আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
219 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (30 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম শায়েখ 

(১)কোন মেয়ের অতীতে প্রেম ছিল। এই ওয়েব সাইটে মেয়েটা এমন প্রশ্ন https://ifatwa.info/65637/ করে এবং এই ওয়েবসাইট এর একজন শায়েখ এর ইনবক্সেও এমন প্রশ্ন করে। ইনবক্সের শায়েখের উত্তর আসে এক্ষেত্রে কোন ইজাব কবুল হবে না। এখন সে আবার স্বামী কে বলে এমন প্রশ্ন দেখলাম উত্তর এটা আসছে এর মানে তো এভাবে বিয়ে হয় নাই ছেলেটার কথা বিশ্বাস করা যাবে তাই না। তার স্বামী তাকে বলে এরকম প্রশ্ন তুমি আগেও করছো। মেয়েটা তখন বলে আপনি কি সন্দেহ করেন? পাশ অন্য মেয়ে যাচ্ছিল স্ত্রী রেগে বলে আপনি তাকালেন কেন আপনার সম্যসা আছে তখন স্বামী রেগে বলছে অতীতে কি না কি করছো তারপর এসে এসব প্রশ্ন করো। তখন মেয়ে টা আল্লাহর কসম করে বলছে না এমন কোন কিছু ছিল না তবে নিয়ত করছে অতীত আগের দিন এমন কিছু ছিল না। তারপর স্বামীর রাগ ঠান্ডা হইছে। সে বলছে রাগে এমন বলছে সে সন্দেহ করে না আল্লাহর কসম এটা অংশ অনেক বার বলছে মেয়েটাও বার বার জিজ্ঞেস করছে সন্দেহ করেন কি না সে বলছে আল্লাহর কসম সন্দেহ করে না । স্বামী বলছে অতীত নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই বর্তমানে তুমি অনেক ভাল আমার জান্নাতী বৌ। পরে মেয়েটা বলছে আমি ভয় পাই যে আপনি যদি বলেন বিয়ের আগে কারও সাথে আমার শারীরিক সম্পর্ক ছিল তারপর ঘর থেকে বের করে দেন কই যাবো আমি এমন কথা অনেক বার বলছে। স্বামী বলছে সে কখনো এমন সন্দেহ করেন না আল্লাহর কসম। এমন কথা  অনেক বার বলছে।  এসব কথা রেল স্টেশনে বসে হইছে। প্রথমে তারা দুজন একটা বেঞ্চে বসা ছিল তারপর ট্রেনে উঠে বলছে মেয়েটা সন্দেহ করেন না তো? সে বলছে না করিনা।
উপরোক্ত কথোপকথন কি লিআন হবে?  আশে পাশে অনেক লোক ছিল যদি তারা সব কথা শোনেও?

(২) কথোপকথন চলাকালীন প্রথমে আমি তারপর আমার স্বামি মোট কথা  দুজনই বলছি আল্লাহর কসম দিয়ে মিথ্যা বলতে হয় না। এখন আমার কথা মিথ্যা মানে অতীতে প্রেম ছিল না এই কথাটা মিথ্যা আবার এই ঘটনা ১২ তারিখের আল্লাহর কসম অতীতে প্রেম ছিল না বলার সময় নিয়ত করছি ১১ তারিখের আগের দিন কোন প্রেম ছিলনা এবং আল্লাহর কসম দিয়ে মিথ্যা বলতে হয় না দু জনের এমনটা বলা এবং রেল স্টেশন এ বসে এমন কথোপকথন হয়েছে লোকজন এমনটা বলা শুনলেও ও আমার এমন নিয়ত ছিল তাহলেও তো লিআন হবে না তাই তো শায়েখ?

(৩) শায়েখ বিবাহিত জীবন শুদ্ধ তাই তো শায়েখ? 

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
স্বামী যদি তার স্ত্রীর দিকে যিনা ব্যভিচারের তুহমত প্রদাণ করে,এবং স্বামীর নিকট প্রমাণ না থাকে, তাহলে সেটাকে লি'আন বলা হয়। এ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَالَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ وَلَمْ يَكُن لَّهُمْ شُهَدَاءُ إِلَّا أَنفُسُهُمْ فَشَهَادَةُ أَحَدِهِمْ أَرْبَعُ شَهَادَاتٍ بِاللَّهِ ۙ إِنَّهُ لَمِنَ الصَّادِقِينَ
এবং যারা তাদের স্ত্রীদের প্রতি অপবাদ আরোপ করে এবং তারা নিজেরা ছাড়া তাদের কোন সাক্ষী নেই, এরূপ ব্যক্তির সাক্ষ্য এভাবে হবে যে, সে আল্লাহর কসম খেয়ে চারবার সাক্ষ্য দেবে যে, সে অবশ্যই সত্যবাদী।
وَالْخَامِسَةُ أَنَّ لَعْنَتَ اللَّهِ عَلَيْهِ إِن كَانَ مِنَ الْكَاذِبِينَ
এবং পঞ্চমবার বলবে যে, যদি সে মিথ্যাবাদী হয় তবে তার উপর আল্লাহর লানত।
وَيَدْرَأُ عَنْهَا الْعَذَابَ أَن تَشْهَدَ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ بِاللَّهِ ۙ إِنَّهُ لَمِنَ الْكَاذِبِينَ
এবং স্ত্রীর শাস্তি রহিত হয়ে যাবে যদি সে আল্লাহর কসম খেয়ে চার বার সাক্ষ্য দেয় যে, তার স্বামী অবশ্যই মিথ্যাবাদী;
وَالْخَامِسَةَ أَنَّ غَضَبَ اللَّهِ عَلَيْهَا إِن كَانَ مِنَ الصَّادِقِينَ
এবং পঞ্চমবার বলে যে, যদি তার স্বামী সত্যবাদী হয় তবে তার ওপর আল্লাহর গযব নেমে আসবে।(সূরা নূর-৬-৯)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণমতে কোনো প্রকার লি'আন হবে না।কেননা লি'আন হওয়ার জন্য স্বামী কর্তৃক যিনা ব্যভিচারের তুহমত দিতে হবে এবং স্ত্রী সেটাকে অস্বীকার করতে হবে। যেহেতু এখানে স্বামী কর্তৃক যিনা ব্যভিচারের তুহমত দেয়া হচ্ছে না, তাই এখানে লি'আন হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (30 points)
শায়েখ  ২ নং ও ৩ নং প্রশ্নের উত্তর কি একই কোন সম্যসা নাই সংসারে
by (588,060 points)
জ্বী, সংসারে কোনো সমস্যা হবে না। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...