আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
202 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
closed by
ক) মুসলিমের সাথে তিনদিনের বেশি কথা না বলা কি জায়েয?
এই বিষয়ে মাসয়ালা কি? এর অপকারিতা কি?
খ) আগের নবিদের নেককার উম্মতেরা কেয়ামতের সময় পিপাসিত থাকবে না তাই তাদের হাউসে কাউসার লাগবেনা। তো আমাদের নবিজির উম্মত সবাই কি পিপাসিত থাকবো..যার কারনে হাউসে কাউসার লাগবে?
closed

1 Answer

+1 vote
by (697,760 points)
selected by
 
Best answer
জবাবঃ-
হযরত আবু আইয়ুব রাযি থেকে বর্ণিত
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
 " لا يحل لرجل أن يهجر أخاه المسلم فوق ثلاث ، يلتقيان فيعرض هذا ويعرض هذا وخيرهما الذي يبدأ بالسلام "
মুসলামনের জন্য জায়েয নয় যে,সে তার মুসলমান ভাইয়ের সাথে কথা না বলে তিনদিন অতিবাহিত করবে।সাক্ষাতে একজন একদিকে মুখ ফিরিয়ে নেবে,এবং অন্যজন অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।তাদের মধ্যে সর্বোত্তম ঐ ব্যক্তি যে,সালাম দিয়ে সাক্ষাতের সূচনা করবে।(সহীহ বোখারী-৫৭২৭ সহীহ মুসলিম-২৫৬০)

বিশেষত যখন কেউ নিকটাত্মীয় হবে,তার সাথে কথা না বলার গোনাহ আরও শক্ত পর্যায়ের।
 
তবে যদি কেউ কোনো গোনাহে লিপ্ত থাকে,এবং তার সাথে কথা না বলতে শরয়ী মুছলিহাত থাকে, এমন যে তার সাথে কথা না বললে,সে গোনাহকে পরিত্যাগ করবে,তাহলে তার সাথে কথা না বলে থাকা জায়েয রয়েছে।

হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,নবীজী সাঃ বলেনঃ
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ  ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
তরজমাঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো
অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম শরীফ-৭৩)

মোটকথাঃ মু'মিনের জন্য মু'মিনের সাথে কথা না বলে থাকা হারাম।তবে শরয়ী মুসলিহত থাকলে, সেটা অবশ্যই জায়েয হবে।
 

ওলি উদ্দিন ইরাকি রাহ বলেন,
"هذا التحريم محله في هجرانٍ ينشأ عن غضب لأمر جائز لا تعلق له بالدين ، فأما الهجران لمصلحة دينية من معصية أو بدعة : فلا مانع منه ، وقد أمر النبي صلى الله عليه وسلم بهجران كعب بن مالك وهلال بن أمية ومرارة بن الربيع رضي الله عنهم ، قال ابن عبد البر : وفي حديث كعب هذا دليل على أنه جائز أن يهجر المرء أخاه إذا بدت له منه بدعة أو فاحشة يرجو أن يكون هجرانه تأديباً له وزجراً عنها ، وقال أبو العباس القرطبي : فأما الهجران لأجل المعاصي والبدعة فواجب استصحابه إلى أن يتوب من ذلك ولا يختلف في هذا ، وقال ابن عبد البر – أيضاً - : أجمع العلماء على أنه لا يجوز للمسلم أن يهجر أخاه فوق ثلاث إلا أن يخاف من مكالمته وصلته ما يفسد عليه دينه أو يولد به على نفسه مضرة في دينه أو دنياه ، فإن كان كذلك رخص له في مجانبته ، ورب صرم جميل خير من مخالطة مؤذية" .
মর্মার্থ-
ব্যক্তিগত কোনো বিষয় নিয়ে রাগারাগি করে কথা না বলা নাজায়েয ও হারাম।তবে দ্বীনী কোনো বিষয় নিয়ে শরয়ী মুছলিহাতে তথা গোনাহ বা বিদ'আত মূলক কোনো বিষয় নিয়ে কথা না বলা জায়েয রয়েছে।যেমন রাসূলুল্লাহ সাঃ তাবুকের যুদ্ধে না যাওয়াতে কা'ব ইবনে মালিক,হেলাল ইবনে উমাইয়্যা,মুরারাহ ইবনে রাবী গংদের সাথে কথা না বলার নির্দেশ দিয়েছিলেন।(তরহুত তাছরিব-৮/৯৯)

মুসলমানের জন্য উচিৎ প্রশস্ত হৃদয়ের অধিকারী হওয়া।আপন ভাইদের প্রতি নসিহতকারী হওয়া।

(২)
কাউসার কি মুহাম্মদ সাঃ এর সাথে খাস?
وأما هل هو خاص بالنبي صلى الله عليه وسلم دون غيره من الأنبياء أم لا ؟
জবাবে বলা যায় যে,নহরে কাউসার যে কাউসার থেকে হাউজে কাউছারে পানি গিয়ে পড়বে ও জমা হবে,এমন নহরে কাউসার পূর্বেকার নবীদের থাকবে কি না সেটা নিয়ে কোনো স্পষ্ট বক্তব্য কুরআন হাদীসের কোথাও নেই।এটা শুধুমাত্র রাসূলুল্লাহ সা: এর সাথে নির্দিষ্ট।আল্লাহ তা'আলা রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বিশেষ ভাবে দান করেছেন।

হাউজে কাউছার সম্পর্কে এটাই মশহুর কথা যে,হাউজে কাউছার আমাদের নবীদের সাথে খাস।

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
 قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ لكل نَبِيٍّ حَوْضًا وَإِنَّهُمْ يَتَبَاهَوْنَ أَيُّهُمْ أَكْثَرُ وَارِدَةً وَإِنِّي أَرْجُو أَنْ أَكُونَ أَكْثَرَهُمْ "
প্রত্যেক নবীর একটি হাউজ থাকবে,এবং তারা সবাই তাদের হাউজে উপস্থিত লোকসংখ্যার আধিক্য নিয়ে গর্ব করবে।আমি চাই আমার উম্মতের সংখ্যা বেশী হোক।(সুনানে তিরমিযি-২৩৬৭)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রত্যেক নবীর একটি করে হাউজ থাকবে।সবাই তাদের হাউজ থেকে তাদের উম্মতদেরকে পানি পান করাবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/6420


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...