আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
136 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (20 points)

* এখানে 'আরশে আজিম' এর ব্যাখ্যা কি সঠিক?

ত্ববারানী শরীফের হাদিস: হুজুরেপাক সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামইরশাদ করেন, যেই ব্যক্তি দুরূদ এইভাবে পড়িবে, “আল্লাহুম্মাসল্লিয়ালা মুহাম্মাদীন ওয়া আনযিলহুলমাক্ব য়া’দাল মুকারবা ইন্দাকা এওমাল ক্বিয়ামাহ” তাহার জন্য আমার সুপারিশ ওয়াজিব হইয়া যাইবে। (ত্ববারানী) ফায়দাঃ উক্ত দুরূদ শরীফের অর্থ হইল এই যে, হে খোদা!! আপনি মুহাম্মাদ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর দুরূদ পাঠান এবং ক্বিয়ামতের দিন তাহাকে আপনার ঐ মুবারক স্থানে পৌঁছাইয়া দিন যাহা আপনার সবচেয়ে নিকটবর্তী। ওলামাগণ নিকটবর্তী ঠিকানার কয়েক অর্থ করিয়াছেন। আল্লামা ছাখাবী (রহ)বলেন উহার অর্থ হইল, ওয়াছীলা অথবা মাকামে মাহমুদ অথবা হুজুরের আরশে আজীমে অবস্থান অথবা হুজুরের সেই সু-উচ্চ আসন যা সবচেয়ে উপরে হইবে। হিরজে ছামীন গ্রন্থে উহাকে কুরসী বলিয়াও উল্লেখ করা হইয়াছে। মোল্লা আলী কারী (রহ) বলেন, মাকআদে মুকার্রায় অর্থ “মাকামে মাহমুদ”। আবার কোন কোন রেওয়ায়েতে “বেহেশতের মধ্যে” শব্দ আসিয়াছে। তখন অর্থ হইবে ওয়াছীলা যাহা জান্নাতের মধ্যে সর্বোচ্চ আসন। কোন কোন উলামাদের মতে হুজুরের জন্য ভিন্ন ভিন্ন দুইটি মাকাম হইবে। প্রথমতঃ ঐ মাকাম যাহা সুপারিশের ময়দানে আরশের ডান দিকে হইবে। উহার উপর সৃষ্টির শুরু হইতে শেষ পর্যন্ত সকলেই ঈর্ষা করিবে। দ্বিতীয়, মাকাম হইল জান্নাতে যাহা জান্নাতের সর্বোচ্চ আসন। (ফাযায়েলে দুরুদঃ পৃ-৪৩) 

ফাযাএলে হজ্জের এই বিষয় গুলো তে আপনাদের মতামত কি? এগুলো নিয়ে কিছু আলেমের অভিযোগ পাই।

Fadha'il Hajj, Page 138:

۱۴ رجب نبیرہ حضراہ پر نظر پڑے تو عظمت و ہیبت اور حضور کی خلوت شان کا استحضار کرے اور پیسوچے کہ اس پاک قبہ میں وہ ذاتِ اقدس ہے جو ساری مخلوقات سے افضل ہے ، انبیاء کی سردار ہے ، فرشتوں سے افضل ہے، قبر شریف کی جگہ ساری جگہوں سے افضل ہے جو حصہ حضور کے بدن مبارک سے ملا ہوا ہے وہ کعبہ سے افضل ہے عرش سے افضل ہے، کرسی سے افضل ہے حتی کہ آسمان وزمین کی ہر جگہ سے افضل ہے (لباب)

Page 232, Fadha'il Hajj:

۱۵: حضرت ذوالنون مصری فرماتے ہیں کہ میں نے ایک نوجوان کو کہ شریف کے پاس دیکھا کہ دریا کم رکوع سجدے کر رہا ہے میں نے پوچھا کہ بڑی کثرت سے نمازیں ھو رہے ہو، وہ کہنے لگا کہ واپسی وطن کی اجازت مانگ رہا ہوں ، اتنے میں میں نے دیکھا کہ ایک کا نذ کا پرچہ و پر سے گیرا، اس میں لکھا ہوا تھا کہ یہ اللہ جل شانہ جو بڑی عزت والا بڑی نفرت والا ہے کی طرف سے اپنے پیچھے شکر گزار بندہ کی طرف ہے کہ تو واپس چلا جا اس طرح کرتیرے اگلے پچھلے سب گنا پخش دیئے گئے (روض)

