জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
مَنْ أَحْيَا اللَّيَالِی الْخَمْسَ، وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ : لَيْلَةَ التَّرْوِيَة، وَلَيْلَةَ عَرَفَةَ، وَلَيْلَةَ النَّحْرِ، ولَيْلَةَ الْفِطْرِ، وَلَيْلَةَ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ.
منذری، الترغيب والترهيب، 1 : 182
হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি পাঁচটি রাত ইবাদতের মাধ্যমে জাগ্রত থাকবে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।
১. যিলহজ মাসের ৮ তারিখের রাত। ২. যিলহজ মাসের ৯ তারিখের রাত (আরাফার রাত)। ৩. ঈদুল আজহার রাত। ৪. ইদুল ফিতরের রাত। ৫. ১৫ শাবানের রাত। (আত তারগিব ওয়াত তারহিব লিল মুনজেরি ২/৯৮, হাদিস-১৬৫৬)
মুহাদ্দিসিনে কেরামগন বলেছেন,
من أحيا الليالي الأربع وجبت له الجنة، ليلة التروية وليلة عرفة وليلة النحر وليلة الفطر موضوع - رواه نصر المقدسي في جزء من " الأمالي " (186 / 2) عن سويد بن سعيد حدثني عبد الرحيم بن زيد العمي عن أبيه عن وهب بن منبه عن معاذ بن جبل مرفوعا وهذا إسناد موضوع كما يأتي بيانه، وأورده السيوطي في " الجامع الصغير " من رواية ابن عساكر عن معاذ. فتعقبه شارحه المناوي بقوله: " قال ابن حجر في " تخريج الأذكار ": حديث غريب، وعبد الرحيم بن زيد العمي أحد رواته متروك وسبقه ابن الجوزي فقال: حديث لا يصح، وعبد الرحيم قال يحيى: كذاب، والنسائي: متروك " قلت: وسويد بن سعيد ضعيف أيضا، فالإسناد ظلمات بعضها فوق بعض! والحديث أورده المنذري في " الترغيب " (2 / 100) بلفظ ".... الليالي الخمس.... " فذكره وزاد في آخره: " وليلة النصف من شعبان " ثم قال: " رواه الأصبهاني ". وأشار المنذري لضعفه أو وضعه. قلت: وهو عند الأصبهاني في " الترغيب " (ق 50 / 2) من الوجه المذكور
যে ব্যক্তি চারটি রাত (ইবাদাতকরণার্থে) জাগ্রত থাকবে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। তারবিয়ার রাত (যিল হিজ্জার আট তারিখের রাত) আরাফার রাত, কুরবানীর দিবসের রাত এবং ঈদুল ফিতরের রাত।
হাদীছটি মওযু'।
এটি নাসর ইবনুল মাকদেসী "আল-আমলী" গ্রন্থের এক অংশে (২/১৮৬) সুওয়ায়েদ ইবনু সাঈদ সূত্রে আব্দুর রহীম ইবনু যায়েদ ইবনে আল-আমী হতে ... বর্ণনা করেছেন। এ সনদটি বানোয়াট। হাদীছটিকে সুয়ূতী "আল-জামেউস সাগীর" গ্রন্থে ইবনু আসাকিরের বর্ণনায় মুয়ায (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তার ভাষ্যকার মানবী তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ ইবনু হাজার “তাখরীজুল আযকার” গ্রন্থে বলেছেনঃ হাদীছটি গারীব। বর্ণনাকারী আব্দুর রহীম ইবনু যায়েদ আল-আমী মাতরূক। ইবনুল জাওয়ী বলেনঃ হাদীছটি সহীহ নয়। আব্দুর রহীম সম্পর্কে ইয়াহইয়া বলেনঃ তিনি মিথ্যুক। নাসাঈ বলেনঃ তিনি মাতরূক।
আমি (আলবানী) বলছিঃ সুওয়ায়েদ ইবনু সাঈদও দুর্বল। অতএব সনদটি অন্ধকারাচ্ছন্ন যার একটি অপরটির ঊর্ধ্বে। হাদীছটি মুনযেরী "আত-তারগীব" (২/১০০) গ্রন্থে মধ্য শাবানের রাতকে যুক্ত করে পাঁচটি রাতের কথা উল্লেখ করে বর্ণনা করেছেন। এটি আল-আসফাহানী বর্ণনা করেছেন। অতঃপর মুনযের হাদীছটি দুর্বল কিংবা বানোয়াট হওয়ার দিকেই ইঙ্গিত করেছেন।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত হাদীসকে অনেকে জয়ীফ বলেছেন,আবার কেহ কেহ মওযু' বলে আখ্যায়িত করেছেন।