মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
یٰۤاَیُّہَا النَّبِیُّ قُلۡ لِّاَزۡوَاجِکَ وَ بَنٰتِکَ وَ نِسَآءِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ یُدۡنِیۡنَ عَلَیۡہِنَّ مِنۡ جَلَابِیۡبِہِنَّ ؕ ذٰلِکَ اَدۡنٰۤی اَنۡ یُّعۡرَفۡنَ فَلَا یُؤۡذَیۡنَ ؕ وَ کَانَ اللّٰہُ غَفُوۡرًا رَّحِیۡمًا ﴿۵۹﴾
হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে ও মুমিনদের নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিছু অংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজতর হবে, ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আর আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(সুরা আহযাব ৫৯)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنِي دَاوُدُ بْنُ سَوَّارٍ الْمُزَنِيُّ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ وَزَادَ " وَإِذَا زَوَّجَ أَحَدُكُمْ خَادِمَهُ عَبْدَهُ أَوْ أَجِيرَهُ فَلَا يَنْظُرْ إِلَى مَا دُونَ السُّرَّةِ وَفَوْقَ الرُّكْبَةِ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهِمَ وَكِيعٌ فِي اسْمِهِ وَرَوَى عَنْهُ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ فَقَالَ حَدَّثَنَا أَبُو حَمْزَةَ سَوَّارٌ الصَّيْرَفِيُّ .
দাঊদ ইবনু সাওয়ার আল-মুযানী (রহঃ) একই সানাদ ও অর্থে উক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাতে অতিরিক্তভাবে একথাও রয়েছেঃ তোমাদের কেউ তার দাসীকে তার দাসের সঙ্গে বিয়ে দিলে (এরপর থেকে) সে তার (দাসীর) নাভির নিচে ও হাঁটুর উপরে তাকাবে না।
(আবু দাউদ ৪৯৬)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
দাসীদের সতর কতটুকু?
মাসয়ালাটি মূলত মতবিরোধ পূর্ণ মাসয়ালা।
কেউ কেউ অন্যান্য নারীর মতোই তাদের সতরের কথা উল্লেখ করেছেন।
সেই যামানায় যেহেতু তেমন ফিতনা ছিলোনা,তাই সমস্যা হয়নি।
এখন যেহেতু ফিতনার যামানা,তাই এখন যদি কোনো সময় দাস দাসীর প্রচলন শুরু হয়,সেক্ষেত্রে মুসলিমা দাসীগন অন্যান্য আযাদ নারীদের মতো পূর্ণ শরীর সতর হিসেবে মানবেন।
এক্ষেত্রে অন্যান্য ইসলামী মতের উপর ফতোয়া প্রদান করা হবে।