জবাবঃ-
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
(০১)
এভাবে আইডি খোলার অনুমতি আছে কিনা,বিষয়টি IOM কর্তৃপক্ষ থেকে জেনে নিবেন।
অনুমতি না থাকলে গুনাহ হবে।
(০২)
এক্ষেত্রেও গুনাহ হবে।
ইনকাম হালাল হবেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৩)
এক্ষেত্রে স্বামী যদি সেই স্ত্রীকে তালাক না দিয়ে সংসার করে, তাহলে স্বামীর গুনাহ হবেনা।
এটি স্বামীর ব্যাক্তিগত বিষয়।
(০৪)
যেকোনো ক্ষেত্রেই চার মাসের বেশি বিদেশ অবস্থান স্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষ।
এমনকি দেশেও যদি কেহ স্ত্রী হতে চার মাসের বেশি দূরে থাকে,সেক্ষেত্রেও এটি স্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষ।
স্বামী-স্ত্রী সর্বদা কাছাকাছি থাকবে, এটাই শরিয়তে কাম্য।
তবে যদি কোনো প্রয়োজনে (যেমন, জেহাদে যাওয়া কিংবা জীবিকা অর্জনের জন্য প্রবাসে যাওয়া) স্বামী দূরে কোথাও যায় তাহলে চার মাসের মধ্যে একবার হলেও স্ত্রীর কাছে ফিরে আসতে হবে।
কারণ নারীরা সাধারণত তাদের স্বামী থেকে চার মাস দূরে থাকতে পারে।
,
হাদিস শরিফে এসেছে,যায়দ বিন আলমাস (রহ.) বলেন,
‘এক রাতে হযরত উমর (রা.) জনগণের খোঁজ-খবর নেয়ার জন্য প্রহরী বেশে বের হয়ে গেলেন। এক বাড়ির পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় তিনি ঘর থেকে নারী কণ্ঠে কবিতা আবৃত্তি শুনতে পেলেন। ঘরের ভিতর এক মহিলা কবিতা আবৃত্তি করছিল। যার অর্থ হলো,রজনী দীর্ঘ হয়েছে এবং তার এক পার্শ কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করেছে। এদিকে দীর্ঘদিন যাবত আমার প্রেমাস্পদ আমার কাছে নেই যে,তার সাথে আমি আমোদ-প্রমোদ করব। আল্লাহর শপথ! যদি এক আল্লাহর ভয় না থাকত তাহলে এ খাটের চার পাশ নড়ে উঠত।
যখন ভোর হলো হযরত উমর (রা.) রাতের কবিতা আবৃত্তিকারিণী মহিলাকে ডেকে আনার নির্দেশ দিলেন। মহিলা খলিফার দরবারে এসে উপস্থিত হলে হযরত উমর (রা.) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন,তুমি কি গত রাতে এ-জাতীয় কবিতা আবৃত্তি করেছিলে? মহিলা বলল,হ্যাঁ।
উমর (রা.) বললেন কেন? উত্তরে মহিলা বলল,দীর্ঘদিন যাবত আমার স্বামী জিহাদের ময়দানে রয়েছে। অথচ এমুহূর্তে তার নৈকট্য পাওয়া আমার একান্ত কাম্য ছিল,তার বিরহেই আমি এমনটি করেছি৷ হযরত উমর (রা.) এ কথা শুনে তখনই ঐ মহিলার স্বামীর নিকট ফিরে আসার নির্দেশনা দিয়ে শাহী ফরমান প্রেরণ করলেন। এরপর তিনি তার কন্যা হযরত হাফসা (রা.) এর নিকট গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন,হে আমার মেয়ে! নারীরা তাদের স্বামী থেকে কতদিন পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করে থাকতে পারে? (প্রজাদের স্বার্থ রক্ষার ইচ্ছা যদি না হত তবে আমি তোমার নিকট এরুপ প্রশ্ন করতাম না) তখন হাফসা (রা.) বললেন,মেয়েরা তাদের স্বামী থেকে চার মাস পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করে থাকতে পারে। এরপর থেকে হযরত উমর (রা.) চার মাস পরপর মুজাহিদ বাহিনীকে ফেরত নিয়ে আসতেন এবং নতুন বাহিনী পাঠিয়ে দিতেন।’ [মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদিস: ১২৫৯৪]
পাপ থেকে হেফাযত এবং পূর্ণ নিরাপত্তার মধ্যে থাকার শর্তে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে পারস্পরিক সম্মতিতে দীর্ঘ সময় দূরে থাকায় শরী‘আতে কোন বাধা নেই। তবে পাপের সাথে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকলে অল্প দিনের জন্য হলেও দূরে থাকা বৈধ নয়।
বিস্তারিত জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে এমন স্ত্রীকে রেখে বিদেশে গেলে স্বামীরও গুনাহ হবে।
প্রশ্নের বিবরণ মতে তার জন্য তার স্ত্রীকে এভাবে দেশে রেখে বিদেশে যাওয়া জায়েজ হবেনা।
(০৫)
শুধুমাত্র কাফেররা চিরস্থায়ী জাহান্নামি।
হারাম ভক্ষণকারী চিরস্থায়ী জাহান্নামী নয়।
শাস্তি ভোগ করে জান্নাতে যাবে। আল্লাহ তায়ালা চাইলে মাফ করে দিয়ে কোনো প্রকার শাস্তি না দিয়েও জান্নাতে দিতে পারেন।
(০৬)
এখন তার থেকে জোর করে টাকা নেওয়া যাবে।
(০৭)
এটা দেখেতে যদি আমলে কাসীর এর ন্যায় না হয়,তথা কেউ পিছনের দিক থেকে দেখলে যদি আপনাকে নামাজের মধ্যে নেই বলে ধারণা করে,তাহলে এতে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সামান্য পা সামনের দিকে বাড়ালে নামাজ ভঙ্গ হবেনা।