জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী নাভীর নীচের অবাঞ্ছিত লোমের সীমানা হলো :
পায়ের পাতার উপর ভর করে বসা অবস্থায় নাভী থেকে চার পাঁচ আঙ্গুল পরিমাণ নীচে যে ভাঁজ বা রেখা সৃষ্টি হয় সেখান থেকেই অবাঞ্ছিত লোমের সীমানা শুরু। ঐ ভাঁজ থেকে দুই উরু পর্যন্ত ডান বামের লোম, গোপনাঙ্গের চার পাশের লোম, অণ্ডকোষ থেকে মলদ্বার পর্যন্ত উদগত লোম এবং প্রয়োজনে মলদ্বারের আশ-পাশের লোম অবাঞ্ছিত লোমের অন্তর্ভুক্ত।
সাহাবী আনাস রাযি. বলেন,
وُقِّتَ لَنَا فِي قَصِّ الشَّارِبِ، وَتَقْلِيمِ الأَظْفَارِ، وَنَتْفِ الإِبِطِ، وَحَلْقِ الْعَانَةِ، أَنْ لاَ نَتْرُكَ أَكْثَرَ مِنْ أَرْبَعِينَ يَوْماً.
অর্থাৎ, গোঁফ ছোট রাখা , নখ কাঁটা, বগলের লোম উপড়িয়ে ফেলা এবং নাভীর নিচের লোম চেঁছে ফেলার জন্যে আমাদেরকে সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল যেন, আমরা তা করতে চল্লিশ দিনের অধিক দেরী না করি। (মুসলিম ২৫৮)
আরো জানুনঃ
পায়ুপথের আশেপাশের অবাঞ্ছিত লোম পুরুষরা ব্লেড/খুর দিয়ে পরিষ্কার করতে অসুবিধা হলে লোমনাশক ক্রীম বা তরল পদার্থ দিয়ে সেই লোম পরিষ্কার করা যাবে। এতে কোন অসুবিধা নেই।
,
★প্রশ্নে যেসব সমস্যার কথা বলা হয়েছে,সেই সমস্যার আলোকে কেহ যদি সেটা ব্লেড বা খুর ব্যবহার না করে,তলল পদার্থ ব্যবহার করে,এটিও কোনো সমস্যা নয়,আবার কেহ যদি শুধু যতদূর সম্ভব ছোটো করে,তাও জায়েজ হবে।
তবে পরিস্কার রাখতে হবে।
,
কেউ যদি কাঁচি দ্বারা ছোট করে রাখে, তাহলে জায়েয হবে, তবে উত্তম হবে না।
فإن أزال شعره بغير الحديد لا يكون على وجه السنة
যদি কেউ চেঁছে না ফেলে অন্য কোনভাবে পরিষ্কার করে তাহলে তা সুন্নাহ অনুযায়ী হবে না। (কিতাবুন নাওয়াযিল ১৫/৫৪৭)