আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
336 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
১। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আসর নামাযের পূর্বে চার রাকাত আদায় করে আল্লাহ তাআলা তার শরীরের জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম করে দিবেন। [আলমুজামুল কুবরা, হাদিস নং ৬১১]

২। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আসর নামাযের পূর্বে চার রাকাত নামায গুরুত্বের সাথে আদায় করে আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতের একটি আসন তৈরি করবেন। [মুসনাদে আবি ইলা হাদিস নং ৭১৩৭]

1 Answer

0 votes
by (589,110 points)
বিসমিহি তা'আলা

সমাধানঃ-

এই হাদীসের সনদের ইত্তেসাল নিয়ে মুহাদ্দিসগণের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে।যার কারণে সনদে দুর্বলতা রয়েছে বলা যায়।তবে  ফযিলত পূর্ণ হাদীসের ব্যাপারে মুহাদ্দিস উলামাদের 'হাদীস মূলনীতি' কিছুটা শীতিলযোগ্য। তাই অনেক মুহাদ্দিস উক্ত হাদীস সমূহকে আমলযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করেছেন।

মোটকথাঃ আছরের পূর্বে চার রা'কাত নফল নামায প্রমাণিত রয়েছে।এবং এর সুনির্দিষ্ট সুওয়াবও বর্ণিত রয়েছে, তথা জাহান্নামের আগুন হারাম হওয়া ও প্রতিদান স্বরূপ জান্নাত পাওয়া।
কিন্তু সেই চার রা'কাত মু'আক্বাদাহ কি না?
এ সম্পর্কে মতপার্থক্য রয়েছে।বিশুদ্ধ কথা হল,আছরের পূর্বের চার রা'কাত নফল পড়া যাবে তবে সেগুলো মু'আক্বাদাহ নয়।যেহেতু রাসূলুল্লাহ সাঃ সর্বাবস্থায় পড়েছেন বলে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

উমদাতুল ক্বারী শরহে বোখারীতে বর্ণিত রয়েছে-(৭/২৩৪-শামেলা-হাদীস নং;২৭১১)

