আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
264 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (129 points)
edited by
আমি কিছু বিষয় ক্লিয়ার জানতে চাচ্ছি

পবিত্র কুর'আন তেলাওয়াতের ভুল

A,ব্যকরণ গত ভুল যেটাতে অর্থ বদলাতে পারে,আবার নাও পারে

B,সিফাতগত ভুল,টান কমবেশি জনিত ভুল,গুন্নাহ জনিত ভুল।

প্রশ্ন

 ১,কেস A তে ব্যকরণ গত ভুল যাতে অর্থ বদলায় না সেটা আর যদি ইচ্ছাক্রিত ভাবে হয় তাহলে কি নামাজ নষ্ট হবে? যেমন শুধু স্বরবর্ন চেঞ্জ হয়।যেমন রব্বিল 'আলামিন কে, রব্বাল 'আলামিন পড়া।
২,কেস B তে যদি ইচ্ছাক্রিত হয়? যেমন সুরা ফাতিহার সমস্ত এক/চার/তিন আলিফ টানকে এক আলিফ টান করে পড়া বা গুন্নাহ কমবেশি করা,ইচ্ছাক্রিত হলে নামাজ নষ্ট হবে?

৩,কেস B এর কারণে কি অর্থ পালটে যায়?

৪, মাখরাজে বলা আছে তা, দাল, ত্ব কে জিহবার অগ্রভাগ দাতের গোড়ায় লাগবে।আমি আগায় লাগিয়ে উচ্চারণ করলে সমস্যা হবে? ইচ্ছাক্রিত।একইভাবে লাম অক্ষরটি দাতে জিহবা না লাগিয়েও ল উচ্চারন হয়।এসব ক্ষেত্রে এভাবে উচ্চারণ করলে হবে? কারণ আমি শুনেছি মূল স্থানে না লাগিয়ে আশেপাশে লাগিয়ে সঠিক বা প্রায় সঠিক উচ্চারণ করলে সমস্যা নাই।এটা ঠিক?
৫ আমি যদ্দুর জানি প্রায় কাছাকাছি মাখরাজ এবং উচ্চারণ যদি কাছাকাছি হয় তাহলে এক্টার বদল আরেকটা উচ্চারণ করলে তাতে সমস্যা হয়না যেমন সীন ও ছ্বদ।এটা আপনাদের এখানেই জেনেছি।প্রশ্ন হল এটা ইচ্ছাক্রিত হলে সমস্যা হবেকি? কারণ অনেক সময় একটা আয়াত পড়তে পড়তে সীন হয়ে যায় যদিও মাথায় নিয়ত থাকে আমি ছ্বদ পড়তেসি। সেই আয়াত পড়ার পর আবার ঠিক করিনা।কারণ যেহেতু কাছাকাছি অক্ষর।
৬ এক ইমামের পেছনে নামাজ পড়ছিলাম উনি স্বীরাতাল্লাযিনা কে ছয়র-তল্লাযিনা বলে। মানে ছ্বদ যের ছ্বী কে পড়ার সময় 'ছয়' টাইপ উচ্চারণ আমি শুনি। এতে কি আমার নামাজ আবার পড়তে হবে?

৭, আমি নামাজের মধ্যে রুকু সিজদার তাসবীহ সীন দিয়ে শুরু না ছ্বদ দিয়ে এটা ভুলে গেসিলাম।পরে আন্দাজমত ছ্বদ হিসেবে পড়েছি।নামাজ কি আবার পড়তে হবে?

৮ এক মসজিদে দীর্ঘ কেরাত করে।আমি এটা নিয়ে একটু বিরক্ত ছিলাম বেশি আলসেমি লাগ্লে হয়ত মসজিদে যেতাম্না অনেকক্ষন পড়াবে তাই।গতকাল আমার বন্ধু বলতেসে এইখানেত ৩ মিনিট ধরে এক রাকাতের কেরাত পড়ায়,তখন আমি একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়েছি।এতে কি।কুফর ও ইমান ভংগ হয়েছে?

