আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
154 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ,

১. মেয়েদের নামাজে অনেক চেষ্টা করে চুল আটকিয়ে রাখার পরেও রুকু বা সিজদাহর সময় যদি মনে হয় যে সামান্য পরিমাণ চুল বের হয়েছে কিন্তু শিওর না , তখন সে নামাজ পড়ে নেয় এবং নামাজ শেষে দেখে যে চুল সত্যিই বের হয়েছিল (খুব বেশি না, ২/৩ টা ) । তাহলে কি সেই নামাজ হবে ?
২. অযুর সময় কি নখের একদম ভিতরের অংশ পর্যন্ত পানি পৌঁছানো জরুরি?
আমি অযুর সুবিধার্থে সবসময় হাত পায়ের নখ খুব ছোট রাখি, মানে যতটুকু পর্যন্ত কাটা যায়, একদম চামড়া ঘেঁষে কেটে রাখি । অযুর সময় সেটাও হাত দিয়ে ঘষে ঘষে চেষ্টা করি যেন পানি পৌঁছায় । এটার জন্য আমার অনেক সময় এবং পানি নষ্ট হয় পাশাপাশি পিঠব্যথা হয়ে যায়।
এবং নখ সামান্য একটু বড় হলে কি নখের ভিতরের অংশে পানি পৌঁছানো জরুরি? নাকি উপর দিয়ে ধুয়ে ফেললেই হবে ? যদি শুধু আঙুলগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেই এবং নখের ভেতর দৃশ্যমান কোনো নাপাকি না থাকে তাহলে কি অজু হবে ?
৩. আমাদের বাসায় প্রায়ই পানি থাকে না, আমরা বালতিতে পানি জমা করে রাখি ‌। অনেক সময়ই দেখা যায় কেউ বাথরুমে গেলে ভুলবশত বালতির পানিতে ২/৩ ফোঁটা ব্যবহৃত পানি বা নাপাক পানি পড়ে যাচ্ছে, এতে কি সম্পূর্ণ বালতির পানি নাপাক হয়ে যাবে ?
তখন কি তা দ্বারা ওজূ বা গোসল করা যাবে ? বালতির পানি যদি অব্যবহৃত পানির মতোই স্বচ্ছ হয় এবং তাতে কোনো গন্ধ বা স্বাদ পরিবর্তন না হয়, তাহলে কি তা দ্বার অজু গোসল করা যাবে ?
৪. আমি অজু করার সময় বাথরুমের ফ্লোরে পানি দিয়ে একবার পরিষ্কার করে নেই, এরপর সেখানে কল থেকে অজু করি । তখন কলের পানি নিচে পড়ে অনেক সময়ই কাপড়ে ছিটে আসে । ঐ পানিটা কি নাপাক ? আবার অনেক সময়ই নিচে খালি বালতি দিয়ে, বালতির উপর অজু করি তখন বালতির ভিতরে পড়া ব্যবহৃত পানি শরীরে ছিটে আসে , এটা যদি আবার হাতে লাগে তাহলে কি হাত আবার ধুতে হবে ?
৫. সাহু সিজদা দিতে ভুলে গেলে যদি দুইদিকে সালাম ফিরানোর পর মনে পড়ে , তাহলে সাথে সাথে আরো দুটো সিজদা দিয়ে দিলে কি সাহু সিজদা হয়ে যাবে এবং নামাজ সহিহ হবে ?
৬. নামাজে উচ্চস্বরের তিলাওয়াত কোনগুলো আর নিম্নস্বরের তিলাওয়াত কোনগুলো?
৭. আমি তাজউইদের নিয়ম-কানুন জানি, কিন্তু নামাজে শব্দ করে পড়তে না পারায় অনেক সময়ই তাজউইদ ঠিক রেখে তিলাওয়াত করা সম্ভব হয় না । প্রায়ই আইন এর উচ্চারণ হামযাহর মতো বা ح এর উচ্চারণ ه এর মতো হয়ে যায় । এতে কি নামাজে সমস্যা হবে ? আমি যদি মনে মনে তাজউইদ ঠিক রেখে মুখে শুধু ঠোট নাড়িয়ে নামাজ পড়ে ফেলি তাহলে কি নামাজ হবে?
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম এর পরিবর্তে শুধু বিসমিল্লাহ বলে নামাজে সূরা শুরু করা যাবে ?
৮. মাসনুন দুআগুলো যেমন, বাথরুমে প্রবেশের দুআ, ঘুমানোর দুআ, এগুলো মনে মনে পড়ে ফেললে হবে কি ? নাকি তাজউইদ ঠিক রাখার জন্য মুখে উচ্চারণ করে পড়তে হবে ?
৯. আমার সারাক্ষণ ফোঁটা ফোঁটা পেশাব ঝরে, আমি অনেকবার চেক করেছি, পেশাব ধুয়ে উঠে যাওয়ার আগেই কিছুটা পেশাব লজ্জাস্থানে এসে থাকে, যতোই পরিষ্কার করি তা পুরোপুরি যায় না । এজন্য দেখা যায় আমার অজুর জন্য পেশাব ধুয়ে উঠে পড়তে প্রায় ই ৬/৭ মগ পানি লেগে যায় । এক্ষেত্রে কম পানি ব্যবহার করে কিভাবে পবিত্রতা অর্জন করবো ?
