আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
119 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
edited by
আসসালামুয়ালাইকুম।  হুজুর, আমি যখন হাছি, বা কাশি দেই কিংবা এমনিতেই উহ আহ শব্দ (অসুস্থ রুগি যেমন করে) কিংবা ঢেকুর গিলি তখন ওই শব্দের চিন্তা আসে(হুজুর বুঝে নিবেন)।
১- হুজুর নিজের কানে স্পষ্ট ওই শব্দ না শোনা পর্যন্ত যেভাবেই শব্দ করে বলি না কেন,  আমাদের বৈবাহিক সম্পর্কে সমস্যা হবে?

২- হুজুর,  আমার বিবরনে উক্ত চিন্তা আসার কারনে,  যদি কোনো শব্দ করি এবং সেই শব্দ স্পষ্ট কানে শুনি কিন্তু ওই শব্দ ( হুজুর বুঝে নিবেন) কানে শুনিনা, এক্ষেত্রে কি কোনো সমস্যা হবে?

৩- হুজুর,  কাশতে গেলে বা হাছি দিলে বা ঢেকুর গিললে অনেকটা জিকিরের মতো মনের ভিতর ওই শব্দটা বলতে থাকি, কিন্তু কাশি বা হাছি বা ঢেকুর গিললে,  হাছি কাশি ঢেকুর গিলার শব্দ নিজের কানে শুনি, কিন্তু আবার ওই শব্দটা নিজের কানে স্পষ্ট শুনি না,  এক্ষেত্রে কি সমস্যা হবে? ওই শব্দটা মুখে বলার মতো নিজের কানে না শোনা পর্যন্ত যতই হাছি কাশি ঢেকুরের সাথে সাথে মনে মনে বলি না কেন সমস্যা হবে কি?

৪- অসুস্থ রুগীর মতো উহ আহ ইশ উম,  মানে এরকম যাবতীয় শব্দ নিজের কানে শুনলাম কিন্তু ওই শব্দ শুনলাম না কিন্তু উহ আহ ইশ এগুলো শব্দের সাথে মনে মনে ওই শব্দ চলে আসে, এক্ষেত্রেও কি ওই শব্দ স্পষ্ট না শোনা পর্যন্ত ইশ আহ উহ এগুলো বলার দারা কি কোনো সমস্যা হবে?

৫- হুজুর! যেকোনো শব্দই যেভাবেই বলি না কেন, ওই শব্দটা স্পষ্ট না শোনা পর্যন্ত  সমস্যা হবে কি?

৬- হুজুর! ওই শব্দ এমনভাবে বললো যে, নিজের কানেই সেই শব্দ স্পষ্টভাবে শুনলোনা বরং বিকৃত ভাবে যেভাবে বলছে সেভাবে শুনলো উদাহরন সরূপ - ফুটবলকে ফুউয়াইইউওটশহদক্সফ্লল এরকম বিকৃত করে বললো। অর্থাৎ ফুটবল শব্দ স্পষ্টভাবে অবিকৃতভাবে শুনলনা, ওই শব্দ এভাবে বললে কি সমস্যা হবে?

৬ - হুজুর আমি ওয়াসওয়াসা রুগি - হাছি কাশি, ঢেকুর গিলা, দু ঠোট একসাথে করে শব্দ করা, অসুস্থ রুগীর মতো শব্দ করা, ইত্যাদিতে মনের মধ্যে ওই শব্দটা চলে আসে, এক্ষেত্রে ওই শব্দটা আমি নিজের কানে স্পষ্ট শুনিনা,  মাঝে মাঝে  বিকৃতভাবে শুনি, এক্ষেত্রে  কি সমস্যা হবে?

হুজুর এগুলা সমস্যা যেন না হয়, সেজন্য আমি করতে পারি।

1 Answer

0 votes
by (566,280 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ، قَالَ: سَأَلْنَا خَبَّابًا أَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ فِي الظُّهْرِ وَالعَصْرِ؟ قَالَ: نَعَمْ، قُلْنَا: بِأَيِّ شَيْءٍ كُنْتُمْ تَعْرِفُونَ؟ قَالَ: «بِاضْطِرَابِ لِحْيَتِهِ»

হযরত আবু মামার রহঃ হযরত খাব্বাব রাঃ কে জিজ্ঞাসা করলেন, রাসুল সাঃ যোহর ও আসরে কিরাত পড়তেন কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ পড়তেন। আবু মামার পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, এটা কিভাবে বুঝা যেত? তিনি উত্তরে বলেন, রাসুল সাঃ এর দাড়ি নড়াচড়া দেখে বুঝা যেত। {বুখারী, হাদীস নং-৭৬০}

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী নিম্নস্বরের পরিমাণ হল, নিজ কর্ণ দ্বারা শ্রবণ করা। 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে এসেছে   

 أنہماختلفوا في حد وجود القراء ة علی ثلاثة أقوال: فشرط الہندواني والفضیلي لوجودہا: خروج صوت یصل إلی إذنہ وبہ قال الشافعي واختار شیخ الإسلام وقاضي خاں وصاحب المحیط والحلواني قول الہندواني کذا في معراج الدرایة، ونقل في المجتبی عن الہندواني أنہ لا یجزیہ مالم تسمع أذناہ (سامي: ۲/۲۵۲، کتاب الصلاة باب صفة الصلاة، ط: زکریا دیوبند)

সারমর্মঃ  নামাজেই এতটুকু আওয়াজ বের করা, যাতে আওয়াজ নিজ কান পর্যন্ত পৌছতে পারে।

বিস্তারিত জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
নিজের কানে ঐ শব্দ শোনার মতো আওয়াজ হলেই যথেষ্ট হবে।
যদি আওয়াজ দিয়েই বলা হয়,কিন্তু ফ্যান বা অন্য কোনো কিছুর আওয়াজের দরুন শব্দটি নিজ কান দিয়ে শোনা গেলোনা,তবুও এটি যথেষ্ট হবে।

অর্থাৎ নিজ কানে আসার মতো আওয়াজ হতে হবে।

(২-৬)
প্রশ্নের বিবরণ মতে কোনো ছুরতেই তালাক হবেনা।

আর আপনি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রুগী, তাই আপনি তালাক দিলেই  তাহা শরীয়তে গ্রহনযোগ্য হবেনা।

এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...