আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
182 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
আসসালামু আ'লাইকুম
১) বর্তমান পাঠ্য পুস্তকে সমকামি , ত্রান্সজেন্দার , ইসলাম বিদ্বেষী অনেক কিছু আনা হয়েছে , এইসব থেকে মানুষকে সতর্ক করতে লিফলেট বিতরন করতে চাচ্ছি ; লিফলেট লিংক - https://drive.google.com/drive/u/0/folders/12o-QusQclCe305olz4ixb1XM904K0_8-

আমার প্রশ্ন - আমি স্টুডেন্ট , হাতে টাকা নাই । কিন্তু কালকে আমার এক খালু বাসায় আসছিল । তিনি আবার ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক এর এক শাখার ম্যানাজার । ইনকাম সোর্স এইটাই । তিনি আমাকে ২৫০০ টাকা দিয়েছেন প্রথমে ভেবেছিলাম সুয়াবের নিয়ত ছাড়া টাকা দান করে দিব । পরে ভাবলাম এই টাকা দিয়ে লিফলেট বিতরন করতে পারলে ভাল হয় । সুয়াবের নিয়ত ছাড়া এই টাকা দিয়ে লিফলেট দেয়া যাবে ?

২) আমি যেখানে থাকি সেখানে সিটি করপররেশন থেকে লোক এসে প্রতিদিন ময়লা নিয়ে যায় । মাসে ১০০ টাকা করে , আমারা তাদের না দিয়ে মেসের খালাকে দিয়ে ময়লা ফেলি ,আর খালাকে টাকা দিয়ে দেই গরিব মানুষ বলে ।
কিন্তু যারা সিটি করপররেশন এর লোকের কাছে ময়লা না দিয়ে নিজেরা ফেলে / খালার মাধ্যমে ফেলে তারা সেই ময়লা মেইন রাস্তার পাশে ফেলে । আমাদের ও রাস্তার পাশ দিয়ে যেতে কষ্ট হয় দুরন্ধে । মানুষকে তো কষ্ট দেয়া ঠিক না । সেই হিসেবে তো আমরাও খালাকে দিয়ে ময়লা ফেলে অন্যকে কষ্ট দিচ্ছি  এটা কি ঠিক ? আমারা শুধু খালার মাধ্যমে ফেলি খালা গরিব বলে , আর ওনার কোন ছেলে সন্তানো নেই, মেসে মেসে কাজ করে যা পায় তা দিয়ে চলে ।

৩) স্কুল কলেজে যে টুর্নামেন্ট আয়োজন হয় তা কি জুয়া ?

আয়োজনের প্রক্তিয়া - যেমন আমাদের বিভাগের প্রতি ব্যাচ থেকে ৩০০০ টাকা করে চাঁদা তুলা হয়েছিল । (বিভাগ থেকে টাকা দেয়া হয়েছে কিনা জানিনা । ) সেই টাকা দিয়ে মাঠে লাইট লাগানো সহ সব কাজ করা হয় , খেলার সরঞ্জাম কিনা হয় + প্রতি ম্যাচ শেষে সেরা খেলোয়াড়কে পুসস্কিত করা হয় । আর যে টুর্নামেন্ট জিতবে তাঁদের একটা ট্রফি দিবে । আর দর্শকের সারিকে ছেলে মেয়ে সবাই থাকে , হই হুলর সবই হয় ।

1 Answer

0 votes
by (575,640 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ اللهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا طَيِّبًا، وَإِنَّ اللهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِينَ، فَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا، إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ} [المؤمنون: ٥١] وَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ} [البقرة: ١٧٢] ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ، يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ، يَا رَبِّ، يَا رَبِّ، وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ، وَمَشْرَبُهُ حَرَامٌ، وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ، وَغُذِيَ بِالْحَرَامِ، فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذَلِكَ؟ "

 তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ তা'আলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা'আলা তার প্রেরিত রসূলদের যে হুকুম দিয়েছেন মুমিনদেরকেও সে হুকুম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “হে রসূলগণ! তোমরা পবিত্র ও হালাল জিনিস আহার কর এবং ভাল কাজ কর। আমি তোমাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে জ্ঞাত।" (সূরা আল মু'মিনূন ২৩ঃ ৫১)তিনি (আল্লাহ) আরো বলেছেন, “তোমরা যারা ঈমান এনেছো শোনা আমি তোমাদের যে সব পবিত্র জিনিস রিযক হিসেবে দিয়েছি তা খাও”— (সূরা আল বাকারাহ ২ঃ ১৭২)। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ সফর করে। ফলে সে ধুলি ধূসরিত রুক্ষ কেশধারী হয়ে পড়ে। অতঃপর সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, “হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম এবং আহার্যও হারাম। কাজেই এমন ব্যক্তির দু'আ তিনি কী করে কবুল করতে পারেন?”(সহীহ মুসলিম-১০১৫)

হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।

 من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
 (معارف السنن، كتاب الطهارة، باب ما جاء لا تقبل صلاة بغير طهور-1/34، الفتاوى الشامية، باب البيع الفاسد، مطلب فى من ورث مالا حراما-7/301، كتاب الحظر والإباحة، فصل فى البيع-9/554، بذل المجهود، كتاب الطهارة، باب فرض الوضوء- 1/37

যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব না হলে সেটি ফকিরদেরকে সদকাহ করে দিতে হবে।
,
সূদের টাকা মূল মালিককে ফিরিয়ে দিতে হবে,ফিরিয়ে দিয়ে যদি না পারে,তাহলে সেটি ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিবে।
,
মসজিদে দেওয়া যাবেনা,তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে সেই টাকা সামাজিক উন্নয়ন মূলক কাজ যেমন ব্রিজ,কালভার্ট নির্মানের কাজে দেওয়া যাবে।      
,
হারাম মাল মসজিদে ব্যয় করা যাবে না এ ব্যাপারে কোন মতান্তর নেই। সকল ফুক্বাহায়ে কিরাম ঐক্যমত্ব পোষণ করেছেন।

কিন্তু মাদরাসা বা অন্য কোন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা যাবে কি না? এ ব্যাপারে মতান্তর রয়েছে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত টাকা দিয়ে লিফলেট বিতরন করা যাবেনা।
এটি আপনি ফিরিয়ে দিন,অথবা গরিব মিসকিনকে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করুন।

(০২)
এক্ষেত্রে রাস্তার ময়লা ফেলার যে নির্দিষ্ট স্থান আছে,সেখানে ফেলে দিলে কোনো গুনাহ হবেনা।

রাস্তার ময়লা ফেলার যে নির্দিষ্ট স্থান ব্যাতিত অন্য স্থানে ময়লা ফেললে আইন না মানার গুনাহ হবে।

(০৩)
হ্যাঁ, এটি জুয়া,এটি জায়েজ নেই।

যদি প্রক্রিয়া এমন করা হয় যে চাঁদা তুলে পুরুস্কার ব্যাতিত প্রশ্নে উল্লেখিত যাবতীয় কাজ করে,আর পুরুস্কার ৩য় কোনো পক্ষ দেয়,সেক্ষেত্রে এটি জায়েজ হবে।
তবে শর্ত হলো শরীয়াহ বিরোধী কোনো কাজ করা যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...