৯, আমি বিভিন্ন ইমামের পিছন৩ নামাজ পড়ি,এরা শহরের মসজিদ থেকে শুরু করে গ্রামের।পিছনে নামাজ পড়ে মনে হয় এদের ছোট হা বড় হা এক,আঈন আলিফ এক উচ্চারণ তা ত্ব এক উচ্চারণ।আবার কারো মাদ্দে সমস্যা,তিন আলফ চাফ আলিফ কে এক আলিফ পড়ে,দ্বোয়াদ একদম দালের মত পড়ে। কিন্তু যারা পড়ান তারা এমন মাজহুল কেউ না।কেউ হাফিয বা মাদরাসায় পড়েছে কুর'আন পড়তে জানে। তারা নিশ্চয় জানে যে আয়াত পড়ছে তাতে ত্ব আছে না তা আছে।হয়ত তারা ওইভাবেই উচ্চারণ করে।কিন্তু আমি নিযে আরবী ভাষা পারিনা তাই বলতেও পারিনা তাদের টা কতটুক শুদ্ধ কতটুক ভুল, বা ভুল হলে অর্থ পাল্টাচ্ছে কিনা।এজন্য অনেক সন্দেহে থাকি আমি আবার নামাজ পড়ব কিনা।এতে করে আলসেমি লাগে জামাতে নামাজ পড়তে যে নামাজ যদি ভুল।একজন কে জিজ্ঞেস করেছিলাম আপনার এমন সমস্যা,সে বলেছিল হ্যা সমস্যা এটা ঠিক করতে হবে।পরে আপনাদের বলেছিলাম বলেছিলেন এতে সমস্যা নাই নামাজ হবে(উনি দোয়াদ কে দাল বলছিলেন)। কিন্তু কতজন ইমাম কে আর ধরে ধরে জিজ্ঞেস করব? এজন্য অনেক পেরেশান লাগে।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
লাহনে জলি (অর্থ পরিবর্তন) হয়, এমন ভুল পড়ার দ্বারা নামাজ নষ্ট হয়ে যায়। 

মহান আল্লাহ তাআলার কালাম তিলাওয়াতের বিশেষ নিয়ম ও আদব রয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
وَرَتِّلِ الْقُرْآنَ تَرْتِيلًا
কুরআন তিলাওয়াত কর ধীরস্থির ভাবে, স্পষ্টরূপে। -সূরা মুযযাম্মিল (৭৩) : ৪

হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-
زينوا القرآن بأصواتكم
সুন্দর সূরের মাধ্যমে কুরআনকে  (এর তিলাওয়াতকে) সৌন্দর্যমণ্ডিত কর। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৪৬৮

বিস্তারিত জানুনঃ  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
নিকটতম মাখরাজ বিশিষ্ট হরফ উচ্চারণের ক্ষেত্রে অনেক বিজ্ঞ ইসলামী স্কলারগন ছাড় দিয়েছেন।
উনারা বলেছেন যে এতে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
তবে অনেকেই বলেছেন যে এতে নামাজ ভেঙ্গে যাওয়ার মতো  অর্থ বিকৃত হলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।  

আরো জানুনঃ-  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত গুলোতে অর্থ পরিবর্তন হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে, তাই নামাজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা পূর্ণ ভাবে রয়েছে।

(০২)
এক্ষেত্রে সমস্যা নেই।
তবে যেখানে একেবারেই টান নাই,সেখানে টান দিলে অর্থ পালটে যায়। সেক্ষেত্রে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৩)
কেস B এর কারণে অর্থ পালটে যায়না।
তবে যেখানে একেবারেই টান নাই,সেখানে টান দিলে অর্থ পালটে যায়। সেক্ষেত্রে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। 

(০৪)
এক্ষেত্রে সমস্যা নেই।
তবে আসল মাখরাজ থেকে উচ্চারণে সক্ষমতা থাকলে সেটিই করা উচিত।

(০৫)
এটি মূলত মতবিরোধ পূর্ণ মাসয়ালা। 
তাই সতর্কতা কাম্য।

(০৬)
হ্যাঁ, উক্ত নামাজ হয়নি।
আবারো পড়তে হবে। 

(০৭)
আপনার নামাজ হয়ে গিয়েছে, পুনরায় পড়তে হবেনা।

(০৮)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে কুফর হয়নি,ঈমানও চলে যায়নি।

(০৯)
টান কমের স্থানে বেশি বা বেশির স্থানে কম করলে সমস্যা নেই।
যেখানে একেবারেই টান নাই,সেখানে টান দিলে অর্থ পালটে যায়। সেক্ষেত্রে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। 

আপনার মহল্লার মসজিদে নামাজ পড়ার চেষ্টা করবেন,তার যদি এক হরফের স্থানে আরেক হরফ উচ্চারণ এর ভুল থাকে, বা যেখানে একেবারেই টান নাই,সেখানে টান দেয়ার অভ্যাস থাকে,সেক্ষেত্রে তাকে অবহিত করবেন।

আসলেই এটি যদি সে ভুল ভাবেই উচ্চারণ করে,তাহলে তাকে শুধরিয়ে নিতে বলবেন।
শুধরিয়ে না নিলে কমিটির সাথে আলোচনা করে ইমাম পরিবর্তন করার চেষ্টা করবেন।
এক্ষেত্রে প্রয়োজনে স্থানীয় উলামায়ে কেরামগন সাহায্য নিতেও পারেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...