ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1379
তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/835
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)ভয় পেয়ে বাড়িতে এই সব বলার জন্য আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।
(২)আপনার মনে এমন হওয়ার জন্য কাফের হয়ে যাবেন না।
(৩)যদি আপনি ভয় পেয়ে মনে মনে বলেনন, **** আল্লাহ আমাকে কাফের করো না , হিন্দু করোনা****
তখনই মনে হয় ***আল্লাহ আমাকে হিন্দু করে দাও**
এদ্বারা কোনো সমস্যা হবে না। বরং আপনি মুসলিমই থাকবেন।
(৪)নানা রকমের কুফরী কথা মনের মধ্যে আসলে মুখে উচ্চরণ না করলে কাফের হবে না কেউ।
মাঝে মধ্যে মনে হচ্ছে নামাজ না পড়লে কিছু হবে না এটা সম্পূর্ণ মনে মনে হচ্ছে( আস্তাগিরুল্লাহ)। এই সব এইসব বলার দ্বারা কোনো সমস্যা হবে না।
(৫)আমাকে কেউ বাজে কথা বা কুফরী কথা বললো , সে ঘটনা টা আমি অন্য কাউকে শোনালাম । যে অমুক জন এই বলছিলো,
এর জন্য আপনার ঈমান চলে যাবে না।
৬. মনে মনে নানা রকমের কুফরী চিন্তা আসছে কিন্তু মুখে উচ্চরণ করছেন ননা, তাহলে আপনি কাফের হবেন না।
(৭)
শুধু মনে মনে হচ্ছে আমাদের বিয়ের অনুষ্ঠান হলে তালাক।
(১) এর জন্য তালাক হবে না।
(২) অনুষ্ঠান হলে কোনো তালাক হবে না।
মনে মনে ১০০০ বার ও যদি সর্ত তালাক এর চিন্তা হয় বা দিয়ে সেই কাজ করা হলো,সেক্ষেত্রে কোনো তালাকই পতিত হবে না। মুখে উচ্চরণ না করে মনে মনে হলো দিয়ে সেই কাজ করা হলো, তাহলেও কোনো তালাক হবে না।