ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
إِنَّ الصَّلاَةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَّوْقُوتًا
নিশ্চয় নামায মুসলমানদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।(সূরা নিসা-১০৩)
وذهب الحنفية إلى أن تارك الصلاة تكاسلا عمدا فاسق لا يقتل بل يعزر ويحبس حتى يموت أو يتوب.
হানাফী মাযহাব মতে নামায তরক কারীকে হত্যা করা হবে না, বরং তাকে আমৃত্যু বন্দী করে রাখা হবে,যতক্ষণ না সে তাওবাহ করবে।
وذهب الحنابلة: إلى أن تارك الصلاة تكاسلا يدعى إلى فعلها ويقال له: إن صليت وإلا قتلناك، فإن صلى وإلا وجب قتله ولا يقتل حتى يحبس ثلاثا ويدعى في وقت كل صلاة، فإن صلى وإلا قتل حدا، وقيل كفرا، أي لا يغسل ولا يصلى عليه ولا يدفن في مقابر المسلمين. لكن لا يرق ولا يسبى له أهل ولا ولد كسائر المرتدين.
হাম্বলী মাযহাব মতে, নামায তরককারীকে সর্বপ্রথম নামাযের কথা বলা হবে যে,তুমি যদি নামায না পড়ো তবে তোমার উপর হত্যার আইন প্রয়োগ করা হবে।যদি নামাযের দাওয়াত দেয়ার পরও নে নামায না পড়ে, তাহলে তাকে হত্যা করা হবে।তথা তিনদিন জেলে রাখা হবে,এবং প্রত্যেক নামাযের ওয়াক্তে তাকে ডাকা হবে।যদি পরে নেয় তাহলে ভালো,নতুবা তখনই তাকে হত্যা করা হবে।
হাম্বলী মাযহাবের কেউ কেউ মনে করেন,তখন তাকে কুফরীর শাস্তি বা হত্যা প্রয়োগ হবে।সুতরাং তাকে গোসল দেয়া হবে না,জানাযা পড়াও হবে না।এবং মুসলমানদের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে না যেমন সাধারণ মুরতাদের বেলায় হুকুম প্রযোজ্য হয়ে থাকে। (আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-২৭/৫৩)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রাতে এশার নামাযের পরপরই দ্রুত ঘুমিয়ে যাবেন।তাহলে ফজরের নামায পড়তে পারবেন।
(২)
প্রত্যেক নামাযের পর বিশেষ করে ফজর ও আসরের নমাযের পর বিশেষ গুরুত্বসহকারে তাসবিহে ফাতেমি পড়বেন।তাছিড়া হাদীসে বর্ণতি দু'আ গুলোকে সকাল বিকাল দুইবান করে পড়ে নিবেন। যেগুলো বেশী ফযিলত বর্ণিত হয়োছে, সেগুলোকে কখনো মিস করবেন না।
(৩)
তাহাজ্জুদের নামায পড়ে সকল প্রকার অসুবিধের জন্য দু'আ করা চাই। তাহাজ্জুদের নামায ঈমানকে মজবুদ করে দেয়।