আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
186 views
in সালাত(Prayer) by (41 points)
edited by
Assalamualaikum Wa rohmatullohi wa barokatuh
আমার বান্ধুবির নামাযে অনেক ওয়াসওয়াসা আসে। আজকে নামায পড়ার সময় ওর সন্দেহ হচ্ছিল ও তিন রাকাত পড়েছে নাকি চার রাকাত ও মোটামোটি শিউর ছিল যে চার রাকাত পড়েছে তাও ও ভেবেছিল সাহু সিজদা দিবে কিন্তু ভুলে গেছে দিতে। ওর আম্মু বলেছে ও নাকি চার রাকাতই পড়েছে। তাও ওর সন্দেহ হচ্ছে।
ওর আম্মু দেখেছে ও চার রাকাতই পড়েছে।
১.এখন  ওর উপর সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে? বা সাহু সিজদা দিতে যে ভুলে গেছে এর জন্য কি নামায দোহরাতে হবে?

২.এভাবে যাদের ওয়াসওয়াসা আসে তারা ইবাদতের স্বাদ হারিয়ে গেলে মানসিক অশান্তিতে থাকে। কখনো রাকাত সিজদা সংখ্যা নিয়ে শিউর হওয়ার পরেও বারবার ওয়াসওয়াসা আসে। বারবার  সাহু সিজদা দিলে ওয়াসওয়াসা আসে। এক্ষেত্রে কী করবে?

৩.কেউ যদি প্রবল ধারণা অনুযায়ী নামায কনটিনিউ করে তাহলে কি শেষে সাহু সিজদা দিবে? যেমন চার রাকাত নাকি তিন রাকাত পড়েছে সন্দেহ পড়েছে এখন কেউ যদি প্রবল ধারণা করে চার রাকাত পড়েছে তাহলে কি সাহু সিজদা দিবে?

৪.কেউ যদি তিন তাসবিহ থেকে বেশি পরিমাণ ভেবে প্রবল ধারণা করে তাহলে কি সাহু সিজদা দিবে? বা তিন তাসবিহ থেকে বেশি পরিমাণ ভাবার পর শিউর হয় তাহলে সাহু সিজদা আসবে?

৫.রুকুর তাসবিহ তিন বারের কম বা জোড় সংখ্যকবার পড়লে সাহু সিজদা দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


নামাযে রা'কাত বা সেজদা সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হলে,যে ঐ ব্যক্তির কি এটা প্রথম হয়েছে না মাঝেমধ্যে এমন হয়।যদি প্রথমবার বা কদাচিৎ হয়ে তাহলে উনি আবার প্রথম থেকে শুরু করে নতুনভাবে পড়ে নিবেন।
(মুছান্নাফে ইবনে আবি শাইবা ২/২৮)

যে ব্যক্তির প্রায় সময় সন্দেহ হয় এবং সন্দেহ তার অভ্যাসে পরিণত হয়, ওই ব্যক্তি যেদিকে তার মন বেশি যায় (প্রবল ধারণা হয়), সেটার ওপর আমল করবে। যদি সব বিষয়ে ধারণা সমান হয়, তাহলে অপেক্ষাকৃত কম সংখ্যার ওপর আমল করবে এবং প্রত্যেক রাকাতকে নামাজের শেষ মনে করে বসবে, শেষে সিজদায়ে সাহু করবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ دَاوُدَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا شَكَّ أَحَدُكُمْ فِي صَلاَتِهِ فَلَمْ يَدْرِ كَمْ صَلَّى ثَلاَثًا أَمْ أَرْبَعًا فَلْيَطْرَحِ الشَّكَّ وَلْيَبْنِ عَلَى مَا اسْتَيْقَنَ ثُمَّ يَسْجُدُ سَجْدَتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ فَإِنْ كَانَ صَلَّى خَمْسًا شَفَعْنَ لَهُ صَلاَتَهُ وَإِنْ كَانَ صَلَّى إِتْمَامًا لأَرْبَعٍ كَانَتَا تَرْغِيمًا لِلشَّيْطَانِ " .

মুহাম্মাদ ইবনু আহমাদ ইবনু আবূ খালাফ (রহঃ) ..... আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিন রাকাআত আদায় করা হলো না চার রাকাআত আদায় করা হলো- সালাতের মধ্যে তোমাদের কারো এরূপ সন্দেহ হলে সে যে কয় রাক’আত আদায় করেছে বলে নিশ্চিত হবে (তিন রাকাআত) সে কয় রাকাআতকে ভিত্তি ধরে অবশিষ্ট করণীয় করবে। এরপর সালাম ফিরানোর পূর্বে দুটি সিজদা করবে। (এখন) সে যদি পাঁচ রাকাআত আদায় করে থাকে তাহলে এ দু' সিজদা দ্বারা তার সালাতের জোড়া পূর্ণ হয়ে যাবে। আর যদি তার সালাত চার রাকাআত হয়ে থাকে তাহলে (এই) সিজদা দুটি শয়তানের মুখে মাটি নিক্ষেপের শামিল হবে। (মুসলিম ১১৫৯.ইসলামী ফাউন্ডেশন ১১৫২, ইসলামীক সেন্টার ১১৬১)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এক্ষেত্রে প্রবল ধারনার উপর আমল করতে হবে।
কোনো একদিকে প্রবল ধারনা হলে তার উপর আমল করলে আর সেজদায়ে সাহু দিতে হবেনা।
,
যদি কোনোদিকেই প্রবল ধারনা না হয়,সেক্ষেত্রে কমটাকে ধরে রুকন গুলো আদায় করতে হবে,এবং এক্ষেত্রে শেষে সেজদায়ে সাহু আদায় করতে হবে 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
তার নামাজ হয়ে গিয়েছে।
দোহরাতে হবেনা।

(০২)
সে পূর্ণ মনোযোগ সহকারে নামাজ আদায় করবে।
প্রয়োজনে রাকাত মনে রাখার জন্য একেবারে শেষের সূরা গুলি দিয়ে নামাজ পড়তে পারে।
অল্প সময়ে নামাজ পড়তে পারে। 

(০৩)
না,এক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু দেয়া আবশ্যক নয়।

(০৪)
এক্ষেত্রে ভাবার সময় সে যদি চুপ থাকে,তাহলে সাহু সেজদাহ আবশ্যক হবে।

(০৫)
না,এতে কোনো সমস্যা নেই।
এক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু দিতে হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 159 views
...