ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ বলেন,
" ﻓﺄﻣﺎ ﺇﺫﺍ ﺃﻫﺪﻯ ﻟﻪ ﻫﺪﻳﺔ ﻟﻴﻜﻒ ﻇﻠﻤﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻭ ﻟﻴﻌﻄﻴﻪ ﺣﻘﻪ ﺍﻟﻮﺍﺟﺐ ﻛﺎﻧﺖ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﻬﺪﻳﺔ ﺣﺮﺍﻣﺎ ﻋﻠﻰ ﺍﻵﺧﺬ , ﻭﺟﺎﺯ ﻟﻠﺪﺍﻓﻊ ﺃﻥ ﻳﺪﻓﻌﻬﺎ ﺇﻟﻴﻪ , ﻛﻤﺎ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ : ( ﺇﻧﻲ ﻷﻋﻄﻲ ﺃﺣﺪﻫﻢ ﺍﻟﻌﻄﻴﺔ ... ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ "
যদি কাউকে তার জুলুম থেকে বাঁছতে অথবা তার নিকট হতে প্রাপ্য হক্ব আদায় করতে ঘুষ দেয়া হয় তবে এই টাকা গ্রহণকারীর জন্য হারাম।এবং ঘুষ প্রদাণকারীর জন্য প্রদান করা জায়েয।যেভাবে রাসূলুল্লাহ উপরোক্ত হাদীসে দিয়েছেন। (আল-ফাতাওয়াল কুবরা-৪/১৭৪)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
নিজ অধিকার আদায়ের নিমিত্তে ঘুষ প্রদান জায়েয।তবে অন্যায়ভাবে কোনো জিনিষ হাসিল করার নিমিত্তে ঘুষ প্রদান সুস্পষ্ট হারাম ও নাজায়েয।
আপনি কিভাবে চাকুরী নিয়েছেন, কোন পরিস্থিতিতে চাকুরী নিয়েছেন, সেটা আপনিই ভালো জানেন।
সাধারণত অন্যায়ভাবে ঘুষ দেয়া একটি অপরাধ ও হারাম কাজ। অন্যদিকে ধোকা প্রতারণা করা আরেকটি হারাম কাজ। সুতরাং আপনি যদি ঘুষ দেয়ার কথা বলে চাকুরী বাগিয়ে নেন, আর এখন ঘুষ না দেন, তাহলে ঘুষ প্রদান এবং প্রতারণা, দুইটির গোনাহ আপনার কাধে আসবে। কিন্তু যদি আপনি সর্বাপেক্ষা বেশী যোগ্য হন, এবং আপনি একান্ত বাধ্য হয়ে ঘুষ দিতে সম্মত হন, তাহলে এখন ঘুষ না দেয়ার রুখসত হয়তো থাকবে।তবে সর্বাপেক্ষা যোগ্যতার নির্ণয় বিষয়টি অত্যান্ত কঠিন।সুতরাং প্রতারণা আশ্রয় না নেয়াই উচিৎ।
(২)
কারও কাছ থেকে সুদের টাকা নিয়ে এখন ক্ষমতা দেখিয়ে সুদের টাকা ফেরত না দেয়া উচিৎ না। কেননা এখানে সুদি লেনদেন ও জোরজুলুম দুই বিষয় প্রমাণিত হবে।