জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল দু’জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দুই জন মুসলিম স্বাক্ষের সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষে পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে।
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ عَائِشَةَ ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ قَالَ لا نِكَاحَ إِلا بِوَلِيٍّ وَشَاهِدَيْ عَدْلٍ ، وَمَا كَانَ مِنْ نِكَاحٍ عَلَى غَيْرِ ذَلِكَ ، فَهُوَ بَاطِلٌ
আয়শা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন, অভিবাক ও দু’জন ন্যায়পরায়ণ সাক্ষীর উপস্থিতি ব্যতিত বিয়ে শুদ্ধ হয় না। যে বিবাহ অভিবাক ও সাক্ষীর উপস্থিতি ব্যতিত হবে তা বাতিল। (সহিহ ইবন হিব্বান ৪০৭৫)
মেয়ের পক্ষ থেকে মেয়ের বাবা,বা চাচা,মামা কেহ মাহরাম পুরুষ অভিভাবক দের কেহ একজন ওকীল মেয়ের অনুমতি নিয়ে মসজিদে হোক বা বাড়িতেই হোক দু’জন সাক্ষীর সামনে বিবাহ করিয়ে দিবে। তাহলে বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যাবে,এটাই সুন্দর পদ্ধতি,এতে পর্দার কোনো ব্যাঘাত ঘটেনা।
فى الدر المختار- ( و ) شرط ( حضور ) شاهدين ( حرين ) أو حر وحرتين ( مكلفين سامعين قولهما معا ) (الدر المختار ، كتاب النكاح،-3/9)
অনুবাদ-বিবাহ সহীহ হওয়ার শর্ত হল শরীয়তের মুকাল্লাফ [যাদের উপর শরীয়তের বিধান আরোপিত হয়] এমন দুইজন আযাদ পুরুষ সাক্ষি বা একজন আযাদ পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষি হতে হবে, যারা প্রস্তাবনা ও কবুল বলার উভয় বক্তব্য স্বকর্ণে উপস্থিত থেকে শুনতে পায়। {আদ দুররুল মুখতার-৩/৯, ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬৮}
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত জায়েজ আছে।
★তবে পরবর্তীতে ২ বছর পর আবার বিবাহ পড়ানোর শরীয়তে কোনো বিধান নেই,এটার কোনো প্রয়োজনও নেই,এতে অপচয় হবে।
★পাত্রি পক্ষ যদি সন্তুষ্টি চিত্তে খাওয়ায়,তাহলে সমস্যা নেই।
তবে এখানে বেশি মানুষ হলে সাধারণত সন্তুষ্টি চিত্ত থাকেনা,তাই এটা জুলুমেরই অন্তর্ভুক্ত।
তবে যদি মেয়ে পক্ষ জুলুম মনে না করে,সমাজ বা কাহারো চাপে না খাওয়ায়,বরং নিজ ইচ্ছায় ১০/১৫ জনকে খাওয়ায়, তাহলে নাজায়েজ নয়।
শরীয়তের বিধান হলো বিবাহের পর ওলিমা করা সুন্নাত।
রুখছতির পর (বাসর রাতের পর) তিন দিনের মধ্যে যেকোনো এক দিন ওলিমা করা সুন্নাত।
(নাজমুল ফাতওয়া ৫/২)
বিস্তারিত জানুনঃ
তাই বাসর এখন হলে এখনই ওলিমা করা সুন্নাত।
পরে ওলিমা করলে সুন্নাত আদায় হবেনা।
,
★ দেশের প্রচলিত নিয়মে যে বিবাহ রেজিস্ট্রি করা হয় এবং ৩ বার কবুল বলে বিয়ে সম্পন্ন করা হয় এতে বিয়ে শুদ্ধ হয়।
,
(০২)
ইমামের পিছনে যে ব্যক্তি এক বা ততোধিক রাকাত নামায পড়ে ফেলার পর শরীক হয় উক্ত ব্যক্তিকে ইসলামী ফিক্বহের পরিভাষায় মাসবুক বলে।
মাসবুক ব্যক্তি ইমামের শেষ বৈঠকে প্রথমে তাশাহুদ পড়বে। তারপর কি করবে? এ নিয়ে বেশ কিছু মত পাওয়া যায়। কোন ফক্বীহ বলেছেন-ইমামের সাথে দরূদ ও দুআয়ে মাসুরা পড়বে। কেউ কেউ বলেন-চুপ থকেব। কেউ কেউ বলেন-অন্যান্য দুআয়ে মাসুরা পড়বে। কেউ বলেন-তাশাহুদ আবার পড়বে।
এসকল বক্তব্যের মাঝে সবচে’ অগ্রধিকারপ্রাপ্ত মত হল-মাসবুক ব্যক্তি ইমামের সাথের শেষ বৈঠকে তাশাহুদ ধীরে ধীরে পড়বে। এতটা ধীরে যে, ইমাম সাহেব তাশাহুদ শেষ করে, দরূদ ও দুআয়ে মাসুরাও শেষ করে ফেলতে পারে। তারপর ইমাম সালাম ফিরানোর পর মুনফারিদ তথা একাকি নামায পড়া ব্যক্তির মত বাকি নামায পূর্ণ করবে।
(ফাতওয়ায়ে শামী-২/২২০-২২১.
ফাতওয়ায়ে আলমগীরী-১/৯১.আল বাহরুর রায়েক-১/৮৭৫.ফাতওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/৫৫৯,আহসানুল ফাতওয়া-৩/৩৮১)
বিস্তারিত জানুনঃ
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শুধু তাশাহুদ পড়বে,দরুদ বা অন্য দোয়া পড়বেনা।