ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
فَإِن طَلَّقَهَا فَلاَ تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىَ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ فَإِن طَلَّقَهَا فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللّهِ وَتِلْكَ حُدُودُ اللّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ
তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে, তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কতৃক নির্ধারিত সীমা; যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2729
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু বোনটি জন্মসূত্রে বাংলাদেশী, সুতরাং বোন হানাফি। কেননা বোনের বাবা দাদা পরিদাদা সবাই হানাফি হবেন সম্ভব। এর কারণ হল, মুগল সাম্রাজ্য হানাফি ফিকহ তথা ফাতাওয়ায়য়ে হিন্দিয়া বা ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি দ্বারাই রাষ্ট্র পরিচালনা করতো, কাজেই বুঝা গেল যে, এদেশের আদি মাযহাব হানাফি। হানাফি ফিকহ অনুযায়ী একই বৈঠকে তিন তালাক পতিত হয়।এবং হায়েয অবস্থায়ও তালাক পতিত হয়।
সুতরাং প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী তালাক পতিত হবে।