On page 105, Fadha'il Hajj, Fadha'il Amaal Vol I:

موسیانین محمد کہتے ہیں کہ ایک مرتبہ ایک کی تشخص طواف کر رہا تھا۔ ایک دیندار آدمی تھا، طواف کرتے ہوئے ایک خوبصورت عورت کے پازیب کی آواز جو طواف کر رہی تھی اس کے کان میں پڑی۔ یہ شخص اس عورت کو گھورنے لگا۔ رکن یمانی سے ایک ہاتھ نکلا اور اس زور سے اس کے تھپڑ مارا کہ آنکھ نکل گئی اور یت اللہ شریف کی دیوا سے ایک آواز آئی کہ ہمارے گھر کا طواف کرتا ہے اور ہمارے غیر کو دیکھتا ہے۔یہ تھپڑ اس نظر کے بدلہ ہے اوراگر گندہ کوئی اور حرکت کرے گا تو ہم بھی زیادہ بدلہ دیں گے (مسامرات

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনার প্রশ্নগুলো এলোমেলো। প্রশ্ন থেকে স্পষ্ট কিছুই বুঝা যাচ্ছে না। যতটুকু বুঝতে পেরেছি, সেই আলোকে বলবো,
দয়া করে স্পষ্ট করে ভবিষ্যতে প্রশ্ন লিখে পাঠাবেন।

উত্তর না বুঝলে দয়া করে কমেন্টে স্পষ্ট করে সংক্ষেপিত আকারে প্রশ্ন লিখে পাঠাবেন।

আরশে আজীমের ব্যখ্যা হল,
 عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ فِي قَوْلِهِ عزوجل :( الرَّحْمَنُ عَلَى الْعَرْشِ اسْتَوَى) ، قَالَتْ : الِاسْتِوَاءُ غَيْرُ مَجْهُولٍ، وَالْكَيْفُ غَيْرُ مَعْقُولٍ، وَالْإِقْرَارُ بِهِ إِيمَانٌ، وَالْجُحُودُ بِهِ كُفْرٌ ، وَيُرْوَى هَذَا الْكَلَامُ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍّ.( التوحيد لابن منده، حديث نمبر ۸۳۰)
হযরত উম্মে সালামাহ রাযি থেকে বর্ণিত, তিনি الرَّحْمَنُ عَلَى الْعَرْشِ اسْتَوَى এই আয়াতের ব্যখ্যায় বলেন, আল্লাহ তা'আলা আরশে সমাসীন। যেমনটা উনার জন্য উপযোক্ত। ইস্তেওয়া জ্ঞাত। অর্থাৎ ইস্তেওয়া এর অর্থ উচুতে আসন স্থাপন করা। তবে আসন স্থাপনের পদ্ধতি অজ্ঞাত। অর্থাৎ আল্লাহ তা'আলা কিভাবে কোনো পদ্ধতিতে আসন স্থাপন করেছেন, সেটা অজ্ঞাত। তবে আসন স্থাপনকে স্বীকার করা ঈমান। এবং অস্বীকার করা গোনাহ।

মোটকথাঃ-
আল্লাহ তা'আলা আরশে সমাসীন আছেন, তবে সমাসীন হওয়ার পদ্ধতি কারো জানা নেই। আরশে আল্লাহ ব্যতিত আর কেউ সমাসীন হতে পারবেন না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' কে মাকামে মাহমুদ দেয়ার জন্য দু'আ করা চাই। তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' কখনো আরশে সমাসীন হবেন না। হ্যা, মাকামে মাহমুদ সর্বোচ্ছ সম্মানের স্থান। আপনি যেই দুরুদের কথা বলছেন, তাতে কোনো ইসলাম সাংঘর্ষিক বিষয় নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 141 views
0 votes
1 answer 116 views
0 votes
1 answer 147 views
...