আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
104 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)

আসসালামু আলাইকুম,

প্রশ্ন-১ঃ ঘুষের শর্তে চাকুরি ধরার পর ঘুষের টাকা কি না দেওয়া ভালো নাকি দিতেই হবে?
একজন ব্যক্তি ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে চেয়ে চাকরি ধরেছে। 
কিন্তু চাকুরি পাওয়ার পরে সে এখন ঘুষের টাকা দিতে চাচ্ছে না।
এখন যে ঘুষ পরিশোধ করতেছে না, তার কি ঘুষ না দেওয়ায় গুনাহ হবে?
যে ঘুষের টাকা পায় সেও বারে বারে চাকুরীজীবীর টাকা কাছে চাচ্ছে। তবে না দিলে উঠানোর ক্ষমতা তার নেই।
এখন চাকুরীজীবী কি ঘুষের টাকা দিবে নাকি দিবে না? তার কাছে টাকা আছে।

প্রশ্ন-২ঃ কারও কাছ থেকে সুদে টাকা নিয়ে এখন ক্ষমতা দেখিয়ে সুদের টাকা ফেরত না দিলে কি জায়েজ হবে? সে সুদ
চাচ্ছে। এখন কি তাকে সুদ দিতে হবে?
 

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ বলেন,
" ﻓﺄﻣﺎ ﺇﺫﺍ ﺃﻫﺪﻯ ﻟﻪ ﻫﺪﻳﺔ ﻟﻴﻜﻒ ﻇﻠﻤﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻭ ﻟﻴﻌﻄﻴﻪ ﺣﻘﻪ ﺍﻟﻮﺍﺟﺐ ﻛﺎﻧﺖ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﻬﺪﻳﺔ ﺣﺮﺍﻣﺎ ﻋﻠﻰ ﺍﻵﺧﺬ , ﻭﺟﺎﺯ ﻟﻠﺪﺍﻓﻊ ﺃﻥ ﻳﺪﻓﻌﻬﺎ ﺇﻟﻴﻪ , ﻛﻤﺎ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ : ( ﺇﻧﻲ ﻷﻋﻄﻲ ﺃﺣﺪﻫﻢ ﺍﻟﻌﻄﻴﺔ ... ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ "
যদি কাউকে তার জুলুম থেকে বাঁছতে অথবা তার নিকট হতে প্রাপ্য হক্ব আদায় করতে ঘুষ দেয়া হয় তবে এই টাকা গ্রহণকারীর জন্য হারাম।এবং ঘুষ প্রদাণকারীর জন্য প্রদান করা জায়েয।যেভাবে রাসূলুল্লাহ উপরোক্ত হাদীসে দিয়েছেন। (আল-ফাতাওয়াল কুবরা-৪/১৭৪) 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
নিজ অধিকার আদায়ের নিমিত্তে ঘুষ প্রদান জায়েয।তবে অন্যায়ভাবে কোনো জিনিষ হাসিল করার নিমিত্তে ঘুষ প্রদান সুস্পষ্ট হারাম ও নাজায়েয।

আপনি কিভাবে চাকুরী নিয়েছেন, কোন পরিস্থিতিতে চাকুরী নিয়েছেন, সেটা আপনিই ভালো জানেন।

সাধারণত অন্যায়ভাবে ঘুষ দেয়া একটি অপরাধ ও হারাম কাজ। অন্যদিকে ধোকা প্রতারণা করা আরেকটি হারাম কাজ। সুতরাং আপনি যদি ঘুষ দেয়ার কথা বলে চাকুরী বাগিয়ে নেন, আর এখন ঘুষ না দেন, তাহলে ঘুষ প্রদান এবং প্রতারণা, দুইটির গোনাহ আপনার কাধে আসবে।  কিন্তু যদি আপনি সর্বাপেক্ষা বেশী যোগ্য হন, এবং আপনি একান্ত বাধ্য হয়ে ঘুষ দিতে সম্মত হন, তাহলে এখন ঘুষ না দেয়ার রুখসত হয়তো থাকবে।তবে সর্বাপেক্ষা যোগ্যতার নির্ণয় বিষয়টি অত্যান্ত কঠিন।সুতরাং প্রতারণা আশ্রয় না নেয়াই উচিৎ।

(২)
কারও কাছ থেকে সুদের টাকা নিয়ে এখন ক্ষমতা দেখিয়ে সুদের টাকা ফেরত না দেয়া উচিৎ না। কেননা এখানে সুদি লেনদেন ও জোরজুলুম দুই বিষয় প্রমাণিত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...