আমি গত ৬/৭ বছর ধরে এ সমস্যার জন্য কাছে টিস্যু রাখি । যখনি মনে হয় পেশাব পরিষ্কার হয়েছে তখনি টিস্যু মাঝখানে রেখে উঠে পড়ি, ঐ টিস্যু থাকা অবস্থাতেই নামাজ পড়ি, অনেক সময়ই বুঝতে পারি টিস্যুর ভিতরে পেশাবের ফোটা পড়ছে, এ অবস্থায় কি নামাজ হবে? সবচেয়ে ছোট ওয়াক্তেও এটা হয় এবং একবার অজু করে দুই রাকাত সালাত আদায়ের মতো সময় পাই না ।
মাঝে মাঝে লজ্জাস্থানে আটকে রাখা টিস্যু শরীরের পানি শোষণ করে ভিজে যায় , তখন তাতে পেশাবও থাকতে পারে ২/১ ফোঁটা । সেটা থেকে পানি যদি পায়জামায় লাগে তাহলে কি ঐ পায়জামা দিয়ে নামাজ হবে ?
আমি এভাবে পায়জামা অপবিত্র হয়ে যাওয়ার ভয়ে অজু সম্পূর্ণ করার পর বাথরুম থেকে বের হয়ে আবার ঐ ভেজা টিস্যুটা বদলে আরেকটা পরিষ্কার টিস্যু দিয়ে নেই,
ভেজাটা সরানোর পরপরই আবার ফোটা পেশাব পড়ে, তাহলে কি তখন আমার অজু চলে যাবে ?
১০. অনেক সময় বাথরুম ক্লেয়ার না হলে অজুর পর মলদ্বারে সামান্য পরিমাণে ভেজা অনুভুত হয়, টিস্যু দিয়ে চেক করলে কোনো রং বা চিহ্ন দেখা যায় না শুধু হালকা একটা গন্ধ আসে যা বাথরুমের গন্ধ থেকে আলাদা এবং গন্ধটা একটু পড়েই আবার চলে যায় ‌। মানে টিস্যু দিয়ে চেক করলে তখন একটু ভেজা দেখা যায় কারণ মাত্রই অজুর আগে সে স্থানে পানি পৌঁছানো হয়েছিল, কিন্তু টিস্যুর পানিটা শুকিয়ে যাওয়া মাত্রই গন্ধটাও চলে যায় ।
এমন অবস্থায় কি আবার অজু করতে হবে ?
১১. সবসময় পেশাব পড়ার কারণে আমি মাযুর হিসেবে ৫ ওয়াক্ত সালাতে আলাদা করে অজু করে নিই। কিন্তু ফজরের সময়ে করা অজু দিয়ে কি দুহা পড়তে পারবো ? তখন তো ফজরের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যাবে , তাহলে কি আবার নতুন করে অজু করে নিতে হবে ?
১২. মোটা কম্বল, সোয়েটার, এগুলো ধোয়ার পর অনেক চেষ্টা করলেও পুরোপুরি নিংড়ানো যায় না । আবার বোরকার কাপড় জর্জেট হলে সেটাও টপটপ করে পড়া পানি নিংড়িয়ে পুরোপুরি পানি ফেলে দেয়া যায় না , সেক্ষেত্রে কি যতটুকু সম্ভব হয় ততটুকু নিংড়ে নিয়ে শুকিয়ে নিলে তা দিয়ে নামাজ হবে?
১৩. আপনাদের একটা ফাতওয়ায় দেখেছি, কাপড়কে তিনবার পানি পাল্টিয়ে পরিষ্কার করার কথা । এখন আমি যদি একটা বালতিতে ৮/১০ টা কাপড় ধুই এবং ৩ বার পানি পাল্টিয়ে তা ধুয়ে ফেলি তাহলে কি সবগুলো কাপড় পাক হবে ? নাকি প্রত্যেকটা কাপড় আলাদা আলাদা করে ধুতে হবে ?
অনেক চেষ্টা করেও কাপড় এমনভাবে নিংড়াতে পারি না যে কাপড় থেকে আর কোনো পানি না পড়ে, আমার পুরো শক্তি দিয়ে চেষ্টা করলেও পারি না । এক্ষেত্রে যতটুকু সম্ভব ততটুকু নিংড়ে নিলে হবে? মানে আমি নিংড়ানোর পর অন্য কেউ সেটা নিংড়াতে চাইলে খুব অল্প পরিমাণ পানিই হয়ত বের হবে ।
১৪. কখনো ফজরের সময় উঠতে না পারলে, নিষিদ্ধ সময় পার হওয়ার পর কি ফজরের সুন্নত এবং ফরজ দুটোই আদায় করা যাবে ? নাকি শুধু ফরজ কাযা আদায় করতে হবে ?
১৫. ফজর এবং আসরের নামাজের পর কি কাযা নামাজ পড়া যাবে ? এবং তিলাওয়াতের সিজদা দেয়া যাবে ?
১৬ . গত একবছর ধরে আমার ডান কানে সারাক্ষণ একটা শব্দ হয় । ট্রেন চলার মতো Ringing sound . এটা একটা অসুস্থতা যাকে Tinnitus বলে । এর কারণে আমার খুব বেশি সমস্যা হচ্ছে না। আমি এই কানে একটু কম শুনতে পাই কিন্তু এটা আমার স্বাভাবিক জীবন যাপনে কোনো প্রভাব ফেলে না । আমার বিয়ের ক্ষেত্রে কি পাত্রপক্ষকে এই বিষয়টা জানানো জরুরি?
দুঃখিত এতগুলো প্রশ্ন করার জন্য। এগুলো আমি বহু বছর ধরে তিন করে আসছি কিন্তু কখনোই কাউকে সরাসরি জিগ্গেস করার সুযোগ এবং সঠিক উত্তর পাইনি ।
আশা‌ করি উত্তর দিবেন, অনেক টেনশনে আছি এগুলো নিয়ে।
জাযাকুমুল্লাহু খইর ফিদ্দুনইয়া ওয়াল আখিরাহ

