ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)
তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/835
ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1379
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) ফেসবুকের একটি স্ট্যাটাস এ লেখা ছিল যে,
"তুমি যাও"
এটি পড়ার পর মনে হচ্ছে আমি যেন আমার ওয়াইফকে চলে যেতে বললাম। এবং আমি আবার লেখাটা পড়তে থাকি। যদিও আমি মনে মনে পড়ছি। জিব্বা হালকা নড়লে নড়তে পারে। কিন্তু আমি নিজের কানে শুনিনি।
এতে তালাক হবে না।
(২) আমাদের বাড়িতে আমার বড়মা ও আমার ভাবি আসছিল। আমি তাদের সাথে কথা বলছিলাম। আমার ওয়াইফ তখন রান্না করছিল। ভাবির ঢাকা যাওয়া নিয়ে কথা হচ্ছিল। তাই আমি বড়মাকে উদ্দ্যেশ্য করে বললাম যে,
"বিদায় দিয়ে দেন বা বিদায় দিয়ে দিলাম"
ভাবি যেন ঢাকায় যেতে পারে তাই আমার এ কথা বলা।
কিন্তু বলার পর মনে হচ্ছে আমি যেন একথা আমার ওয়াইফকে বললাম।
এমন সন্দেহ আমার প্রতিটা কথাতেই হয়। মনে হয় কেনায়া বাক্য বলে ফেললাম। কথা বলতে ভয় লাগে।
এতে তালাক পতিত হবে না।
বিঃদ্রঃ
আপনি ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্ত। আপনি ভালো ও উন্নত মানের ওডাসি রোগের চিকিৎসা গ্রহণ করুন।আমীন।