বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عن أبي هريرة: أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «من أدرك من الصبح ركعة قبل أن تطلع الشمس، فقد أدرك الصبح، ومن أدرك ركعة من العصر قبل أن تغرب الشمس، فقد أدرك العصر»
তরজমাঃ-
যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের পূর্বে ফজরের এক রা'কাত নামাযের সময় পাবে সে যেন ফজরের নামাযকে পেয়ে গেল।যে ব্যক্তি সূর্যাস্তের পূর্বে আসরের এক রা'কাত নামাযের সময় পাবে সে যেন আসরের নামাযকে পেয়ে গেল।(সহীহ বুখারী-৫৭৯,সহীহ মুসলিম-৬০৮)(মিরকাত-৬০২)
মোল্লা আলী কারী রাহ বলেন,
(وَعَنْهُ) : أَيْ: عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ (قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِذَا أَدْرَكَ أَحَدُكُمْ سَجْدَةً ") : أَيْ: رَكْعَةً إِطْلَاقًا لِلْبَعْضِ عَلَى الْكُلِّ أَوْ سُمِّيَتِ الرَّكْعَةُ سَجْدَةً لِإِتْمَامِهَا بِهَا (مِنْ صَلَاةِ الْعَصْرِ قَبْلَ أَنْ تَغْرُبَ الشَّمْسُ؟ فَلْيُتِمَّ صَلَاتَهُ) : أَيْ: لِيُكْمِلَهَا بِالْبَاقِيَةِ (وَإِذَا أَدْرَكَ سَجْدَةً مِنْ صَلَاةِ الصُّبْحِ قَبْلَ أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ فَلْيُتِمَّ صَلَاتَهُ) : أَيْ: بِالْقَضَاءِ عِنْدَنَا بِأَنْ يُعِيدَهَا (رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ) : وَكَذَا أَحْمَدُ، وَالنَّسَائِيُّ، قَالَهُ مِيرَكُ. وَمُنَاسَبَةُ هَذَا الْحَدِيثِ وَمَا قَبْلَهُ لِعُنْوَانِ الْبَابِ غَيْرُ ظَاهِرَةٍ، وَإِنَّمَا ذَكَرَهُمَا اسْتِطْرَادًا، أَوْ يُقَالُ فِيهِمَا إِشَارَةٌ إِلَى أَنَّ مَنْ أَخَّرَ الصَّلَاةَ إِلَى آخِرِ أَجْزَاءِ وَقْتِهَا، فَلَا يَكُونُ مُقَصِّرًا، وَيَصْدُقُ عَلَيْهِ أَنَّهُ عَجَّلَهَا فِي الْجُمْلَةِ حَيْثُ أَدَّاهَا قَبْلَ الْفَوْتِ.
হানাফি ফকীহগণ,বর্ণিত হাদীসের মুকাবেলায় অন্য হাদীসকে নিয়ে আসছেন না।বরং বর্ণিত হাদীসের তরজমা করছেন এভাবে যে,যদি কেউ সূর্যাস্তের পূর্বে এক রাকাত পরিমাণ সময়কে পেয়ে যায়,তাহলে সে ঐ সময়েই আছরের নামাযকে শুরু করে দেবে,এবং আছরের নামাযকে পূর্ণকরে পড়ে নেবে।কিন্তু যদি ফজরের নামাযের সময় সূর্যোদয়ের পূর্বে এক রা'কাত পরিমাণ সময় পেয়ে যায়,তাহলে ঐ ব্যক্তি ফজরের নামাযকে পরবর্তীতে কা'যার মাধ্যমে পূর্ণ করে নেবে,যেমন তিনি বলেন,
(مِنْ صَلَاةِ الْعَصْرِ قَبْلَ أَنْ تَغْرُبَ الشَّمْسُ؟ فَلْيُتِمَّ صَلَاتَهُ) : أَيْ: لِيُكْمِلَهَا بِالْبَاقِيَةِ (وَإِذَا أَدْرَكَ سَجْدَةً مِنْ صَلَاةِ الصُّبْحِ قَبْلَ أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ فَلْيُتِمَّ صَلَاتَهُ) : أَيْ: بِالْقَضَاءِ عِنْدَنَا بِأَنْ يُعِيدَهَا