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
নামাযে এক দুইটি চুল খুলা থাকার কারণে নামায ফাসিদ হবে না। 
ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ 
Fatwa:1027-867/sd=8/1439
اگر نماز میں عورت کے بالوں میں سے ایک دو بال کھلے رہ جائیں تو اس سے نماز فاسد نہیں ہوتی ہے؛ البتہ بالوں کا چوتھائی حصہ کھل جانے سے نماز فاسد ہوجائے گی، خواہ خود عورت کو کھلے ہوئے بال نظر نہ آئیں، لہٰذا صورت مسئولہ میں اگر نماز میں ایک یا دو بال کھلے رہ جائیں تو اس کی وجہ سے نماز فاسد نہیں ہوگی۔
(২)
শরীরে এমন কিছু লেগে থাকলে যা ওজু গোসলের সময় শরীরে পানি পৌছতে বাধা প্রদাণ করে। শরীরে এমন জিনিষ লেগে থাকাবস্থায় ওজু-গোসল কিছুই হবে না। বিশেষ প্রয়োজনে মূল নকের পরে অতিরিক্ত নক সম্পর্কে শরীয়তে কিছুটা শীতিলতা রয়েছে।যা আমরা ইতিপূর্বে দেখেছি। বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/1024

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অযুর সময় কি নখের একদম ভিতরের অংশে পানি  পর্যন্ত পানি পৌঁছানো জরুরি নয়।

(৩) বালতিতে নিশ্চিত কোনো নাপাকি পড়ে থাকলে সেই পানি নাপাক হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে যদি নাপাকি পড়েছে কি না? তা নিশ্চিত না হয়, তাহলে সেই পানি নাপাক হবে না।

(৪) ব্যবহৃত পানির ছিটা নাপাক নয়।

(৫) সাহু সিজদা দিতে ভুলে গেলে যদি দুইদিকে সালাম ফিরানোর পর মনে পড়ে , তাহলে সাথে সাথে আরো দুটো সিজদা দিয়ে তাশাহুদ ও দুরুদ শরীফ পড়ে থাকলে, সাহু সিজদা আদায় হয়ে যাবে এবং নামাজ সহিহ হবে। 

