আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
79 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (31 points)
আমি একটি অনলাইন বিজনেস শুরু করেছি একটি বিদেশি কোম্পানিতে।এটাতে আপনার ৯০ মিনিটের একটি প্রেজেন্টেশন দেখান হয়। এটা আগে থেকেই রেকর্ড করা। এখানে বিভিন্ন বিদেশী মহিলাদের দেখান হয়। তাই পর্দা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। তবে এখানে আমি চাইলে শুধু মহিলাদের ফেসবুকে বা ইন্স্টগ্রামে বা পিন্টারেস্টে advertising করতে পারি। তবে  উনারা যদি উনাদের মাহরামদের নিজে থেকে দেখায় তবে তারা দেখতে পারবেন। অন্যথায় কোন পুরুষ দেখতে পারবেন না। আবার আমাদের যে গ্রুপ আছে ফেসবুকে সেখানে দুটো গ্রুপ একটা সব দেশের নারী পুরুষ মিলিয়ে আরেকটা দেশভিওিক গ্রুপ নারী ও পুরুষের। তো মহিলা ও পুরুষ সবাই পরিচিতির জন্য বিজনেস পেজে নিজেদের ছবি ব্যবহার করে। তো এক্ষেত্রেও পর্দা ভঙ্গ হয়। যদিও আমি আমার ছবি না দিয়ে প্রকৃতির ছবি দেইনি তাতে উনারা বলেছে কোন অসুবিধা হবে না। এমতাবস্থায় আমার করনীয় কী? আমি কী ম্যানেজমেন্টে যোগাযোগ করে এই বিষয়গুলো পরিবর্তনের জন্য বলব? যদি তারা গ্রহন না করেন তবে আমার করনীয় কী? আমি বাইরে কাজ করতে চাই না বলেই এখানে কাজ করতে চাই। যেহেতু আমি আমেরিকায় থাকি এবং আমার কোন মাহরাম পুরুষ নেই আমি এখানে কাজ করাই আমার জন্য বেস্ট। কারন হালাল জব available নেই। তাছাড়া বাইরে পর্দা রক্ষা করা প্রায় অসম্ভব। তাছাড়া আমি অসুস্থ হওয়ায় বাইরে তেমন কাজ করতে পারিনা। আর এখানে ৯০% কাজ কোম্পানির করে দেয়া। আমার শুধু ১০% কাজ করতে হবে এবং টিম গঠনের মাধ্যমে টিম কমিশনও অনেক করা যাবে। তবে কোন কোন মহিলা নেকাব পড়ে শুধু চোখ দেখিয়ে ছবি দেন। এটা কী জায়েজ কিনা? আবার বিজনেজ পেজে উনারা উনাদের দৈনন্দিন বিভিন্ন ভিডিও বা ছবি দেন।তাই অন্য পুরুষদের পর্দা ভঙ্গ হয়।এমতাবস্থায় আমার এখানে কাজ করার বিধান কী? আমার ইনকাম হালাল হবে কিনা? আবার আমি যদি একসময় কাজ করা ছেড়েও দিই তবে আমার অনেক বড় টিম হলে উনারা কাজ করতে থাকলে আমার ইনকাম আসতে থাকবে। তখনও যদি এসব চলতে থাকে আমি বিষয়টা নিয়ে চিন্তিত।                                                             ২। সালাতে সুন্নত সালাতের কী কাযা আছে?                               ৩। নামাযে সাহু সিজদাহ কয়ভাবে করা যায়? যদি বিতর সালাতের তৃতীয় রাকাআতে দোয়া কুনুত পড়েছি কিনা বা আল্লহু আকবর বলে হাত বাঁধতে মনে না থাকে তখন কী সাহু সিজদাহ করব? আবার চার রাকাআত সালাতে চতুর্থ রাকাআতে যদি মনে নাথাকে দরুদে ইব্রাহীম পুরো পড়েছি নাকি অর্ধেক পড়েছি তখনও কী সাহু সিজদাহ দিব?
by (696,320 points)
অনলাইন বিজনেস সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যখ্যা চাচ্ছি

1 Answer

0 votes
by (696,320 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
নারীর জন্য পর্দা করা ফরয।পর্দার সারমর্ম হল,ফি মিক্সিং পরিবেশ থেকে যথাসম্ভব নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা।গায়রে মাহরাম পুরুষ থেকে সর্বদা নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখা।পর্দা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/572

