বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(১-২)
শিরক খুবই মারাত্মক।
আল্লাহ তাআলা নবীকে সতর্ক করে বলেছেন-
وَ لَقَدْ اُوْحِیَ اِلَیْكَ وَ اِلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِكَ لَىِٕنْ اَشْرَكْتَ لَیَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَ لَتَكُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ.
নিশ্চয় আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি এই ওহী প্রেরণ করা হয়েছে যে, যদি আপনি শিরক করেন তাহলে অবশ্যই আপনার সকল আমল বরবাদ হয়ে যাবে এবং নিশ্চিত আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন। -সূরা যুমার (৩৯) : ৬৫
অন্যত্র আল্লাহ আরো বলেছেন-
اِنَّهٗ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللهُ عَلَیْهِ الْجَنَّةَ وَ مَاْوٰىهُ النَّارُ.
আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। -সূরা মায়েদা (৫) : ৭২
আরেক আয়াতে আল্লাহ বলেছেন-
اِنَّ اللهَ لَا یَغْفِرُ اَنْ یُّشْرَكَ بِهٖ وَ یَغْفِرُ مَا دُوْنَ ذٰلِكَ لِمَنْ یَّشَآءُ وَ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدِ افْتَرٰۤی اِثْمًا عَظِیْمًا.
নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করা ক্ষমা করেন না। এ ছাড়া অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। এবং যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে এক মহাপাপ করে। -সূরা নিসা (৪) : ৪৮
একজন মানুষ যত ভালো কাজই করুক কিন্তু সে যদি শিরক করে আল্লাহ তাআলার কাছে তার কোনো কিছুরই মূল্য নেই। এজন্য কিয়ামতের দিবসে মুশরিকরা যত ভালো কাজই নিয়ে আসুক আল্লাহ তাআলা সেগুলোকে ধুলিকণা-রূপ করে দিবেন।
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
وَ قَدِمْنَاۤ اِلٰی مَا عَمِلُوْا مِنْ عَمَلٍ فَجَعَلْنٰهُ هَبَآءً مَّنْثُوْرًا.
তারা (দুনিয়ায়) যা-কিছু আমল করেছে, আমি তার ফায়সালা করতে আসব এবং সেগুলোকে শূন্যে বিক্ষিপ্ত ধুলোবালি (-এর মত মূল্যহীন) করে দেব। -সূরা ফুরকান (২৫) : ২৩
,
★নিজ আকিদাকে বিশুদ্ধ রেখে যদি কেউ কখনো শিরকী বাক্যকে অনিচ্ছায় ভুল বশত (মুখ ফসকে) বলে,তাহলে সেটা শিরক হবে না।
তবে তওবা ইস্তেগফার করতে হবে।
আগামীতে কথা বলার সময় সর্বদায় সর্বোচ্চ থেকে কথা বলতে হবে,যাতে আর এহেন বাক্য যবান থেকে বের না হয়।
আরো জানুনঃ
,
ফাতাওয়ায়ে তাতারখানীয়াতে আছে
"وما كان خطأ من الألفاظ، لاتوجب الكفر، فقائله مؤمن علی حاله، و لايؤمر بتجديد النكاح، و لكن يؤمر بالإستغفار و الرجوع عن ذلك". ( كتاب أحكام المرتدين، الفصل الأول، ٧/ ٢٨٤، ط: زكريا)
সারমর্মঃ ভুলক্রমে কুফরী বাক্য বলে ফেললে কাফের হয়ে যায়না।
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার ঈমান নষ্ট হয়নি।
তবে তওবা ইস্তেগফার করতে হবে।
(০৩)
শুধু হারাম কোনো কাজ করলেই কাহারো ঈমান নষ্ট হয়ে যায়না।
(০৪)
কুরআন হাদীস,আল্লাহর নাম,রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সম্বলিত বই খাতা না হলে এতে গুনাহ হয়না।
তবে এতে আদবের খেলাফ হয়।
(০৫)
এতে আপনার ঈমানে সমস্যা হবেনা।
(০৬)
এতে আপনার ঈমানে সমস্যা হবেনা।
তবে আপনি এসবকে পাত্তা দিবেননা,এহেন চিন্তা দ্রুত মাথা থেকে সরাতে হবে।
মাথায় আসতেই দেয়া যাবেনা।
বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইতে হবে।
(০৭)
হ্যাঁ, এটির দরুন কোনো সমস্যা হবেনা।
এতে কুরআনের কাছে কিছু চাওয়া হয়না।
(০৮)
এরকম মনে হওয়ার ফলে ঈমান চলে যাবেনা।
(০৯) উক্ত প্রশ্নগুলো করার ফলে আপনার ঈমান চলে যায়নি।
(১০) কালিমা শাহাদাত পাঠের সময় হা উচ্চারনে ভুল হলে ঈমান আনা হবে। পুনরায় উচ্চারণ করলে ভালো হবে।
(১১) কেউ কালিমা শাহাদাত পাঠের আরবি পড়ায় ভুল করলে তবে অর্থ সঠিকভাবে উচ্চারণ করলে ঈমান নবায়ন হয়ে যাবে।
(১২) ইমান নবায়নের জন্য গোসল না করেই মনে মনে নিয়ত করে মুখে কালিমা পাঠ করলেই ইমান নবায়ন হয়ে যাবে।
(১৩) আয়নার সামনে দাড়িয়ে নামাজ পড়লে নামাজ হবে। এতে গুনাহ হবেনা।
(১৪)
এরুপ সন্দেহের ফলে ঈমান চলে যাবেনা।
(১৫)
ঈমান নবায়নের ক্ষেত্রে মনে মনে নিয়ত করলেই হবে। নাকি মুখে স্বশব্দে উচ্চারন করা জরুরি।
তবে কালেমায়ে শাহাদাত মুখে স্বশব্দে উচ্চারন করতেই হবে।
(১৬)
এরুপ ভাবনা মনে আসলে তবে তার জন্য তওবা করলে ঈমান চলে যাবেনা।