আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
158 views
in পবিত্রতা (Purity) by (55 points)
খেজুরের রস দীর্ঘদিন রেখে দিয়ে সেটা পুরোপুরি ভীষণ ফেনা হয়ে পুরোই গ্যাস হয়ে গেছে, ঢালতে যেয়ে সব জামা কাপরে ছিটে লেগেছে, তাহলে সেই পানি কি নাপাক হবে? সেই লেগে যাওয়া কাপড়ে সালাত আদায় করা যাবে?


খেজুরের রস দীর্ঘদিন রেখে দিলে কি নাপাক হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (676,920 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
পানীয়র মধ্য থেকে চার প্রকারের পানীয় হারাম।যথা-
(১)মদ (الخمر)
আঙ্গুরের কাঁচা রস উথলানোর পর যখন তা গাড়/শক্ত হয়ে উঠে (এমন পর্যায়ে পৌছে যাতে নেশা চলে আসে)।এবং যখন তাতে ফেনা সৃষ্টি হয়।একেই খামর বলে। যার কমবেশি সর্বসম্মতিক্রমে হারাম।
(২)তি'লা (ﺍﻟﻄﻼﺀ)
আঙ্গুরের কাঁচা রস পাকানোর পর যদি দুই তৃতীয়াংশের কম বা দুই তৃতীয়াংশ শুকিয়ে যায়।
এটাও নেশাপ্রবণ। তাই মদের মত এটাও হারাম।এবং এর উপরই ফাতাওয়া।
(৩)নাকীউত তামার (نقيع التمر)
পাকা শুকনা খেজুরের শরাব যা পানিতে ভিজিয়ে করা হয়।
(৪)নাকীউয যাবীব(نقيع الزبيب)
শুকনা কিসমিস কয়েকদিন পর্যন্ত পানিতে ভিজিয়ে রাখার পর যখন তাতে ভাপ সৃষ্টি হয়,তখন একে নাকীউয যাবীব বলা হয়।

প্রথম প্রকার বিধান তো পূর্বেই বর্ণিত হয়েছে।তথা হারাম।এখন বাকী তিন প্রকারেরর হুকুম হল,যদি তা উথলানোর পর যখন তা গাড় বা শক্ত হয়ে উঠে,তাহলে এগুলাও হারাম।নতুবা হারাম হবে না।
আর যদি তাতে ফেনা চলে আসে তবে তা ঐক্যমতে হারাম হবে।উক্ত বিষয়ে সাহাবাইন রাহ এর মতামতের উপর-ই ফাতাওয়া।(তথা ফেনা উঠা শর্ত নয়)(ফাতাওয়ায়ে শা'মী;২/২৫৯)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/165

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
খেজুরের রস দীর্ঘদিন রেখে দিয়ে সেটা পুরোপুরি ভীষণ ফেনা হয়ে পুরোই গ্যাস হয়ে গেছে, ঢালতে যেয়ে সব জামা কাপরে ছিটে লেগেছে, তাহলে সেই পানি নাপাক হিসেবে বিবেচিত হবে।এবং সেই লেগে যাওয়া কাপড়ে সালাত আদায় করা যাবে না।

খেজুরের রস দীর্ঘদিন রেখে দিলে তাতে ফেনা চলে আসলে সেটা নাপাক হিসেবে বিবেচিত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 335 views
0 votes
1 answer 240 views
...