ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
واحل لكما ما وراء ذلكم ان تبتغوا باموالكم محصنين غير مسافحين فما استمتعتم به منهن فاتوهن اجورهن فريضة ولا جناح عليكم فيما تراضيتم به من بعد الفريضة ان الله كان عليما حكيما
উল্লিখিত নারীরা ছাড়া অন্যদেরকে তোমাদের জন্য বৈধ করা হয়েছে, যে স্বীয় সম্পদ দ্বারা প্রয়াসী হবে তাদের সাথে বিবাহবন্ধনে, ব্যভিচারে নয়। অতএব তাদের নিকট থেকে তোমরা যে আনন্দ উপভোগ করেছ (সে কারণে) তাদের ধার্যকৃত মোহর তাদেরকে প্রদান করবে। আর মোহর নির্ধারিত থাকার পরও কোনো বিষয়ে পরস্পর সম্মত হলে তাতে তোমাদের কোনো অপরাধ হবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।-সূরা নিসা : ২৪
واتوا النساء صدقاتهن نحلة فان طبن لكم عن شيئ منه نفسا فكلوا هنيئا مرئيا
এবং তোমরা নারীদেরকে দাও তাদের মোহর খুশিমনে। এরপর তারা যদি স্বেচ্ছায় স্বাগ্রহে ছেড়ে দেয় কিছু অংশ তোমাদের জন্য তাহলে তা স্বচ্ছন্দে ভোগ কর।-সূরা নিসা : ৪
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
মোহরানা স্ত্রীদের হোক। এটি তাদের অধিকার।
আপনাকে তাহা আদায় করতেই হবে।
যদি আপনি এটি আদায় না করেন,আর স্ত্রীও যদি সন্তুষ্টি চিত্তে মাফ না করে দেয়,সেক্ষেত্রে কিয়ামতের ময়দানে বান্দার হক নষ্টের দরুন সেদিন আপনার জন্য কঠিন অবস্থার সম্মুখীন হতে হবে।
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার স্ত্রী যদি মোহরানার টাকা সন্তুষ্টি চিত্তে কমাতে রাজি হয়,সেক্ষেত্রে তাহা কমে যাবে।
বা সন্তুষ্টি চিত্তে পুরোটা মাফ করে দেয়,সেক্ষেত্রে পুরাটা মাফ হবে।
তবে স্ত্রীকে কোনো চাপ দেয়া যাবেনা।
সে যদি নিজ থেকে সন্তুষ্টি চিত্তে এমনটি করে,তাহলে এটি জায়েজ। নতুবা মাফ হবেনা।
আরো জানুনঃ-
(০২)
বিয়েতে ছেলেদেরকে ""আমি কবুল করলাম"" পুরোটা বলা আবশ্যক নয়। শুধু ""কবুল"" বললেও হবে।
৩. বিয়ে সহিহ হওয়ার জন্য স্বামী স্ত্রীর কোনো নামাজ পড়তে হয়না। এটি কোনো আবশ্যিক নামাজ নয়।
বাসর রাতে যে নামাজ পড়া হয়,এটি মূলত নফল নামাজ। আবশ্যক নয়।
৪. কেউ মনে মনে কোনো কিছু যদি তার জন্য হারাম করে তাহলে সেই জিনিটা তার জন্য হারাম হয়ে যাবেনা।
৫. কেউ যদি মনে মনে তার ওপর কোনো কিছু ওয়াজিব করলে, সেটা তাকে করতেই হবে,বিষয়টা এমন নহে।
তবে কসম করলে তাহা পূরন করতে হবে।
,
৬. কারো নিজের ইমান নিয়ে সংশয় হলে তার নিজের ইমানের কোনো সমস্যা হবেনা।
৭. কারো নিজের ইমান নিয়ে সংশয় হলে সন্দেহের বশে বা সতর্কতার জন্য কালেমায়ে শাহাদাত পড়ে ইমান নবায়ন করলে কোনো সমস্যা হবেনা, যদিও তার আগে ইমান চলে না গিয়ে থাকে।
কোনো সমস্যা হবেনা।
৮. নামাজ না পড়লে কেউ কাফের হয়ে যায়না।
হানাফি মাজহাবে বেনামাজির ওপর শরীয়তের হুকুম হলো তাকে জেলখানায় আবদ্ধ করে রাখা হবে। যতক্ষন না পর্যন্ত সে নামাজ শুরু করে দেয়।
,
৯. ঠান্ডা বা অলসতার কারনে কেউ যদি ফরজ গোসল না করার কারনে ফজরের নামাজ আদায় না করে তাহলে সে কাফের হয়ে যাবেনা।
এতে তার মারাত্মক গুনাহ হবে।
তবে সে শরীয়তের প্রতি ইহানত, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার উদ্দেশ্য নিয়ে এমনটি করলে সে কাফের হয়ে যাবে।
,
বিস্তারিত জানুনঃ-
১০. জায়নামাজের ওপর কাপড় ইস্ত্রি করা যাবে।
১১. ইমান নিয়ে সন্দেহ হলে কালেমায়ে শাহাদাত পড়ে ইমান নবায়ন করা যাবে।
১২. কেউ নিজেকে ঈমানদার জানা সত্বেও কেউ ইচ্ছা করে নতুন করে কালেমায়ে শাহাদাত পড়ে ঈমান নবায়ন করলে তার ইমান চলে যাবেনা।