বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে কোনো সমস্যা হবেনা
তালাকের প্রশ্ন লেখার সময় বা প্রশ্ন মুখে বলার সময় ওয়াসওয়াসা আসলে বিয়ের পর তালাক পতিত হয়না।
(০২)
কাহারো সাথে তালাক সংশ্লিষ্ট কথা বলার সময় মুখে তালাক শব্দের উচ্চারণ করার ফলে সে সময় মনে তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে তালাক পতিত হয়না।
(০৩)
তালাক এটি খুবই জঘন্য একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .
কাসীর ইবন উবায়দ .......... ইবন উমার (রাঃ) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন যে, আল্লাহ্ তা‘আলার নিকট নিকৃষ্টতম হালাল বস্তু হল তালাক।
(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মুখে যদি বলা হয় "আমি তালাককে ঘৃণা করি কিন্তু তালাকের বিধিবিধান বিশ্বাস করি"। এর কারণে ঈমানের ক্ষতি হয়না।
এই কথা বলার সময়ও যদি মনের মধ্যে তালাকের চিন্তা আসে, তাহলে বিয়ের পর তালাক পতিত হয়না।
(০৪)
কেউ মুখ দিয়ে যেকোনো কথা বলার বলার সময় মনে তালাকের চিন্তা আসলো অথবা কেউ সচেতন ভাবে মনে তালাকের ব্যাপারে চিন্তা করলো কিন্তু সেই কথা মুখে বললো না।
এর ফলে বিয়ের পর তালাক পতিত হয়না।
বিয়ের আগে যদি মাথায় শর্তযুক্ত তালাকের চিন্তা মাথায় আসে কিন্তু মুখে না বলে তাহলে বিয়ের পর তালাক পতিত হয়না।
(০৫)
আপনি নিম্নোক্ত লিংকে দেয়া ওয়াসওয়াসা থেকে মুক্তির আমল গুলি নিয়িমিত করবেন।
,
(০৬)
হ্যাঁ, আপনি সেই ক্যাশব্যাকের টাকা এবং রিওয়ার্ড পয়েন্ট নিজে খরচ করতে পারবেন নিজের কাজে।
(০৭)
আপনি যে জিনিসটি তাকে দিয়েছিলেন, সেই জিনিসটি এখন তার কাছ থেকে নিতে পারবেন।
আপনি যেসব ভেবেছেন,এর দরুন কোনো সমস্যা হবেনা।
আপনি নিয়ে নিতে পারবেন।
(০৮)
হ্যাঁ।
(০৯)
এখন যদি সে তার সেই জ্ঞান ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে কোনো হালাল কাজ করে অর্থ সম্পদ উপার্জন করে, তাহলে সেই উপার্জন হারাম হয়ে যাবেনা।
(১০)
"আমানতুবিল্লাহি ওয়া রুসুলিহি" অর্থঃ-
আমি আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রতি ঈমান আনলাম।
- এখানে "রুসুলিহি" শব্দটিকে "রসুলিহি" বলা যাবে।