ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(১-২)
স্বপ্ন দুটি খুবই বরকত পূর্ণ স্বপ্ন,আলহামদুলিল্লাহ
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৩)
হাদীস শরীফে এসেছে
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَبَّابٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ رُؤْيَا يُحِبُّهَا فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ اللَّهِ، فَلْيَحْمَدِ اللَّهَ عَلَيْهَا، وَلْيُحَدِّثْ بِهَا، وَإِذَا رَأَى غَيْرَ ذَلِكَ مِمَّا يَكْرَهُ، فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ الشَّيْطَانِ، فَلْيَسْتَعِذْ مِنْ شَرِّهَا، وَلاَ يَذْكُرْهَا لأَحَدٍ، فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّهُ ".
আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, যেখন তোমাদের কেউ এমন স্বপ্ন দেখে, যা সে পছন্দ করে, তাহলে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এ জন্য আল্লাহর প্রশংসা করে এবং অন্যের কাছে তা বর্ণনা করে। আর যদি এর বিপরীত অপছন্দনীয় কিছু দেখে, তাহলে তা শয়তানের পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এর ক্ষতি থেকে আল্লাহর আশ্রয় চায়। আর কারো কাছে যেন তা বর্ণনা না করে। তাহলে এ স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি করবে না। ( বুুুখারী ৬৯৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫১৪)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
স্বপ্নে নিজেকে হজ্জ কিংবা ওমরার সফরে দেখা,অথবা দেখা যে সে হজ্জ অথবা ওমরার কার্যক্রম আদায় করতেছে,কিংবা হজ্জ ওমরার প্রস্তুতি নিচ্ছে,ইত্যাদি ইত্যাদি।
এগুলো সবই বাইতুল্লাহ শরীফের প্রতি মুহাব্বতের আলামত।
উলামায়ে কেরামগন বলেছেন যে এরকম ব্যাক্তি সাধারণত হজ্জ ওমরা করার সৌভাগ্য অর্জন করবে।
প্রশ্নে উল্লেখিত স্বপ্নের কারনে আপনি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন।
আল্লাহ তায়ালা আপনাকে দ্রুত হজ্জ,ওমরা করার সৌভাগ্য অর্জন করার তওফিক দান করুন।
এবং বাইতুল্লাহ শরীফ,হারামাইন শরীফের বরকত লাফের তওফিক দান করুন।
আমিন।
(০৪)
আপনি মূলত বিষয়টি নিয়ে ভাবেন,গবেষণা করেন,যার কারনে বিষয়টি স্বপ্নে এসেছে।
সুতরাং এটি মনের কল্পনা প্রসূত।
এ স্বপ্নের দ্বারা ইমাম মাহদি আঃ এর ৯৫ বছর পর আসা সাব্যস্ত হবেনা।
এ স্বপ্নের ভিত্তিতে তাহা নিশ্চিত ভাবে বলাও ঠিক হবেনা।