং ৩ বার কবুল বলে বিয়ে সম্পন্ন করা হয় এতে বিয়ে শুদ্ধ হয় কিনা?

জামাতের সালাতে যদি ১ রাকাত,২ রাকাত,৩ রাকাত,বা ৪ রাকাত ই ছুটে যায় অর্থাৎ  ৪ রাকাতের সিজদা পাইলাম বা রুকু পাইলাম না বা রুকুর পড়ে আইসা নামাজ শুরু করসি সিজদা থেকে এমতাবস্থায় ১ রাকাত,২ রাকাত বা ৩ রাকাত বা ৪ রাকাতের বৈঠকের সময় কি তাশাহুদ, দুরুদ পুড়তে হবে?নাকি শুধু তাশাহুদ  পড়বো

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল দু’জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দুই জন মুসলিম স্বাক্ষের সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষে পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে। 

হাদিস শরিফে এসেছে,

عَنْ عَائِشَةَ ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ قَالَ لا نِكَاحَ إِلا بِوَلِيٍّ وَشَاهِدَيْ عَدْلٍ ، وَمَا كَانَ مِنْ نِكَاحٍ عَلَى غَيْرِ ذَلِكَ ، فَهُوَ بَاطِلٌ

আয়শা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্  ﷺ বলেছেন, অভিবাক ও দু’জন ন্যায়পরায়ণ সাক্ষীর উপস্থিতি ব্যতিত বিয়ে শুদ্ধ হয় না। যে বিবাহ অভিবাক ও সাক্ষীর উপস্থিতি ব্যতিত হবে তা বাতিল। (সহিহ ইবন হিব্বান ৪০৭৫)

মেয়ের পক্ষ থেকে মেয়ের বাবা,বা চাচা,মামা কেহ মাহরাম পুরুষ অভিভাবক দের কেহ একজন ওকীল মেয়ের অনুমতি নিয়ে মসজিদে হোক বা বাড়িতেই হোক দু’জন সাক্ষীর সামনে বিবাহ করিয়ে দিবে। তাহলে বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যাবে,এটাই সুন্দর পদ্ধতি,এতে পর্দার কোনো ব্যাঘাত ঘটেনা। 

فى الدر المختار- ( و ) شرط ( حضور ) شاهدين ( حرين ) أو حر وحرتين ( مكلفين سامعين قولهما معا ) (الدر المختار ، كتاب النكاح،-3/9)

অনুবাদ-বিবাহ সহীহ হওয়ার শর্ত হল শরীয়তের মুকাল্লাফ [যাদের উপর শরীয়তের বিধান আরোপিত হয়] এমন দুইজন আযাদ পুরুষ সাক্ষি বা একজন আযাদ পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষি হতে হবে, যারা প্রস্তাবনা ও কবুল  বলার উভয় বক্তব্য স্বকর্ণে উপস্থিত থেকে শুনতে পায়। {আদ দুররুল মুখতার-৩/৯, ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬৮}
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত জায়েজ আছে।
★তবে পরবর্তীতে ২ বছর পর আবার বিবাহ পড়ানোর শরীয়তে কোনো বিধান নেই,এটার কোনো প্রয়োজনও নেই,এতে অপচয় হবে। 
★পাত্রি পক্ষ যদি সন্তুষ্টি চিত্তে খাওয়ায়,তাহলে সমস্যা নেই।
তবে এখানে বেশি মানুষ হলে সাধারণত সন্তুষ্টি চিত্ত থাকেনা,তাই এটা জুলুমেরই অন্তর্ভুক্ত। 
তবে যদি মেয়ে পক্ষ জুলুম মনে না করে,সমাজ বা কাহারো চাপে না খাওয়ায়,বরং নিজ ইচ্ছায় ১০/১৫ জনকে খাওয়ায়, তাহলে নাজায়েজ নয়।

শরীয়তের বিধান হলো বিবাহের পর ওলিমা করা সুন্নাত। 
রুখছতির পর (বাসর রাতের পর) তিন দিনের মধ্যে যেকোনো এক দিন ওলিমা করা সুন্নাত।
(নাজমুল ফাতওয়া ৫/২)

বিস্তারিত জানুনঃ 

তাই বাসর এখন হলে এখনই ওলিমা করা সুন্নাত।
পরে ওলিমা করলে সুন্নাত আদায় হবেনা।
,
★ দেশের প্রচলিত নিয়মে যে বিবাহ রেজিস্ট্রি করা হয় এবং ৩ বার কবুল বলে বিয়ে সম্পন্ন করা হয় এতে বিয়ে শুদ্ধ হয়। 
,
(০২)
ইমামের পিছনে যে ব্যক্তি এক বা ততোধিক রাকাত নামায পড়ে ফেলার পর শরীক হয় উক্ত ব্যক্তিকে ইসলামী ফিক্বহের পরিভাষায় মাসবুক বলে।

মাসবুক ব্যক্তি ইমামের শেষ বৈঠকে প্রথমে তাশাহুদ পড়বে। তারপর কি করবে? এ নিয়ে বেশ কিছু মত পাওয়া যায়। কোন ফক্বীহ বলেছেন-ইমামের সাথে দরূদ ও দুআয়ে মাসুরা পড়বে। কেউ কেউ বলেন-চুপ থকেব। কেউ কেউ বলেন-অন্যান্য দুআয়ে মাসুরা পড়বে। কেউ বলেন-তাশাহুদ আবার পড়বে।

এসকল বক্তব্যের মাঝে সবচে’ অগ্রধিকারপ্রাপ্ত মত হল-মাসবুক ব্যক্তি ইমামের সাথের শেষ বৈঠকে তাশাহুদ ধীরে ধীরে পড়বে। এতটা ধীরে যে, ইমাম সাহেব তাশাহুদ শেষ করে, দরূদ ও দুআয়ে মাসুরাও শেষ করে ফেলতে পারে। তারপর ইমাম সালাম ফিরানোর পর মুনফারিদ তথা একাকি নামায পড়া ব্যক্তির মত বাকি নামায পূর্ণ করবে।

(ফাতওয়ায়ে শামী-২/২২০-২২১.
ফাতওয়ায়ে আলমগীরী-১/৯১.আল বাহরুর রায়েক-১/৮৭৫.ফাতওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/৫৫৯,আহসানুল ফাতওয়া-৩/৩৮১)

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শুধু তাশাহুদ পড়বে,দরুদ বা অন্য দোয়া পড়বেনা।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...