আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
71 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (36 points)
১.আম্মু মারা গেছেন,তার দুয়েকটা ছবি আমি আর ভাইয়া স্মৃতি হিসেবে রেখে দিয়েছি।
আমি আম্মুর মেয়ে হিসেবে এটা রাখতে পারি কি? কোনো গাইরে মাহরাম দেখবে না।

২.ছবি রাখার কারণে কি তার কবরের আজাব হবে?



।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।

1 Answer

0 votes
by (62,960 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

জড়বস্তুর ছবি তোলা ও আঁকায় শরয়ী কোন বিধিনিষেধ নেই। তবে প্রাণীর ছবি আঁকা ও তোলা কোন ভাল কাজ নয়। এতে কোন সন্দেহ নেই। কিছু ছবি আছে, যা পরিষ্কার হারাম ও নাজায়েজ। যেমন ছবি আঁকা, যাদের দেখা জায়েজ নয় তাদের ছবি তোলা।

কিন্তু বর্তমান ডিজিটাল ক্যামেরায় ছবি তোলা, কম্পিউটার ও মোবাইল মেমোরিতে সংরক্ষিত ছবির ব্যাপারে কিছুটা মতভেদ আছে। অনেক বিশেষজ্ঞের মতেই এটি হারাম। তবে কিছু কিছু বিশেষজ্ঞের মতে তা জায়েজ। কিন্তু এটিও যে অনুত্তম এতে কারো কোন দ্বিমত নেই।

স্মৃতি রাখা এটা কোন জরুরী বিষয় নয়। এটি কেবলই অপ্রয়োজনীয় একটি আবেগ। তাই অহেতুক ডিজিটাল ক্যামেরায়ও ছবি তোলা থেকে বিরত থাকা উচিত।

عن سعيد بن أبي الحسن قال : كنت عند ابن عباس رضي الله عنهما إذ أتاه رجل فقال يا أبا عباس إني إنسان إنما معيشتي من صنعة يدي وإني أصنع هذه التصاوير . فقال ابن عباس لا أحدثك إلا ما سمعت رسول الله صلى الله عليه و سلم يقول سمعته يقول ( من صور صورة فإن الله معذبه حتى ينفخ فيها الروح وليس بنافخ فيها أبدا ) . فربا الرجل ربوة شديدة واصفر وجهه فقال ويحك إن أبيت إلا أن تصنع فعليك بهذا الشجر كل شيء ليس فيه روح

হযরত সাঈদ বিন আবিল হাসান রহঃ বলেন, আমি একদা হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রা: এর কাছে ছিলাম। তখন তাঁর কাছে এক ব্যক্তি এলো। লোকটি এসে বলল-‘হে ইবনে আব্বাস! আমার উপার্জনের নির্ভরতা আমার হাতের সৃষ্টির উপর, আমি ছবি আঁকি’। হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রা: বললেন-‘আমি তোমার কাছে সেই কথা বর্ণনা করছি, যা আমি রাসূল সা: কে বলতে শুনেছি, আমি রাসূল সা: কে এটা বলতে শুনেছি যে, যেই ব্যক্তি ছবি বানায়, তাকে আল্লাহ তায়ালা শাস্তি দিতে থাকবেন যতক্ষণ না সে উক্ত ছবিতে প্রাণ দিতে পারে, আর সেই ব্যক্তি কোনদিন তাতে প্রাণ দিতে পারবে না’। একথা শুনে লোকটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। আর তার চেহারা পাংশু হয়ে গেল। তখন হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রা: বললেন-“আরে ভাই! যদি তুমি বানাতেই চাও, তাহলে গাছের ছবি আঁকো। আর প্রত্যেক ঐ বস্তুর ছবি আঁকো, যাতে প্রাণ নেই। {তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-৬৪৩৪, সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২১১২, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদীস নং-২৫৭৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৩৩৯৪, মু’জামে ইবনে আসাকীর, হাদীস নং-১১, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৮৪৮}

عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِى الْحَسَنِ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ فَقَالَ إِنِّى رَجُلٌ أُصَوِّرُ هَذِهِ الصُّوَرَ فَأَفْتِنِى فِيهَا. فَقَالَ لَهُ ادْنُ مِنِّى. فَدَنَا مِنْهُ ثُمَّ قَالَ ادْنُ مِنِّى. فَدَنَا حَتَّى وَضَعَ يَدَهُ عَلَى رَأْسِهِ قَالَ أُنَبِّئُكَ بِمَا سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- يَقُولُ « كُلُّ مُصَوِّرٍ فِى النَّارِ يَجْعَلُ لَهُ بِكُلِّ صُورَةٍ صَوَّرَهَا نَفْسًا فَتُعَذِّبُهُ فِى جَهَنَّمَ ». وَقَالَ إِنْ كُنْتَ لاَ بُدَّ فَاعِلاً فَاصْنَعِ الشَّجَرَ وَمَا لاَ نَفْسَ لَهُ.

হযরত সাঈদ বিন আবুল হাসান বলেন, এক ব্যক্তি হযরত ইবনে আব্বাস রা: এর কাছে এসে বলল, আমি চিত্রকর। এবং চিত্র অংকন করি। অতএব এ সম্পর্কে আমাকে শরীয়তের বিধান বলে দিন। ইবনে আব্বাস রা: বলেন, আমার কাছে আস। সে ব্যক্তি তাঁর কাছে গেল। তিনি পুনরায় বললেন, আমার কাছে আস। সে ব্যক্তি তার এত কাছে গেল যে, ইবনে আব্বাস রা তাঁর হাত ঐ ব্যক্তির মাথার উপর রাখলেন, এবং বললেন, আমি তোমাকে এ সম্পর্কে এমন একটি হাদীস শোনাচ্ছি, যা আমি রাসূল সা: এর কাছে শুনেছি। আমি রাসূল সা: কে বলতে শুনেছি যে, “সকল চিত্রকরই দোযখে যাবে। আর প্রত্যেক চিত্রের পরিবর্তে জীবিত এক ব্যক্তিকে বানানো হবে, যা দোযখে তাকে শাস্তি দেবে”। ইবনে আব্বাস রা: বলেন, যদি তোমাকে এরূপ করতেই হয়, তাহলে গাছ-পালা বা এমন বস্তুর ছবি তৈরি কর যা প্রাণী নয়। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৫৬৬২}

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

১. সর্বোত্তম পন্থা ও তাকওয়ার দাবী হলো কোন ব্যক্তির ছবি অকারণে সংরক্ষন করে না রাখা। ছবি প্রিন্ট করে রাখা জায়েয নেই। তবে কিছু কিছু উলামায়ে কেরাম মোবাইলে রাখলে জায়েয হওয়া কথা বলেছেন। কিন্তু এটিও যে অনুত্তম এতে কারো কোন দ্বিমত নেই।

২. যদি ছবি সংরক্ষনে তার কোন অবদান বা সম্পৃক্ততা না থাকে তাহলে মৃত ব্যক্তির কোন গুনাহ হবে না। তবে যে রাখবে তার গুনাহ হবে। আরো জানুন: https://ifatwa.info/8782/?show=8782#q8782


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...