ﻓﺎﺋﺪﺓ ﻟﻴﺲ ﻓﻲ ﺣﺪﻳﺚ ﺍﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﺍﻟﻤﺬﻛﻮﺭ ﺍﻟﻨﻔﻞ ﻗﺒﻞ ﺍﻟﻌﺼﺮ ﻭﺭﻭﻯ ﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺭﺣﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻣﺮﺃ ﺻﻠﻰ ﻗﺒﻞ ﺍﻟﻌﺼﺮ ﺃﺭﺑﻌﺎ ﻭﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﺃﻳﻀﺎ ﻭﻗﺎﻝ ﻫﺬﺍ ﺣﺪﻳﺚ ﻏﺮﻳﺐ ﺣﺴﻦ ﻭﺭﻭﺍﻩ ﺍﺑﻦ ﺣﺒﺎﻥ ﻓﻲ ( ﺻﺤﻴﺤﻪ ) ﻭﺭﻭﻯ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﺃﻳﻀﺎ ﻣﻦ ﺣﺪﻳﺚ ﻋﻠﻲ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﻛﺎﻥ ﻳﺼﻠﻲ ﻗﺒﻞ ﺍﻟﻌﺼﺮ ﺃﺭﺑﻊ ﺭﻛﻌﺎﺕ ﻳﻔﺼﻞ ﺑﻴﻨﻬﻦ ﺑﺎﻟﺘﺴﻠﻴﻢ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻤﻼﺋﻜﺔ ﺍﻟﻤﻘﺮﺑﻴﻦ ﻭﻣﻦ ﺗﺒﻌﻬﻢ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻴﻦ ﻭﺍﻟﻤﺆﻣﻨﻴﻦ ﻭﻗﺎﻝ ﺣﺪﻳﺚ ﻋﻠﻲ ﺣﺪﻳﺚ ﺣﺴﻦ ﻭﺃﺧﺮﺟﻪ ﺑﻘﻴﺔ ﺃﺻﺤﺎﺏ ﺍﻟﺴﻨﻦ ﻣﻊ ﺍﺧﺘﻼﻑ ﻭﺭﻭﻯ ﺍﻟﻄﺒﺮﺍﻧﻲ ﻣﻦ ﺣﺪﻳﺚ ﻣﺠﺎﻫﺪ ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﻤﺮﻭ ﺑﻦ ﺍﻟﻌﺎﺹ ﻗﺎﻝ ﺟﺌﺖ ﻭﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻗﺎﻋﺪ ﻓﻲ ﺃﻧﺎﺱ ﻣﻦ ﺃﺻﺤﺎﺑﻪ ﻣﻨﻬﻢ ﻋﻤﺮ ﺑﻦ ﺍﻟﺨﻄﺎﺏ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻋﻨﻪ ﻓﺄﺩﺭﻛﺖ ﺁﺧﺮ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﻭﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻳﻘﻮﻝ ﻣﻦ ﺻﻠﻰ ﺃﺭﺑﻊ ﺭﻛﻌﺎﺕ ﻗﺒﻞ ﺍﻟﻌﺼﺮ ﻟﻢ ﺗﻤﺴﻪ ﺍﻟﻨﺎﺭ ﻭﻓﻴﻪ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻜﺮﻳﻢ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺍﻟﻤﺨﺎﺭﻕ ﺿﻌﻴﻒ ﻭﺭﻭﻯ ﺃﺑﻮ ﻧﻌﻴﻢ ﻣﻦ ﺣﺪﻳﺚ ﺍﻟﺤﺴﻦ ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﻦ ﺻﻠﻰ ﻗﺒﻞ ﺍﻟﻌﺼﺮ ﺃﺭﺑﻊ ﺭﻛﻌﺎﺕ ﻏﻔﺮ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﺰ ﻭﺟﻞ ﻟﻪ ﻣﻐﻔﺮﺓ ﻋﺰﻣﺎ ﻭﺍﻟﺤﺴﻦ ﻟﻢ ﻳﺴﻤﻊ ﻣﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺼﺤﻴﺢ ﻭﺭﻭﻯ ﺃﺑﻮ ﻳﻌﻠﻰ ﻣﻦ ﺣﺪﻳﺚ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﻨﺒﺴﺔ ﻳﻘﻮﻝ ﺳﻤﻌﺖ ﺃﻡ ﺣﺒﻴﺒﺔ ﺑﻨﺖ ﺃﺑﻲ ﺳﻔﻴﺎﻥ ﺗﻘﻮﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﻦ ﺣﺎﻓﻆ ﻋﻠﻰ ﺃﺭﺑﻊ ﺭﻛﻌﺎﺕ ﻗﺒﻞ ﺍﻟﻌﺼﺮ ﺑﻨﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻟﻪ ﺑﻴﺘﺎ ﻓﻲ ﺍﻟﺠﻨﺔ ﻭﺭﻭﻯ ﺍﻟﻄﺒﺮﺍﻧﻲ ﻓﻲ ( ﺍﻟﻜﺒﻴﺮ ) ﻣﻦ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻋﻄﺎﺀ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺭﺑﺎﺡ ﻋﻦ ﺃﻡ ﺳﻠﻤﺔ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﻗﺎﻝ ﻣﻦ ﺻﻠﻰ ﺃﺭﺑﻊ ﺭﻛﻌﺎﺕ ﻗﺒﻞ ﺍﻟﻌﺼﺮ ﺣﺮﻡ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﺪﻧﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻨﺎﺭ ﻭﻗﺎﻝ ﺷﻴﺨﻨﺎ ﻭﻓﻴﻪ ﺍﺳﺘﺤﺒﺎﺏ ﺃﺭﺑﻊ ﺭﻛﻌﺎﺕ ﻗﺒﻞ ﺍﻟﻌﺼﺮ ﻭﻫﻮ ﻛﺬﻟﻚ ﻭﻗﺎﻝ ﺻﺎﺣﺐ ( ﺍﻟﻤﻬﺬﺏ ) ﺇﻥ ﺍﻷﻓﻀﻞ ﺃﻥ ﻳﺼﻠﻲ ﻗﺒﻠﻬﺎ ﺃﺭﺑﻌﺎ ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻨﻮﻭﻱ ﻓﻲ ( ﺷﺮﺣﻪ ) ﺇﻧﻬﺎ ﺳﻨﺔ ﻭﺇﻧﻤﺎ ﺍﻟﺨﻼﻑ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﺆﻛﺪ ﻣﻨﻪ ﻭﻗﺎﻝ ﻓﻲ ( ﺷﺮﺡ ﻣﺴﻠﻢ ) ﺇﻧﻪ ﻻ ﺧﻼﻑ ﻓﻲ ﺍﺳﺘﺤﺒﺎﺑﻬﺎ ﻋﻨﺪ ﺃﺻﺤﺎﺑﻨﺎ ﻭﺟﺰﻡ ﺍﻟﺸﻴﺦ ﻓﻲ ﺍﻟﺘﻨﺒﻴﻪ ﺑﺄﻥ ﻣﻦ ﺍﻟﺮﻭﺍﺗﺐ ﻗﺒﻞ ﺍﻟﻌﺼﺮ ﺃﺭﺑﻊ ﺭﻛﻌﺎﺕ ﻭﻣﻤﻦ ﻛﺎﻥ ﻳﺼﻠﻴﻬﺎ ﺃﺭﺑﻌﺎ ﻣﻦ ﺍﻟﺼﺤﺎﺑﺔ ﻋﻠﻲ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﻃﺎﻟﺐ ﻭﻗﺎﻝ ﺇﺑﺮﺍﻫﻴﻢ ﺍﻟﻨﺨﻌﻲ ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻳﺼﻠﻮﻥ ﺃﺭﺑﻌﺎ ﻗﺒﻞ ﺍﻟﻌﺼﺮ ﻭﻻ ﻳﺮﻭﻧﻬﺎ ﻣﻦ ﺍﻟﺴﻨﺔ ﻭﻣﻤﻦ ﻛﺎﻥ ﻻ ﻳﺼﻠﻲ ﻗﺒﻞ ﺍﻟﻌﺼﺮ ﺷﻴﺌﺎ ﺳﻌﻴﺪ ﺑﻦ ﺍﻟﻤﺴﻴﺐ ﻭﺍﻟﺤﺴﻦ ﺍﻟﺒﺼﺮﻱ ﻭﺳﻌﻴﺪ ﺑﻦ ﻣﻨﺼﻮﺭ ﻭﻗﻴﺲ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺣﺎﺯﻡ ﻭﺃﺑﻮ ﺍﻷﺣﻮﺹ ﻭﺳﺌﻞ ﺍﻟﺸﻌﺒﻲ ﻋﻦ ﺍﻟﺮﻛﻌﺘﻴﻦ ﻗﺒﻞ ﺍﻟﻌﺼﺮ ﻓﻘﺎﻝ ﺇﻥ ﻛﻨﺖ ﺗﻌﻠﻢ ﺃﻧﻚ ﺗﺼﻠﻴﻬﻤﺎ ﻗﺒﻞ ﺃﻥ ﺗﻘﻴﻢ ﻓﺼﻞ ﻭﻛﻼﻡ ﺍﻟﺸﻌﺒﻲ ﻳﺪﻝ ﻋﻠﻰ ﺃﻧﻬﻢ ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻳﻌﺠﻠﻮﻥ ﺻﻼﺓ ﺍﻟﻌﺼﺮ ﻭﺃﻥ ﻣﻦ ﺗﺮﻙ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻗﺒﻠﻬﺎ ﺇﻧﻤﺎ ﻛﺎﻥ ﺧﺸﻴﺔ ﺃﻥ ﺗﻘﺎﻡ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻭﻫﻮ ﻓﻲ ﺍﻟﻨﺎﻓﻠﺔ ﻭﻗﺎﻝ ﻣﺤﻤﺪ ﺑﻦ ﺟﺮﻳﺮ ﺍﻟﻄﺒﺮﻱ ﻭﺍﻟﺼﻮﺍﺏ ﻋﻨﺪﻧﺎ ﺃﻥ ﺍﻷﻓﻀﻞ ﻓﻲ ﺍﻟﺘﻨﻔﻞ ﻗﺒﻞ ﺍﻟﻌﺼﺮ ﺑﺄﺭﺑﻊ ﺭﻛﻌﺎﺕ ﻟﺼﺤﺔ ﺍﻟﺨﺒﺮ ﺑﺬﻟﻚ ﻋﻦ ﻋﻠﻲ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻋﻨﻪ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ

আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

উত্তর লিখনে

মুফতী ইমদাদুল হক

ইফতা বিভাগ, IOM.

পরিচালক

ইসলামিক রিচার্স কাউন্সিল বাংলাদেশ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...