আব্দুর রাহমান মুবারক পুরী রাহ লিখেন,
فِي رِوَايَةِ الدَّرَاوَرْدِيِّ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ أَخْرَجَهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ وَجْهَيْنِ وَلَفْظُهُ مَنْ أَدْرَكَ مِنَ الصُّبْحِ رَكْعَةً قَبْلَ أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ وركعة بعد ما تَطْلُعُ الشَّمْسُ فَقَدْ أَدْرَكَ الصَّلَاةَ
ইমাম বায়হাক্বী বর্ণনা করেন যে,যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের পূর্বে এক রা'কাত পেয়ে গেলে এবং সূর্যাস্তের পর আরেক রা'কাত পড়া পরিমাণ সময় পেয়ে গেলে ফজরের ওয়াক্ত পাওয়া গিয়েছে বলে ধর্তব্য হবে।
ইমাম নাসাঈ বলেন,
وَلِلنَّسَائِيِّ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ مَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنَ الصَّلَاةِ فَقَدْ أَدْرَكَ الصَّلَاةَ كُلَّهَا إِلَّا أَنْ يَقْضِيَ مَا فَاتَهُ
যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের পূর্বে এক রাকাত পেয়ে গেছে,সে যেন পূর্ণ নামাযকেই পেয়ে গেছে,তবে পরবর্তী রা'কাত এখন পড়তে হবে না বরং পরবর্তীতে কা'যা করতে হবে।
وَلِلْبَيْهَقِيِّ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ مَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنَ الصُّبْحِ قَبْلَ أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ فَلْيُصَلِّ إِلَيْهَا أُخْرَى
বায়হাক্বীর আরেকটি বর্ণনায় এসেছে,যে ব্যক্তি এক সূর্যোদয়ের পূর্বে এক রা'কাত পেয়ে যাবে,সে যেন আরেক রা'কাতকে পরবর্তীতে মিলিয়ে নেয়।
وَيُؤْخَذُ مِنْ هَذَا الرَّدُّ عَلَى الطَّحَاوِيِّ حَيْثُ خَصَّ الْإِدْرَاكَ بِاحْتِلَامِ الصَّبِيِّ وَطُهْرِ الْحَائِضِ وَإِسْلَامِ الْكَافِرِ وَنَحْوِهَا وَأَرَادَ بِذَلِكَ نُصْرَةَ مَذْهَبِهِ فِي أَنَّ مَنْ أَدْرَكَ مِنَ الصُّبْحِ رَكْعَةً تَفْسُدُ صَلَاتُهُ لِأَنَّهُ لَا يُكْمِلُهَا إِلَّا فِي وَقْتِ الْكَرَاهَةِ
ইমাম তাহাবী রাহ বলেন,
এই পাওয়া বলতে,এই সময়ে যদি কোনো শিশু বালিগ হয়,বা হায়েযা মহিলা পবিত্র হয়,কিংবা কাফির ইসলাম গ্রহণ করে,সুতরাং সূর্যোদয়ের পূর্বে এক রা'কাত কেউ পাইলে,তার নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।কেননা দ্বিতীয় রা'কাত তখন মাকরুহ ওয়াক্তে হবে।(তুহফাতুল আহওয়াজি-১/৪৭২)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ বর্গ
সুনানে বায়হাক্বীর বর্ণনা থেকে বুঝা যায় যে,এই পাওয়ার অর্থ হল,পরবর্তীতে কা'যা করতে হবে।
সূর্যোদয়ের পূর্বে এক রা'কাত পাওয়া গেলে এবং সূর্যোদয়ের পর এক রা'কাত পাওয়া গেলে উভয় রাকাত তথা নামাযকে কাযা বা ইআদাহ করতে হবে।তাই বলা যায় যে,হানাফিদের যুক্তি হাদীসের অনুকূলেই।