ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে।
(বুখারী শরীফ ২৪৪৯.৬৫৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত কোচিং-এ ভর্তির নিয়ম ছিলো যে সেখানে ভর্তি হলে ৮০০০ টাকা দিতে হবে।
আপনি তাদেরকে চার হাজার টাকা দেন,এক্ষেত্রে তাদের পড়ানোর প্রতি আন্তরিকতার অভাব এবং বাজে পড়ানোর জন্য আপনি ফুল ক্লাশ করেননি। গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা গুলোও দেননি।
এখন কথা হলো,আপনি যেহেতু উক্ত কোচিং-এর নিয়ম মেনেই সেখানে ভর্তি হয়েছিলেন,আর তাদের সাথে আপনার টাকা কমানোর বিষয় আলোচনাও করেননি,সুতরাং এক্ষেত্রে আপনাকে আরো চার হাজার টাকা দিতে হবে।
নতুবা আপনি গুনাহগার হবেন,এটি বান্দার হক নষ্টের শামিল।
হ্যাঁ, যদি আপনি তাদের সাথে আলোচনা করে আপনার সব বিষয় তাদের বুঝিয়ে টাকা কমিয়ে নিতে পারেন,বা বাকি টাকার ক্ষেত্রে তাদের পাওনা ছেড়ে দিতে বলেন,আর তারাও সন্তুষ্টি চিত্তে এতে রাজী হয়,সেক্ষেত্রে এটি জায়েজ হবে।
(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তারা ঈমানহারা হবেননা।
যদি লটারির পুরুস্কার কোনো ৩য় পক্ষ দিয়ে থাকে,যারা লটারিতে অংশগ্রহণ করেছিলো,তাদের যদি চাঁদা না দিতে হয়ে,সেক্ষেত্রে উক্ত লটারি জায়েজ ছিলো।
পুরুস্কার গ্রহনও জায়েজ ছিলো।
আর যদি উক্ত লটারিতে যারা লটারিতে অংশগ্রহণ করেছিলো,তাদের চাঁদা না দিতে হয়েছিলো,সেক্ষেত্রে উক্ত লটারি হারাম।
পুরুস্কার গ্রহনও হারাম।
এখন উক্ত এসি গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে,বা বিক্রয় করে সমপরিমাণ টাকা গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে বা নিজে ব্যবহার করে তার সমপরিমাণ টাকা গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে।
(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার প্রতি পরামর্শ থাকবে,আপাতত অনলাইনে ক্লাশ চালিয়ে যাওয়া।
নিয়মিত ক্লাশ গুলি মনোযোগ সহকারে করলে ইনশাআল্লাহ দ্বীনের অনেক জরূরী জ্ঞান আপনার হাসিল হবে,ইনশাআল্লাহ।
পরবর্তীতে সময় সুযোগ পেলে নৈশ মাদ্রাসায় ভর্তি হতে পারেন।
(০৪)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، قَالَ سَمِعْتُ مُجَالِدًا، يَذْكُرُ عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَخَطَّ خَطًّا وَخَطَّ خَطَّيْنِ عَنْ يَمِينِهِ وَخَطَّ خَطَّيْنِ عَنْ يَسَارِهِ ثُمَّ وَضَعَ يَدَهُ فِي الْخَطِّ الأَوْسَطِ فَقَالَ " هَذَا سَبِيلُ اللَّهِ " . ثُمَّ تَلاَ هَذِهِ الآيَةَ (وَأَنَّ هَذَا صِرَاطِي مُسْتَقِيمًا فَاتَّبِعُوهُ وَلاَ تَتَّبِعُوا السُّبُلَ فَتَفَرَّقَ بِكُمْ عَنْ سَبِيلِهِ) .
জাবির ইবনু আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট উপস্থিত থাকা অবস্থায় তিনি একটি সরল রেখা টানলেন এবং তাঁর ডান দিকে দুটি সরল রেখা টানলেন এবং বাম দিকেও দুটি সরল রেখা টানলেন। অতঃপর তিনি মধ্যবর্তী রেখার উপর তাঁর হাত রেখে বলেনঃ এটা আল্লাহ্র রাস্তা। অতঃপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করেন (অনুবাদ) এবং এ পথই আমার সরল পথ। অতএব তোমরা এ পথেরই অনুসরণ করো এবং বিভিন্ন পথ অনুসরণ করো না, অন্যথায় তা তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে। (সূরাহ আনআম ৬: ১৫৩)
(ইবনে মাজাহ ১১)
★সর্বদা নিজ আকীদা বিশুদ্ধ রাখার জন্য নিম্নোক্ত আকীদা গুলি মনোযোগ সহকারে পড়ে নিতে হবে।
এর বাইরে অন্য আকীদা হলে সেটি মানা যাবেনা।
এমন মনোভাব হয়ে গেলে আর কোনো সমস্যা হবেনা,ইনশাআল্লাহ।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকীদা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
(০৫)
এক্ষেত্রে মহিলা মাদ্রাসায় দেয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক।
আরো জানুনঃ-
(তবে সুযোগ থাকলে এক্ষেত্রে অনাবাসীক হলে ভালো হয়,যাতে রাত্রে বাসায় এসে থাকতে পারে।
এটি উত্তম পদ্ধতি।)