জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো জামাআতে প্রথম কাতারে দাড়ানোর ফজিলত অনেক বেশি।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَصِيرٍ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا الصُّبْحَ فَقَالَ " أَشَاهِدٌ فُلَانٌ " . قَالُوا لَا . قَالَ " أَشَاهِدٌ فُلَانٌ " . قَالُوا لَا . قَالَ " إِنَّ هَاتَيْنِ الصَّلَاتَيْنِ أَثْقَلُ الصَّلَوَاتِ عَلَى الْمُنَافِقِينَ وَلَوْ تَعْلَمُونَ مَا فِيهِمَا لأَتَيْتُمُوهُمَا وَلَوْ حَبْوًا عَلَى الرُّكَبِ وَإِنَّ الصَّفَّ الأَوَّلَ عَلَى مِثْلِ صَفِّ الْمَلَائِكَةِ وَلَوْ عَلِمْتُمْ مَا فَضِيلَتُهُ لَابْتَدَرْتُمُوهُ وَإِنَّ صَلَاةَ الرَّجُلِ مَعَ الرَّجُلِ أَزْكَى مِنْ صَلَاتِهِ وَحْدَهُ وَصَلَاتُهُ مَعَ الرَّجُلَيْنِ أَزْكَى مِنْ صَلَاتِهِ مَعَ الرَّجُلِ وَمَا كَثُرَ فَهُوَ أَحَبُّ إِلَى اللهِ تَعَالَى " .
উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সাথে ফজরের সলাত আদায় করার পর বললেনঃ অমুক হাযির আছেন কি? সাহাবীগণ বললেনঃ না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ দুই ওয়াক্ত (ফজর ও ‘ইশা) সলাতই মুনাফিকদের জন্য বেশি ভারী হয়ে থাকে। তোমরা যদি এই দুই ওয়াক্ত সলাতে কি পরিমাণ সাওয়াব রয়েছে তা জানতে, তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তোমরা অবশ্যই এতে শামিল হতে। জামা‘আতের প্রথম কাতার মালায়িকাহর (ফিরিশতাদের) কাতারের সমতুল্য। তোমরা যদি এর ফাযীলাত সম্পর্কে জানতে, তাহলে অবশ্যই তোমরা এজন্য প্রতিযোগিতা করতে। নিশ্চয় দু’জনের জামা‘আত একাকী সলাত আদায়ের চেয়ে উত্তম। তিনজনের জামা‘আত দু’জনের জামা‘আতের চেয়ে উত্তম। জামা‘আতে লোক সংখ্যা যত বেশী হবে মহান আল্লাহর নিকট তা ততই বেশি পছন্দনীয়।
{আবু দাউদ ৫৫৪,নাসায়ী (অধ্যায়ঃ ইমামাত, দু’জনে জামা‘আত, হাঃ ৮৪২) দারিমী (অধ্যায়ঃ সালাত, অনুঃ মুনাফিক্বদের জন্য কোন্ সালাত বেশী ভারী, হাঃ ১২৬৯), আহমাদ (৫/১৪০) সকলেই শু‘বাহ সূত্রে।}
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّازُ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ زَكَرِيَّا، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " خَيْرُ صُفُوفِ الرِّجَالِ أَوَّلُهَا وَشَرُّهَا آخِرُهَا
মুহাম্মাদ ইবনুুস সাবাহ ........... আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ পুরুষদের প্রথম কাতার হল সর্বোত্তম এবং শেষ কাতার হল নিকৃষ্টতম।
(মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ)।
,
وقد روي عن النبي صلی اللہ علیہ وسلم أنہ کان یستغفر للصف الأول ثلاثا وللثاني مرةً․ وقال النبي صلی اللہ علیہ وسلم: لو أن الناس یعلمون ما في النداء والصف الأول ثم لم یجدوا إلا أن یستہموا علیہ لاستہموا علیہ“ (ترمذی شریف باب ما جاء في فضل الصف الأول)
ফেরেশতারা প্রথম কাতারে দাড়ানো ব্যাক্তিদের জন্য তিন বার ইস্তেগফার কামনা করে,আর ২য় কাতারের জন্য এক বার ইস্তেগফার পাঠ করে,,,,
.
