ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
পুরুস্কার বিতরণের আয়োজন যদি কোন মার্কেটের পক্ষ্য থেকে হয়।যেখানে পৃথক পৃথক অনেক মালিক থাকে। এবং সবাই মিলে চাদা করে পুরুস্কার দেয়।তাহলে উক্ত পদ্ধতি ও উপরোক্ত শর্ত সমূহের ভিত্ততে হাদিয়া হিসেবে বৈধ হবে। কিছু সংখ্যক উলামায়ে কেরাম যেমন বিন বায রাহ, সহ আরও অনেকে উক্ত পুরুস্কারকে সর্বাবস্থায় ক্বেমারের অন্তর্ভুক্ত করে নাজায়েয ঘোষনা করে থাকেন। তারা উক্ত পুরুস্কার পদ্ধতির উপর কিছু আপত্তি তুলে ধরেণ।কিন্তু উক্ত আপত্তিসমূহের সুস্পষ্ট জবাব বৈধতাদানকারী গণের কাছে বিদ্যমান রয়েছে। সর্বাবস্থায় পরিত্যাগ করাই তাকওয়ার দাবী। কিন্তু আমাদের দেশে যেহেতু "লটারির মাধ্যমে ক্রেতাদেরকে পুরুস্কার বিতরন" অফারে শরয়ী নীতিমালাকে অগ্রাহ্য করা হয়, তাই বিশেষ করে দ্বিতীয় প্রকার নিম্নোক্ত আয়াতে বর্ণিত জুয়ার অন্তর্ভুক্ত হয়ে সুস্পষ্টরূপে হারাম হবে। এতে বৈধতার কোনো সুযোগই থাকবে না।
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟْﺨَﻤْﺮُ ﻭَﺍﻟْﻤَﻴْﺴِﺮُ ﻭَﺍﻷَﻧﺼَﺎﺏُ ﻭَﺍﻷَﺯْﻻَﻡُ ﺭِﺟْﺲٌ ﻣِّﻦْ ﻋَﻤَﻞِ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥِ ﻓَﺎﺟْﺘَﻨِﺒُﻮﻩُ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢْ ﺗُﻔْﻠِﺤُﻮﻥَ
হে মুমিনগণ, এই যে মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ তো নয়। অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাক-যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও।(সূরা-মায়েদা-৯০)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণমতে পুরুস্কার জায়েয হলেও বেঁচে থাকা উত্তম।