বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
লাহনে জলি (অর্থ পরিবর্তন) হয়, এমন ভুল পড়ার দ্বারা নামাজ নষ্ট হয়ে যায়।
মহান আল্লাহ তাআলার কালাম তিলাওয়াতের বিশেষ নিয়ম ও আদব রয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
وَرَتِّلِ الْقُرْآنَ تَرْتِيلًا
কুরআন তিলাওয়াত কর ধীরস্থির ভাবে, স্পষ্টরূপে। -সূরা মুযযাম্মিল (৭৩) : ৪
হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-
زينوا القرآن بأصواتكم
সুন্দর সূরের মাধ্যমে কুরআনকে (এর তিলাওয়াতকে) সৌন্দর্যমণ্ডিত কর। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৪৬৮
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
নিকটতম মাখরাজ বিশিষ্ট হরফ উচ্চারণের ক্ষেত্রে অনেক বিজ্ঞ ইসলামী স্কলারগন ছাড় দিয়েছেন।
উনারা বলেছেন যে এতে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
তবে অনেকেই বলেছেন যে এতে নামাজ ভেঙ্গে যাওয়ার মতো অর্থ বিকৃত হলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
আরো জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত গুলোতে অর্থ পরিবর্তন হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে, তাই নামাজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা পূর্ণ ভাবে রয়েছে।
(০২)
এক্ষেত্রে সমস্যা নেই।
তবে যেখানে একেবারেই টান নাই,সেখানে টান দিলে অর্থ পালটে যায়। সেক্ষেত্রে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৩)
কেস B এর কারণে অর্থ পালটে যায়না।
তবে যেখানে একেবারেই টান নাই,সেখানে টান দিলে অর্থ পালটে যায়। সেক্ষেত্রে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।
(০৪)
এক্ষেত্রে সমস্যা নেই।
তবে আসল মাখরাজ থেকে উচ্চারণে সক্ষমতা থাকলে সেটিই করা উচিত।
(০৫)
এটি মূলত মতবিরোধ পূর্ণ মাসয়ালা।
তাই সতর্কতা কাম্য।
(০৬)
হ্যাঁ, উক্ত নামাজ হয়নি।
আবারো পড়তে হবে।
(০৭)
আপনার নামাজ হয়ে গিয়েছে, পুনরায় পড়তে হবেনা।
(০৮)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে কুফর হয়নি,ঈমানও চলে যায়নি।
(০৯)
টান কমের স্থানে বেশি বা বেশির স্থানে কম করলে সমস্যা নেই।
যেখানে একেবারেই টান নাই,সেখানে টান দিলে অর্থ পালটে যায়। সেক্ষেত্রে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।
আপনার মহল্লার মসজিদে নামাজ পড়ার চেষ্টা করবেন,তার যদি এক হরফের স্থানে আরেক হরফ উচ্চারণ এর ভুল থাকে, বা যেখানে একেবারেই টান নাই,সেখানে টান দেয়ার অভ্যাস থাকে,সেক্ষেত্রে তাকে অবহিত করবেন।
আসলেই এটি যদি সে ভুল ভাবেই উচ্চারণ করে,তাহলে তাকে শুধরিয়ে নিতে বলবেন।
শুধরিয়ে না নিলে কমিটির সাথে আলোচনা করে ইমাম পরিবর্তন করার চেষ্টা করবেন।
এক্ষেত্রে প্রয়োজনে স্থানীয় উলামায়ে কেরামগন সাহায্য নিতেও পারেন।