ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনার প্রশ্নগুলো এলোমেলো। প্রশ্ন থেকে স্পষ্ট কিছুই বুঝা যাচ্ছে না। যতটুকু বুঝতে পেরেছি, সেই আলোকে বলবো,
দয়া করে স্পষ্ট করে ভবিষ্যতে প্রশ্ন লিখে পাঠাবেন।
উত্তর না বুঝলে দয়া করে কমেন্টে স্পষ্ট করে সংক্ষেপিত আকারে প্রশ্ন লিখে পাঠাবেন।
আরশে আজীমের ব্যখ্যা হল,
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ فِي قَوْلِهِ عزوجل :( الرَّحْمَنُ عَلَى الْعَرْشِ اسْتَوَى) ، قَالَتْ : الِاسْتِوَاءُ غَيْرُ مَجْهُولٍ، وَالْكَيْفُ غَيْرُ مَعْقُولٍ، وَالْإِقْرَارُ بِهِ إِيمَانٌ، وَالْجُحُودُ بِهِ كُفْرٌ ، وَيُرْوَى هَذَا الْكَلَامُ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍّ.( التوحيد لابن منده، حديث نمبر ۸۳۰)
হযরত উম্মে সালামাহ রাযি থেকে বর্ণিত, তিনি الرَّحْمَنُ عَلَى الْعَرْشِ اسْتَوَى এই আয়াতের ব্যখ্যায় বলেন, আল্লাহ তা'আলা আরশে সমাসীন। যেমনটা উনার জন্য উপযোক্ত। ইস্তেওয়া জ্ঞাত। অর্থাৎ ইস্তেওয়া এর অর্থ উচুতে আসন স্থাপন করা। তবে আসন স্থাপনের পদ্ধতি অজ্ঞাত। অর্থাৎ আল্লাহ তা'আলা কিভাবে কোনো পদ্ধতিতে আসন স্থাপন করেছেন, সেটা অজ্ঞাত। তবে আসন স্থাপনকে স্বীকার করা ঈমান। এবং অস্বীকার করা গোনাহ।
মোটকথাঃ-
আল্লাহ তা'আলা আরশে সমাসীন আছেন, তবে সমাসীন হওয়ার পদ্ধতি কারো জানা নেই। আরশে আল্লাহ ব্যতিত আর কেউ সমাসীন হতে পারবেন না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' কে মাকামে মাহমুদ দেয়ার জন্য দু'আ করা চাই। তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' কখনো আরশে সমাসীন হবেন না। হ্যা, মাকামে মাহমুদ সর্বোচ্ছ সম্মানের স্থান। আপনি যেই দুরুদের কথা বলছেন, তাতে কোনো ইসলাম সাংঘর্ষিক বিষয় নেই।