ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ قَالَ أَحْصَوْا مَا قَتَلَ الْحَجَّاجُ صَبْرًا فَبَلَغَ مِائَةَ أَلْفٍ وَعِشْرِينَ أَلْفَ قَتِيلٍ
হিশাম ইবন হাসসান (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে সমস্ত ব্যক্তিদের হাজ্জাজ বেধে এনে হত্য করেছিল তাদের সংখ্যা একলাখ বিশ হাজারে পৌছে যায়। এ বিষযে আসমা বিনত আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।(সুনানে তিরমিযি-২২২৩)
ইবনে কাসির রাহ লিখেন,
"وقد روينا عنه أنه كان يتدين بترك المسكر ، وكان يكثر تلاوة القرآن ، ويتجنب المحارم ، ولم يشتهر عنه شيء من التلطخ بالفروج ، وإن كان متسرعا في سفك الدماء ، فالله تعالى أعلم بالصواب وحقائق الأمور وساترها ، وخفيات الصدور وضمائرها .
وأعظم ما نقم عليه وصح من أفعاله سفك الدماء ، وكفى به عقوبة عند الله عز وجل ، وقد كان حريصا على الجهاد وفتح البلاد ، وكان فيه سماحة بإعطاء المال لأهل القرآن ، فكان يعطي على القرآن كثيرا ، ولما مات لم يترك فيما قيل إلا ثلاثمائة درهم" انتهى .("البداية والنهاية"-9/153)
হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করা থেকে বিরত থাকতো।সে বেশী বেশী কুরআন তিলাওয়াত করতো।হারাম থেকে বেঁচে থাকতো।নারী কেলেঙ্কারি সম্পর্কে কোনো অভিযোগ তার ব্যাপারে পাওয়া যায়নি। তবে সে রক্তপাতে দ্রুতগামী ছিলো।সামান্য অযুহাতে লোকদের হত্যা করে ফেলতো।আল্লাহই হাকিকত সম্পর্কে ভালো জানেন।
তার সবচেয়ে বড় বদ অভ্যাস ছিলো, সে নরহত্যা চালিয়েছিলো।আল্লাহর শাস্তির জন্য এটাই যথেষ্ট অপরাধ। হাজ্জাজ জিহাদের প্রতি এবং অমুসলিম এলাকাকে বিজিত করার প্রতি লালায়িত ছিলো। সে আহলে কুরআনদের প্রতি মাল খরচ করতে অত্যান্ত আগ্রহী ছিলো। কুরআনওয়লাদের প্রচুর হাদিয়া তুহফা দিতো। হাজ্জাজ যখন মারা গেল, তখন তার সম্পদ তিনশত দিরহামের বেশী ছিল না।।(আল-বেদায়া ওয়ান-নেহায়া- ৯/১৫৩)