আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
91 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।
আগে দ্বীনের জ্ঞান ছিল না। স্কুলে পড়ার সময় টিচারদের কাছে প্রাইভেট পড়তাম।তখন আব্বু পুরো টাকা দিলেও আম্মু কিছু টাকা রাখতেন সেখান থেকে।আমি আবার টিচারদের দেওয়ার সময় কখনও পুরোটা দিছি, কখনও কিছু রাখছি।আল্লাহ মাফ করুক।এখন আমি কি করতে পারি?

এখনো তো আমি কোনো চাকরী করিনা।আব্বুর টাকাতেই চলি।আমি এখন কীভাবে দায়মুক্ত হতে পারি?আমি একজন মেয়ে।স্যাররা হিন্দু ছিলেন।আমি এখন এসব উল্লেখ করে কিভাবে মাফ চাবো!!!আমার ফ্যামিলির কিছুটা পরিচিতি আছে টিচারদের মাঝে, আমার কারণে ভাই বোনদের মানহানি হবে এতে।

আমি কোনো কথার মাধ্যমে মাফ চাইলে হবে কি???আর আমি টাকাটার হিসাবও জানিনা,কত টাকা কি করলাম!!!আমি মুসলিম ছিলাম।কিন্তু দ্বীন মানতাম না কারণ আমার এত বুঝ ছিল না।এখন কি দ্বীনে আসার পর আগের গুনাহ গুলো মাফ হবে না???

প্লিজজজ সাহায্য করুন

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে।
(বুখারী শরীফ ২৪৪৯.৬৫৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যখন টিচারকে প্রাইভেট এর বেতন দিতেন,সেক্ষেত্রে কম দেয়ার সময় টিচারকে কি বলতেন?

আপনি কি বলেছিলেন যে বাকি টাকা আপনি পরে দিবেন? অর্থাৎ টাকা পরে দিবেন বলে বাকি রেখে দিয়েছিলেন?  এ ধরনের কথা বলে থাকলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনাকে বাকি টাকা আনুমানিক একটি হিসাব কষে দিতে হবে।

প্রয়োজনে যখন আপনার দেয়ার সামর্থ হবে,তখন দিবেন,স্যারকে না দিলে স্যারের বিকাশ নগদ ইত্যাদিতে পাঠিয়ে দিবেন।
বা মোবাইলে ফ্লাক্সিলোড দিবেন,অথবা তার ব্যাংক একাউন্টে পাঠিয়ে দিবেন।

অথবে নিজে বা কাহারো মাধ্যমে মাফ চেয়ে নিবেন।

★আর যদি আপনি টাকা কম দেয়ার সময় বাকি টাকা দেয়া আপনার পক্ষে কষ্টকর,আর দিতে পারবেননা,এমন কিছু বলে স্যারকে ম্যানেজ করেছিলেন,আর স্যারও সন্তুষ্টি চিত্তে তাহা মেনে নিয়েছিলো,সেক্ষেত্রে আপনার আর কোনো টাকা দিতে হবেনা।
ক্ষমাও চাইতে হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (4 points)
টিচারের সাথে কোনো কথায় হয়নি এ ব্যাপারে।খামে টাকা দেয়া হতো।আর টাকা যে কম দেওয়া হয়েছে এটা স্যার জানতেন কিনা তাও ব্যক্তিটি  জানেনা।
স্যারও কিছু বলেননি কখনো।হয়তো সংকোচে।এক্ষেত্রে???
by (678,880 points)
এক্ষেত্রে এখন উক্ত টিচারের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে হবে।

টিচার যদি বাকি টাকার দাবী ছেড়ে না দেয়,বরং এখন দাবী করে,সেক্ষেত্রে টিচারকে বাকি টাকা আনুমানিক হিসাব করে দিতে হবে।
by
মাফ চেয়ে নিলে হবে না???বিষয়টা এক্সপোস করলে পরিবারের অন্যদের মানহানি হতে পারে।।।
by (678,880 points)
হ্যাঁ, মাফ চেয়ে নিলে হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...