আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
196 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (30 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ
(1) কোন মেয়ে প্রেম করতো। মেয়েটার মা সেই ছেলেকে বলছে আমার মেয়েকে বৌ  বলে ডাকতে পারো না ছেলেটা বলছে যখন হবে তখন দেখবো। মেয়েটা এই সম্পর্কে কিছু জানতো না। মেয়েটা তার মাকে এমন কথা বলতে বলে নাই। পরে মেয়েটা তার মায়ের কাছ থেকে জানতে পেরে সেদিনই ছেলেটাকে ম্যাসেজ করে বলে যে সে তার মাকে এমন কথা বলতে বলে নাই। যখন এমন কথা হইছে তখন কি কোন দুজন সাক্ষী ছিল বা কোন লোকজন ছিল সে ছেলেটা বলছে না সে একা ছিল রুমে আরও বলছে লোকজন রুমে থাকলে সে আমার কিংবা আমার মায়ের সাথে কথা বলে না। ছেলেটার কথা তো বিশ্বাস করা যাবে শায়েখ যে কোন দুজন সাক্ষী বা লোকজন ছিল না?
সে শতভাগ সত্যবাদী না। কিছু দিন আগেও ফোন দিয়ে আমার মাকে মিথ্যা বলছে যে তার সাথে আমার কথা হইছে তিন দিন আগে। কিন্তু আমার মা এর সাথে ঐ কথা নিয়ে সে কোন দাবি করে নাই যে লোক ছিল। তাকে যে একবার অতীতে জিজ্ঞেস করছিলাম তখন সে বলছিল কোন দুজন লোক বা সাক্ষী ছিল না।

(2)   1 নং প্রশ্নে তো কোন ইজাব কবুল হয় নাই?  যেখানে মেয়ে এমন কথা বলতে বলে নাই এমনকি এমন কথা হওয়ার সময় উপস্থিত ছিল না। এমনকি মেয়ে তার মাকে ঐ ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দাও এমন কথা বলে নাই। সে ঐ ছেলেকে পছন্দ করে তাই বলছিল। সে পরে জানছে তার মা তাকে বলছে। যা শুনে সে অনেক রাগ করছিল। এতে কোন ইজাব কবুল বা বিয়ে হয় নাই?

শায়েখ আমি এই প্রশ্ন অনেক বার করেছি আপনারা উত্তর দিয়েছেন কোন ইজাব কবুল হয় নাই কিন্তু আমার ওয়াসওয়াসা আসে ১ নং প্রশ্নের উত্তর টা পেলে খুব খুশি হবো। আসলে আমার মা একটু কনফিউজড হয়ে গেছিল যে ছেলেটা উত্তর কি দিছে যখন হবে তখন দেখবো, যখন হবে তখন ডাকাব, যখন হবে তখন বলবো এই তিনটার ভেতর কিন্তু এটা শিওর যে ছেলেটা হ্যা বৌ বা কবুল বা সম্মতিসূচক  কিছু বলে নাই। আর আমি অনুমতি দেই নাই আমার মা কে যে ওর সাথে বিয়ে দিয়ে দাও ও বলি নাই। এই ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলাম না জানতাম ও না। শায়েখ আমার এই বিষয়ে ওয়াসওয়াসা দূর করতে সাহায্য করুন।

আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুক আমিন।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


বিবাহ হওয়ার জন্য ইজাব কবুল হওয়া শর্ত,শুধু বউ বলে ডাকলেই বিবাহ হয়না।
,
বিবাহের ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

وَ اسۡتَشۡہِدُوۡا شَہِیۡدَیۡنِ مِنۡ رِّجَالِکُمۡ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُوۡنَا رَجُلَیۡنِ فَرَجُلٌ وَّ امۡرَاَتٰنِ مِمَّنۡ تَرۡضَوۡنَ مِنَ الشُّہَدَآءِ اَنۡ تَضِلَّ اِحۡدٰىہُمَا فَتُذَکِّرَ اِحۡدٰىہُمَا الۡاُخۡرٰی

আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর, যাতে স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন ভুলে গেলে তাদের একজন অপরজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
(সুরা বাকারা ২৮২)

হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,

لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ

‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ১০২৫৪]

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 

বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

فى الدر المختار- ( و ) شرط ( حضور ) شاهدين ( حرين ) أو حر وحرتين ( مكلفين سامعين قولهما معا ) (الدر المختار ، كتاب النكاح،-3/9)

অনুবাদ-বিবাহ সহীহ হওয়ার শর্ত হল শরীয়তের মুকাল্লাফ [যাদের উপর শরীয়তের বিধান আরোপিত হয়] এমন দুইজন আযাদ পুরুষ সাক্ষি বা একজন আযাদ পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষি হতে হবে, যারা প্রস্তাবনা ও কবুল  বলার উভয় বক্তব্য স্বকর্ণে উপস্থিত থেকে শুনতে পায়। {আদ দুররুল মুখতার-৩/৯, ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬৮}

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এখানে ইজাব কবুল পাওয়া যায়নি।
তাই এতে সমস্যা নেই।

(০২)
এতে কোন ইজাব কবুল বা বিয়ে হয়নি।
আপনি নিশ্চিত থাকুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...