(৬) নামাজে উচ্চস্বরের তিলাওয়াত হল, ফজর,মাগরিব,এশা, জুমআহ এবং ঈদের নামায, সালাতুল কুসুফ বা খুসুফও উচ্ছস্বরের নামাযের অন্তর্ভুক্ত। 
আর নিম্নস্বরের তিলাওয়াতের অন্তর্ভুক্ত হল, জোহর,আসরের নামায।নফল নামায উভয়ভাবে পড়া যাবে।তবে নিম্নস্বরে পড়াই উত্তম।

(৭) তাজবীদ সঠিক ভাবে আদায় না করার কারণে নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1126


(৮) মাসনুন দুআগুলো যেমন, বাথরুমে প্রবেশের দুআ, ঘুমানোর দুআ, এগুলো মনে মনে পড়ে ফেললে হবে না, বরং উচ্ছারণ করে বলতে হবে। 

(৯) আপনি মা'যুর। প্রতি ওয়াক্তের জন্য একবার অজু করবেন।ঐ অজু দ্বারা ওয়াক্তের ভিতর সকল প্রকার নামায পড়তে পারবেন।

(১০) এটা মনের ওয়াসওয়াসা। আপনার আবার অজু করতে হবে না।

(১১) দোহার জন্য পৃথক অজু করে নিবেন।

(১২) যতটুকু সম্ভব নিংড়িয়ে নিলেই পবিত্র হয়ে যাবে।সামর্থ্যর বেশী নিংড়াতে হবে না।

(১৩)
إنْ غَسَلَ ثَلَاثًا فَعَصَرَ فِي كُلِّ مَرَّةٍ ثُمَّ تَقَاطَرَتْ مِنْهُ قَطْرَةٌ فَأَصَابَتْ شَيْئًا إنْ عَصَرَهُ فِي الْمَرَّةِ الثَّالِثَةِ وَبَالَغَ فِيهِ بِحَيْثُ لَوْ عَصَرَهُ لَا يَسِيلُ مِنْهُ الْمَاءُ فَالثَّوْبُ وَالْيَدُ وَمَا تَقَاطَرَ طَاهِرٌ وَإِلَّا فَالْكُلُّ نَجِسٌ. هَكَذَا فِي الْمُحِيطِ.
যদি কেউ কাপড়কে তিনবার ধৌত করে,এবং প্রত্যেকবার নিংড়ায়, অতঃপর কাপড় থেকে পানির ফোটা কোনো জিনিষে পড়ে, যদি তৃতীয়বার ভালভাবে নিংড়ানো হয়ে থাকে,এমনভাবে যে এরপর আর নিংড়ালে কোনো পানি বের হবে না,তাহলে কাপড় থেকে যে পানি পড়বে,সেই পানি ও কাপড় এবং হাত কোনো কিছুই নাপাক বলে বিবেচিত হবে না।আর যদি নিংড়ানো না হয়ে থাকে,তাহলে তিনবার ধৌত করার পরও কাপড় থেকে ফোট ফোটা করে পরে যাওয়া পানি নাপাক বলেই গণ্য হবে। ( ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪২)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/23740

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
একটি বালতিতে একসাথে একাধিক কাপড় ভিজিয়ে সবগুলো কাপড়কে একসাথে তিনবার ধৌত করে নিলেই হবে। পৃথক পৃথক ধৌত করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। হ্যা, প্রত্যেকটি কাপড়কে নিংড়াতে হবে। যতটুকু সম্ভব নিংড়ালেই হবে,কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে।

(১৪)
কখনো ফজরের সময় উঠতে না পারলে, নিষিদ্ধ সময় পার হওয়ার পর  ফজরের সুন্নত এবং ফরজ দুটোই আদায় করা যাবে।

(১৫)
ফজর এবং আসরের নামাজের পর কাযা নামাজ পড়া যাবে।  এবং তিলাওয়াতের সিজদাও দেয়া যাবে।


(১৬)
যেহেতু এটা পারিবারিক জীবনে কোনো সমস্যা তৈরী করবে না, তাই এটা পাত্রপক্ষকে না জানালেই চলবে। তবে যদি কানে এই পরিমাণ কম শুনেন যে, ভবিষ্যতে পারিবারিক জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে, তাহলে বিয়ের পূর্বে পাত্র পক্ষ্যকে জানাতে হবে নতুবা ধোকা হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (11 points)
জাযাকাল্লহু খইর উস্তাজ। 
আমার প্রথম থেকে ১২ টি প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়নি। যদি উত্তর দিতেন অনেক উপকৃত হতাম । 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 113 views
0 votes
1 answer 170 views
...