আসসালামুয়ালাইকুম। হুজুর, আমি যখন হাছি, বা কাশি দেই কিংবা এমনিতেই উহ আহ শব্দ (অসুস্থ রুগি যেমন করে) কিংবা ঢেকুর গিলি তখন ওই শব্দের চিন্তা আসে(হুজুর বুঝে নিবেন)।
১- হুজুর নিজের কানে স্পষ্ট ওই শব্দ না শোনা পর্যন্ত যেভাবেই শব্দ করে বলি না কেন, আমাদের বৈবাহিক সম্পর্কে সমস্যা হবে?
২- হুজুর, আমার বিবরনে উক্ত চিন্তা আসার কারনে, যদি কোনো শব্দ করি এবং সেই শব্দ স্পষ্ট কানে শুনি কিন্তু ওই শব্দ ( হুজুর বুঝে নিবেন) কানে শুনিনা, এক্ষেত্রে কি কোনো সমস্যা হবে?
৩- হুজুর, কাশতে গেলে বা হাছি দিলে বা ঢেকুর গিললে অনেকটা জিকিরের মতো মনের ভিতর ওই শব্দটা বলতে থাকি, কিন্তু কাশি বা হাছি বা ঢেকুর গিললে, হাছি কাশি ঢেকুর গিলার শব্দ নিজের কানে শুনি, কিন্তু আবার ওই শব্দটা নিজের কানে স্পষ্ট শুনি না, এক্ষেত্রে কি সমস্যা হবে? ওই শব্দটা মুখে বলার মতো নিজের কানে না শোনা পর্যন্ত যতই হাছি কাশি ঢেকুরের সাথে সাথে মনে মনে বলি না কেন সমস্যা হবে কি?
৪- অসুস্থ রুগীর মতো উহ আহ ইশ উম, মানে এরকম যাবতীয় শব্দ নিজের কানে শুনলাম কিন্তু ওই শব্দ শুনলাম না কিন্তু উহ আহ ইশ এগুলো শব্দের সাথে মনে মনে ওই শব্দ চলে আসে, এক্ষেত্রেও কি ওই শব্দ স্পষ্ট না শোনা পর্যন্ত ইশ আহ উহ এগুলো বলার দারা কি কোনো সমস্যা হবে?
৫- হুজুর! যেকোনো শব্দই যেভাবেই বলি না কেন, ওই শব্দটা স্পষ্ট না শোনা পর্যন্ত সমস্যা হবে কি?
৬- হুজুর! ওই শব্দ এমনভাবে বললো যে, নিজের কানেই সেই শব্দ স্পষ্টভাবে শুনলোনা বরং বিকৃত ভাবে যেভাবে বলছে সেভাবে শুনলো উদাহরন সরূপ - ফুটবলকে ফুউয়াইইউওটশহদক্সফ্লল এরকম বিকৃত করে বললো। অর্থাৎ ফুটবল শব্দ স্পষ্টভাবে অবিকৃতভাবে শুনলনা, ওই শব্দ এভাবে বললে কি সমস্যা হবে?
৬ - হুজুর আমি ওয়াসওয়াসা রুগি - হাছি কাশি, ঢেকুর গিলা, দু ঠোট একসাথে করে শব্দ করা, অসুস্থ রুগীর মতো শব্দ করা, ইত্যাদিতে মনের মধ্যে ওই শব্দটা চলে আসে, এক্ষেত্রে ওই শব্দটা আমি নিজের কানে স্পষ্ট শুনিনা, মাঝে মাঝে বিকৃতভাবে শুনি, এক্ষেত্রে কি সমস্যা হবে?
হুজুর এগুলা সমস্যা যেন না হয়, সেজন্য আমি করতে পারি।