ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
নামাযে এক দুইটি চুল খুলা থাকার কারণে নামায ফাসিদ হবে না।
ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ
Fatwa:1027-867/sd=8/1439
اگر نماز میں عورت کے بالوں میں سے ایک دو بال کھلے رہ جائیں تو اس سے نماز فاسد نہیں ہوتی ہے؛ البتہ بالوں کا چوتھائی حصہ کھل جانے سے نماز فاسد ہوجائے گی، خواہ خود عورت کو کھلے ہوئے بال نظر نہ آئیں، لہٰذا صورت مسئولہ میں اگر نماز میں ایک یا دو بال کھلے رہ جائیں تو اس کی وجہ سے نماز فاسد نہیں ہوگی۔
(২)
শরীরে এমন কিছু লেগে থাকলে যা ওজু গোসলের সময় শরীরে পানি পৌছতে বাধা প্রদাণ করে। শরীরে এমন জিনিষ লেগে থাকাবস্থায় ওজু-গোসল কিছুই হবে না। বিশেষ প্রয়োজনে মূল নকের পরে অতিরিক্ত নক সম্পর্কে শরীয়তে কিছুটা শীতিলতা রয়েছে।যা আমরা ইতিপূর্বে দেখেছি। বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/1024
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অযুর সময় কি নখের একদম ভিতরের অংশে পানি পর্যন্ত পানি পৌঁছানো জরুরি নয়।
(৩) বালতিতে নিশ্চিত কোনো নাপাকি পড়ে থাকলে সেই পানি নাপাক হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে যদি নাপাকি পড়েছে কি না? তা নিশ্চিত না হয়, তাহলে সেই পানি নাপাক হবে না।
(৪) ব্যবহৃত পানির ছিটা নাপাক নয়।
(৫) সাহু সিজদা দিতে ভুলে গেলে যদি দুইদিকে সালাম ফিরানোর পর মনে পড়ে , তাহলে সাথে সাথে আরো দুটো সিজদা দিয়ে তাশাহুদ ও দুরুদ শরীফ পড়ে থাকলে, সাহু সিজদা আদায় হয়ে যাবে এবং নামাজ সহিহ হবে।
(৬) নামাজে উচ্চস্বরের তিলাওয়াত হল, ফজর,মাগরিব,এশা, জুমআহ এবং ঈদের নামায, সালাতুল কুসুফ বা খুসুফও উচ্ছস্বরের নামাযের অন্তর্ভুক্ত।
আর নিম্নস্বরের তিলাওয়াতের অন্তর্ভুক্ত হল, জোহর,আসরের নামায।নফল নামায উভয়ভাবে পড়া যাবে।তবে নিম্নস্বরে পড়াই উত্তম।
(৭) তাজবীদ সঠিক ভাবে আদায় না করার কারণে নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।
(৮) মাসনুন দুআগুলো যেমন, বাথরুমে প্রবেশের দুআ, ঘুমানোর দুআ, এগুলো মনে মনে পড়ে ফেললে হবে না, বরং উচ্ছারণ করে বলতে হবে।
(৯) আপনি মা'যুর। প্রতি ওয়াক্তের জন্য একবার অজু করবেন।ঐ অজু দ্বারা ওয়াক্তের ভিতর সকল প্রকার নামায পড়তে পারবেন।
(১০) এটা মনের ওয়াসওয়াসা। আপনার আবার অজু করতে হবে না।
(১১) দোহার জন্য পৃথক অজু করে নিবেন।
(১২) যতটুকু সম্ভব নিংড়িয়ে নিলেই পবিত্র হয়ে যাবে।সামর্থ্যর বেশী নিংড়াতে হবে না।
(১৩)
إنْ غَسَلَ ثَلَاثًا فَعَصَرَ فِي كُلِّ مَرَّةٍ ثُمَّ تَقَاطَرَتْ مِنْهُ قَطْرَةٌ فَأَصَابَتْ شَيْئًا إنْ عَصَرَهُ فِي الْمَرَّةِ الثَّالِثَةِ وَبَالَغَ فِيهِ بِحَيْثُ لَوْ عَصَرَهُ لَا يَسِيلُ مِنْهُ الْمَاءُ فَالثَّوْبُ وَالْيَدُ وَمَا تَقَاطَرَ طَاهِرٌ وَإِلَّا فَالْكُلُّ نَجِسٌ. هَكَذَا فِي الْمُحِيطِ.
যদি কেউ কাপড়কে তিনবার ধৌত করে,এবং প্রত্যেকবার নিংড়ায়, অতঃপর কাপড় থেকে পানির ফোটা কোনো জিনিষে পড়ে, যদি তৃতীয়বার ভালভাবে নিংড়ানো হয়ে থাকে,এমনভাবে যে এরপর আর নিংড়ালে কোনো পানি বের হবে না,তাহলে কাপড় থেকে যে পানি পড়বে,সেই পানি ও কাপড় এবং হাত কোনো কিছুই নাপাক বলে বিবেচিত হবে না।আর যদি নিংড়ানো না হয়ে থাকে,তাহলে তিনবার ধৌত করার পরও কাপড় থেকে ফোট ফোটা করে পরে যাওয়া পানি নাপাক বলেই গণ্য হবে। ( ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
একটি বালতিতে একসাথে একাধিক কাপড় ভিজিয়ে সবগুলো কাপড়কে একসাথে তিনবার ধৌত করে নিলেই হবে। পৃথক পৃথক ধৌত করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। হ্যা, প্রত্যেকটি কাপড়কে নিংড়াতে হবে। যতটুকু সম্ভব নিংড়ালেই হবে,কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে।
(১৪)
কখনো ফজরের সময় উঠতে না পারলে, নিষিদ্ধ সময় পার হওয়ার পর ফজরের সুন্নত এবং ফরজ দুটোই আদায় করা যাবে।
(১৫)
ফজর এবং আসরের নামাজের পর কাযা নামাজ পড়া যাবে। এবং তিলাওয়াতের সিজদাও দেয়া যাবে।
(১৬)
যেহেতু এটা পারিবারিক জীবনে কোনো সমস্যা তৈরী করবে না, তাই এটা পাত্রপক্ষকে না জানালেই চলবে। তবে যদি কানে এই পরিমাণ কম শুনেন যে, ভবিষ্যতে পারিবারিক জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে, তাহলে বিয়ের পূর্বে পাত্র পক্ষ্যকে জানাতে হবে নতুবা ধোকা হয়ে যাবে।