বেগানা নারী-পুরুষ খালওয়াত তথা নির্জনে একাকী অবস্থান করতে পারবে না। হাদীসে একে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে.......
ﻻَ ﻳَﺨْﻠﻮﻥَّ ﺭَﺟُﻞٌ ﺑِﺎﻣْﺮَﺃﺓٍ ﺇِﻻَّ ﻭَﻣَﻌَﻬﺎ ﺫُﻭ ﻣَﺤْﺮَﻡ )
কোনো পুরুষ কোনো মহিলার সাথে মহিলার মাহরাম না থাকা অবস্থায় নির্জনে একাকী বসবাস করতে পারবে না।(সহীহ বুখারী-৫২৩৩;সহীহ মুসলিম-১৩৪১)

স্থান-কাল-পাত্র বেধে সময়ের  প্রয়োজনে ফুকাহায়ে কিরামগন সহজতার স্বার্থে আসল হুকুম থেকে সরে এসে তার বিপরীত সাময়িক হুকুম মাঝেমধ্যে প্রয়োগ করে থাকেন।একেই পরিভাষায় জরুরত বলে। জরুরত বা সময়ের চাহিদায় অনেক বিধিত সিদ্বান্তকে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক পরিবর্তন করে দেয়।
এরকম কিছু ফিকহী মূলনীতি 'উসূলে ফিকহ' এর কিতাবাদিতে সবিস্তারে বর্ণিত আছে,তন্মধ্যে কিছু মূলনীতি হল। যথাক্রমেঃ-
ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
(প্রয়োজন অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে বৈধ করে দেয়)
এটা একাটা নীতিসিদ্ধ মৌলিক ফিকহী ক্বায়দা/ধারা যা কোরআন এবং হাদিসের থেকে চয়ন করা হয়েছে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এখানে অনেক প্রকারের হারাম রয়েছে, তবে যেহেতু ঘরের বাহিরে গিয়ে হারাম জবের চেয়ে এখানের জবটা আপনার জন্য তুলনামূলক কম শরীয়ত বিরোধী।তাই আপনার চাকুরীর ভীষণ প্রয়োজন থাকলে, আপনি উক্ত চাকুরী করতে পারবেন।

(২)
সুন্নত নামাযের কাযা করাও সুন্নত।

(৩)
কি কি কারণে সাহু সিজদা দিতে হবে....
وفي الولوالجية الأصل في هذا أن المتروك ثلاثة أنواع فرض وسنة وواجب ففي الأول أمكنه التدارك بالقضاء يقضي وإلا فسدت صلاته وفي الثاني لا تفسد؛ لأن قيامها بأركانها وقد وجدت ولا يجبر بسجدتي السهو وفي الثالث إن ترك ساهيا يجبر بسجدتي السهو وإن ترك عامدا لا، كذا التتارخانية.
নামাযে ছুটে যাওয়া জিনিষ তিন প্রকার,যথা-(১) ফরয (২) সুন্নত (৩) ওয়াজিব।
যদি নামাযে কোনো ফরয ছুটে যায়, এবং তাকে আদায় করা সম্ভব হয়, তাহলে আদায় করা হবে।আর আদায় করা না হলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
যদি নামাযে সুন্নত ছুটে যায়, তাহলে নামায ফাসিদ হবে না। কেননা নামায মূল রুকুন গুলো পাওয়া গেলেই হল, এবং এগুলো তো পাওয়া গিয়েছে।
আর যদি নামাযে ওয়াজিব ছুটে যায়, যদি ভুলে ছুটে তাহলে সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।আর ইচ্ছাকৃত তরক করলে তখন সিজদায়ে সাহু দ্বারা কাজ হবে না, বরং নামায ফাসিদ হয়ে যাবে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১২৬)

সাহু সিজদার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/897

কুনুত না পড়লে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।তবে কুনুতের পর হাত না বাধলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।কেননা হাত বাধা সুন্নত।

চার রাকাআত সালাতে চতুর্থ রাকাআতে যদি মনে না থাকে যে, দরুদে ইব্রাহীমি সম্পূর্ণটা পড়া হয়েছে কি না? তাহলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।কেননা সন্দেহের দ্বারা কোনো হুকুম আরোপিত হয় না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (696,320 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।অনলাইন বিজনেস সম্পর্কে আপনার ব্যখ্যার প্রয়োজনিয়তা রয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...