আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
361 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (44 points)
edited by
১-এসো আরবী শিখি নামে একটা বই আছে।সেটা পড়তে কি ওযু করা বাধ্যতামূলক??
২-পাত্রী দেখতে গেলে পাত্রীকে কি কি প্রশ্ন করা যেতে পারে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ দাঃবাঃ এর লিখিত "এসো আরবী শিখি" 
সেটা পড়তে ওযু করা বাধ্যতামূলক নয়।
,
তবে কোনো কুরআনের আয়াত দৃষ্টিগোচর হয়,তাহলে আয়াতের উপর হাত রাখা যাবেনা।
তবে  ইলম অন্বেষনের জন্য অযু করে কিতাব পড়াই আদব।

গুনিয়্যাতুল মুসতামলি গ্রন্থে উল্লেখ আছেঃ

ویکره أیضاللمحدث ونحوه مس تفسیرالقراٰن وکتب الفقه وکذاکتب السنن إلیٰ قوله والأصح أنه لایکره عندأبی حنیفةؒ

যার সারমর্ম হলো ছহিহ মত হলো ইমাম আবু হানিফা রহঃ এর নিকটে তাফসীরের কিতাব,ফিকাহ এর কিতাব অজু  ছাড়া স্পর্শ করা মাকরুহ নয়, বরং জায়েজ আছে।
,        
হযরত আশরাফ আলী থানভী রহঃ বলেন যে যদি সেখানে কুরআনের আয়াত  ব্যাতিত অন্য শব্দই বেশি থাকে,তাহলে তো একেবারেই কোনো সমস্যা নেই,জায়েজ আছে।
তবে  সরাসরি কুরআনের আয়াতের উপর হাত রাখবেননা।
(  ইমদাদুল ফাতওয়া ১/৯৩, জামিউল ফাতওয়া ৩/ ২৩৪)   

(০২)
বিবাহের পূর্বে পাত্রি দেখা,তার সাথে কথা বলা প্রয়োজনীয় মুবাহ কথা বলা জায়েজ আছে।
    
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,

عن أبي هريرة، قال: كنت عند النبي صلى الله عليه وسلم، فأتاه رجل فأخبره أنه تزوج امرأة من الأنصار، فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم: «أنظرت إليها؟»، قال: لا، قال: «فاذهب فانظر إليها، فإن في أعين الأنصارشيئا»

তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পাশে বসা ছিলাম।একব্যক্তি এসে বলল, আমি আনসারি এক মহিলাকে বিয়ে করতে চাই।রাসূলুল্লাহ বললেন,তুমি কি পাত্রী দেখেছো?তিনি বললেন,না।রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,যাও গিয়ে পাত্রী দেখে আসো।কেননা আনসারীদের চোখে নীল বা এ জাতীয় কিছু থাকে।
(সহীহ মুসলিম-১৪২৪)

পাত্রীকে পরিচয় জিজ্ঞাসা বৈধ। তবে লম্বা সময় ধরে বসিয়ে রাখা বৈধ নয় এবং বারবার বহুবার অথবা অনিমেষনেত্রে দীর্ঘক্ষণ তার প্রতি দৃষ্টি রাখাও অবৈধ। অনুরূপ একবার দেখার পর পুনরায় দেখা বা দেখতে চাওয়া বৈধ নয়।

আরো জানুনঃ 

পাত্রী দেখার মূলনীতির মধ্যে অন্যতম কিছু মূলনীতি হলোঃ
★মুবাহ বিষয় ব্যতীত অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাবে না।
★মহিলা নরম ভাষায় কথা বলবে না।

আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
﴿فَلْيَحْذَرِ الَّذِينَ يُخَالِفُونَ عَنْ أَمْرِهِ أَنْ تُصِيبَهُمْ فِتْنَةٌ أَوْ يُصِيبَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ﴾

‘‘সুতরাং যারা তাঁর আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে তারা সতর্ক হোক যে, বিপর্যয় অথবা কঠিন শাস্তি তাদেরকে গ্রাস করবে।’’

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...