আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
98 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। হুজুর ❕

হুজুর আমি আমার রাসুলের (সাঃ) চুলের সুন্নাহ অনুসরণ করতে চাই। যেহেতু আমার বড় চুল রাখতে ভালো লাগে তাই আমি চাচ্ছি বাবড়ি চুল রাখতে। তাহলে বাবড়ি চুল রাখতে হলে কী আমাকে টাক করে বা চুল একদম ছোট করে রাখা শুরু করতে হবে? নাকি বর্তমানে যেমন চুল আছে ( উল্লেখ যে আমার চুল প্রায় সবদিকে সমান!) তেমন ভাবে ছেড়ে দেব(??) আর বাবড়ি চুল রাখার জন্য কী আলাদা ভাবে নিয়ত করতে হবে ⁉️

বিঃদ্রঃ হুজুর আমার বয়স কিন্তু বেশি না, প্রায় ১৮ বছর!!

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/2013/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে,
পুরুষদের চুল রাখার বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আহকামঃ-

পুরুষের মাথার চুল রাখার ক্ষেত্রে বিধান হল, বাবরি চুল রাখা রাসূল সাঃ এর সুন্নাত। আর মাথা কামিয়ে রাখা সাহাবায়ে কেরাম রাঃ থেকে প্রমাণিত। এটিকেও সুন্নাহ বলা যাবে। তবে সাহাবীদের সুন্নাহ। রাসূল সাঃ থেকে সরাসরি প্রমাণিত সুন্নাহ নয়। কারণ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুধু হজ্ব শেষে মাথার  চুল কামিয়েছেন মর্মে হাদীস পাওয়া যায়। এছাড়া আর কখনো চুল কামিয়েছেন মর্মে বর্ণনা না পাওয়া যায় না।
যেহেতু সাহাবায়ে কেরাম রাঃ গণকেও অনুসরণীয় সাব্যস্ত করা হয়েছে। তাই মাথা কামিয়ে রাখাও সুন্নাহের অন্তর্ভূক্ত।

বাবরি রাখার তিনটি পদ্ধতি
এ বিষয়ে তিন ধরণের বর্ণনা এসেছে। যথা-
ওয়াফরা তথা কানের লতি পর্যন্ত চুল।
লিম্মা তথা গর্দান ও কানের লতির মাঝামাঝি বরাবর বড় রাখা।
জুম্মা তথা ঘাড় পর্যন্ত আলম্বিত চুল।

عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: «كَانَ شَعْرُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى شَحْمَةِ أُذُنَيْهِ» (سنن ابى داود، رقم الحديث-4185)
হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাঃ এর চুল তাঁর দুই কানের লতি পর্যন্ত লম্বা ছিল।  {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪১৮৫}

عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «كَانَ شَعْرُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَوْقَ الْوَفْرَةِ، وَدُونَالْجُمَّةِ» (سنن ابى داود، رقم الحديث–
4187)
হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাঃ এর চুল ঘাড়ের উপর এবং কানের নীচ পর্যন্ত লম্বা ছিল। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪১৮৭}

عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ: «مَا رَأَيْتُ مِنْ ذِي لِمَّةٍ أَحْسَنَ فِي حُلَّةٍ حَمْرَاءَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» زَادَ مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ: «لَهُ شَعْرٌ يَضْرِبُ مَنْكِبَيْهِ» (سنن ابى داود، رقم الحديث-4183)
হযরত বারা বিন আজেব রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি কোন ব্যক্তিকে কান পর্যন্ত বাবরীধারী, লাল ইয়ামেনী চাদরের আবরণে রাসূল সাঃ থেকে অধিক সুন্দর দেখিনি। রাবী মুহাম্মদ রহঃ অতিরিক্ত বর্ণনা করে বলেন যে, তাঁর চুল ঘাড় পর্যন্ত লম্বা ছিল। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪১৮৩}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনাকে টাক করে বা চুল একদম ছোট করে রাখা শুরু করতে হবেনা।

বরং বর্তমানে যেমন চুল আছে,তেমন ভাবে ছেড়ে দিবেন,আপনার মনের মধ্যেই তো রাসুলুল্লাহ সাঃ এর চুলের সুন্নাত অবলম্বনের ইচ্চা বা সংকল্প  রয়েছে,সুতরাং মনেই এই ইচ্ছাই নিয়ত হিসেবে যথেষ্ট।
,
তবে কখনোও যেনো ঘাড় পেড়িয়ে না যায়।

ঘাড় পেরিয়ে গেলে মেয়েদের সাথে সাদৃশ্যতা চলে আসে,বিধায় তাহা জায়েজ নেই।
ছেলেরা সর্বোচ্চ ঘাড়ের সীমা পর্যন্ত চুল রাখতে পারবে,এর বেশি হলে অতিরিক্তটুকু কেটে ফেলতে হবে।

হাদীস শরীফে এসেছে 

  حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ ، عَنْ قَتَادَةَ ، عَنْ عِكْرِمَةَ ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ : لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُتَشَبِّهِينَ مِنَ الرِّجَالِ بِالنِّسَاءِ، وَالْمُتَشَبِّهَاتِ مِنَ النِّسَاءِ بِالرِّجَالِ.
تَابَعَهُ عَمْرٌو ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ

যে সমস্ত পুরুষেরা মহিলাদের সাদৃশ্যতা অবলম্বন করে,আর যে সমস্ত মহিলারা পুরুষদের সাদৃশ্যতা অবলম্বন করে,তাদের উপর রাসুল সাঃ লা'নত করেছেন। (বুখারী শরীফ ৫৮৮৫)   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (3 points)
শুকরিয়া, জাযাকাল্লাহ হুজুর।
আরেকটি বিষয় হুজুর। চুল এবং দাড়ি কী একবারে ছেড়ে দিবো?? মানে দাড়ি তো ছেড়ে দিয়েছি ইনশাআল্লাহ তবে কলির চুল ও ছেড়ে দিতে হবে ⁉️
by (675,600 points)
দাড়ি ছেড়ে দিতে পারেন।
তবে এক মুষ্ঠির বেশি অংশ কাটতেও পারবেন।

আর চুল সর্বোচ্চ ঘাড় পর্যন্ত রাখতে পারবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...