★তবে প্রশ্নে উল্লেখিত মসজিদে যে প্রথম কাতারটা স্থানীয় মুরুব্বিদের জন্য খালি রাখতে বলা হয়। এটা কোনো ভাবেই ঠিক নয়।
এটি রাসুল সাঃ এর আদেশের খেলাফ।
বরং নিয়ম হলো যে আগে আসবে,সেই আগে প্রথম কাতার পূর্ণ করবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، قَالَ سَأَلْتُ سُلَيْمَانَ الأَعْمَشَ عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، فِي الصُّفُوفِ الْمُقَدَّمَةِ فَحَدَّثَنَا عَنِ الْمُسَيَّبِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ تَمِيمِ بْنِ طَرْفَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " أَلَا تَصُفُّونَ كَمَا تَصُفُّ الْمَلَائِكَةُ عِنْدَ رَبِّهِمْ جَلَّ وَعَزَّ " . قُلْنَا وَكَيْفَ تَصُفُّ الْمَلَائِكَةُ عِنْدَ رَبِّهِمْ قَالَ " يُتِمُّونَ الصُّفُوفَ الْمُقَدَّمَةَ وَيَتَرَاصُّونَ فِي الصَّفِّ " .
জাবির ইবনু সামুরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মালায়িকাহ্ (ফিরিশতাগণ) যেরূপ তাদের প্রতিপালকের নিকট কাতারবদ্ধ হয়ে থাকে তোমরা কি সেরূপ কাতারবদ্ধ হবে না? আমরা বললাম, মালায়িকাহ্ তাদের প্রতিপালকের নিকট কিরূপে কাতারবদ্ধ হয়? তিনি বলেন, সর্বাগ্রে তারা প্রথম কাতার পূর্ণ করে, তারপর পর্যায়ক্রমে পরবর্তী কাতারগুলো এবং তারা কাতারে পরস্পর মিলে মিলে দাঁড়ায়।
মুসলিম (অধ্যায়ঃ সালাত), নাসায়ী (অধ্যায়ঃ ইমামাত, অনুঃ সালাত ক্বায়িম, অনুঃ কাতার সোজা করা, হাঃ ৯৯২), আহমাদ (৫/১০১), সকলেই আ‘মাশ সূত্রে।
,
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأَنْبَارِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، - يَعْنِي ابْنَ عَطَاءٍ - عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَتِمُّوا الصَّفَّ الْمُقَدَّمَ ثُمَّ الَّذِي يَلِيهِ فَمَا كَانَ مِنْ نَقْصٍ فَلْيَكُنْ فِي الصَّفِّ الْمُؤَخَّرِ "
আনাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা সর্বাগ্রে প্রথম কাতার পূর্ণ করবে, তারপর তার পরবর্তী কাতার পূর্ণ করবে। এরপর কোন কাতার অসম্পূর্ণ থাকলে তা যেন শেষ কাতারে হয়।
নাসায়ী (অধ্যায়ঃ ইমামাত, অনুঃ শেষের কাতার, হাঃ ৮১৭), আহমাদ (৩/১৩২), বায়হাক্বী (৩/১০২), সকলেই সাঈদ সূত্রে কাতাদাহ থেকে আনাস সূত্রে।
,
(০২)
আগে গিয়েও যদি দেখা যায় যে প্রথম কাতার পূর্ণ হয়ে গেছে,তাই প্রথম কাতারে দাড়ানো সম্ভব না হলে সেও চেষ্টা থাকার কারনে প্রথম কাতারের ছওয়াব পাবে।
قال فی المعراج الا فضل ان یقف فی الصف الآخر اذا خاف ایذا ء احد قال علیہ الصلاۃ والسلام من ترک الصف الاول مخافۃ ان یؤ ذی مسلما اضعف لہ‘ أ جر صف الا ول وبہ أ خذ ابو حنیفۃو محمد شامی مطلب فی الکلام علی الصنف الا ول ج۱ ص ۵۳۲۔
যার সারমর্ম হলো কেহ যদি প্রথম কাতার থেকে মুছল্লিকে পিছনে সড়িয়ে দিলে মুসলমান কষ্ট পাবে মনে করে,তাকে না সড়িয়ে প্রথম কাতার তরক করে,তাকেও প্রথম কাতারের ছওয়াব দেওয়া হবে।