ওয়াসওয়াসা নিয়ে একটি প্রশ্ন হুজুর । ও লি'আন নিয়ে প্রশ্ন খুব জরুরী হুজুর এডিট করলাম একটা প্রশ্ন প্লিজ উত্তর দিবেন।

Question

আসসালমুআলাইকুম হুজুর,

হুজুর আমি ওয়াসওয়াসা গ্রস্ত মানুষ। আমি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষধ খাই। একবার একদম সুস্থ হয়ে গিয়েছিলাম দিয়ে ওষধ খাওয়া বাদ দিয়ে দিয়েছিলাম। আবার সমস্যা হয়েছিল নানা রকমের চিন্তা হচ্ছিল দিয়ে আবার ওষধ খাচ্ছি।

আমি সুস্থ মানসিকতা নিয়ে,  ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেক  সাক্ষী রেখে দুই পরিবার এর মিলনে  ঐকবদ্ধ হয়ে আমাদের বিয়ে দিয়েছেন। (আলহমদুলিল্লাহ)। বিয়ের আগে থেকে আমি ওয়াসওয়াসা গ্রস্ত ছিলাম, আমি তখন ডাক্তার এর ওষধ ও খেতাম আমি তখন সুস্থ ছিলাম একদম ভালই হয়ে গিয়েছিলাম।  এখনো ওয়াসওয়াসা আছে  মোটা মুটি তবে ওষধ খাচ্ছি । আমি এখন ঠিক আছি হালকা ওয়াসওয়াসা আছে । এখন আমি ঠিক আছি সুখে সংসার করছি  আলহমদুলিল্লাহ।
১. মূল বিষয় হলো:  আমি একটি বিষয় জানতে চাইছি, ওয়াসওয়াসা গ্রস্ত মানুষ এর তালাক পতিত হয়না।

তাহলে তাদের বিবাহ হয়? তাদের বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে?

২. আমার বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে হুজুর ? আমাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে তো হুজুর? খুবই চিন্তা হচ্ছে একটা জায়গাতে এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করতে দেখলাম তাই আমি জানতে চাইছি।
আমামদের বৈবাহিক সম্পর্ক পবিত্র আছে তো?

৩.হুজুর ওয়াসওয়াসা র কারণে মনে নানা রকমের চিন্তা আসছে স্ত্রী কে নিয়ে এইরকম হলে  কি লি আন হবে? মুখে উচ্চরণ করছিনা।

৪..হুজুর রাগে র মাথায় স্ত্রী কে বেশ্যা বলে গালি দিলে কি লি আন হবে? আমি তো তার ওপর অপবাদ দিচ্ছিনা , আমার রাগে গালি হিসেবে দিয়েছি। আমার স্ত্রী খুবই ভালো একজন মানুষ। হুজুর আমার স্ত্রী পবিত্র মনে র মানুষ কোনো বাইরেকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে না।
হুজুর আমার রাগে কারণে বেশ্যা বলে গালি দিয়েছি মাত্র বাবিচার এর অভিযোগ ছিল না এভাবে কি লি আন হবে?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,

ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

 তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

ওয়াসওয়াসাগ্রস্ত ব্যক্তির তালাক গ্রহণযোগ্য হয় না। তবে বিয়ে গ্রহণযোগ্য হবে যদি দুইজন সাক্ষী বিয়েতে থাকে।

Comments

সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।