আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
100 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালমুআলাইকুম শায়েখ,
একদিন আমি স্বপ্নে গোরস্থান দেখি, দিয়ে আমি মনে মনে ভাবনা হয় এর পর স্বপ্নে গোরস্থান দেখলে তালাক হবে বা দিবো । সঙ্গে সঙ্গে তৌবা করি ।
সম্পূর্ণ মনে মনে হয়েছিল , তার পরের দিন স্বপ্নে গোরস্থান এর মত কিছু দেখি। আমি এই বিষয় এ ভয় পেয়ে জাই এবং স্ত্রী কে সমস্ত ঘটনা বলি।
১. আমি মনে মনে ভেবেছিলাম হুজুর , মনে মনে ভাবলে বা বললে তহ শর্ত তালাক হয়না। এভাবে কি শর্ত তালাক হবে? খুব ভয় হচ্ছে হুজুর।
২. এর পরে যদি স্বপ্নে গোরস্থান দেখি তাহলে কি কোনো সমস্যা হবে ??

আমাদের সম্পর্ক ঠিক আছে তো হুজুর?
৩. হুজুর স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করার সময় যদি তার মা কল্পনায় ৩ সেকেন্ড এর জন্য চলে আসে ,
আর তখন ই ভয় হয়ে যায় হুরমত হয়ে গেলো নাকি । হুরমত এর চিন্তা হয়ত ছিল । তবে খুব ভয় হয়ে যায়। এক্ষেত্রে কি হুরমত হবে?

৪. মনে মনে তালাক দিবো, তালাক, তালাক দিলা* ইতাতি ভাবনা হলে কি তালাক হবে? এই কথা গুলো তহ আমাকে লিখতে হলো প্রশ্ন করার জন্য এর জন্য কি কোনো সমস্যা হবে?

৫, মনে মনে ভাবলো আমি কাফের হয়ে গেলাম নাকি। কাফের হয়ে গেলাম আমি, বা আমি কাফের । তাহলে কি তার ঈমান চলে যাবে। সে কাফের হয়ে যাবে? সম্পূর্ণ মনে মনে এইরকম হচ্ছে ।

৬. হিন্দিতে একটা গান আছে " হরে হরে হরে হাম তো দিলসে হরে" এই গান টা আমি না বুঝে করে ফেলেছি , আমি এটাকে শুধু গান ভেবে করেছি , এর জন্য কি কাফের হয়ে যাবো হুজুর??

৭. হুজুর কেউ যদি কাফের বা ঈমান চলে যায় তার পুনুরদ্ধন বা নতুন করে ঈমান আনার পদ্ধতি কি?
নতুন করে ঈমান আনলে সে কি আর কাফের হবে??

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


শরীয়তের বিধান হলো, মুখে উচ্চারণ না করে শুধু মনে মনে তালাক দিলে বা মনে মনে শর্ত যুক্ত তালাক দিলে তাহা পতিত হবেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।

ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
ভয়ের কোনো কারন নেই।
এভাবে শর্তযুক্ত তালাক হয়না।

(০২)
না,কোনো সমস্যা হবেনা।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এহেন স্বপ্ন দেখার কারনে আপনার প্রতি পরামর্শ থাকবে,আপনার নিজ আমল বাড়িয়ে দিতে হবে,দ্বীনদার লোকদের সাথে উঠাবসা করতে হবে,পবিত্র হালতে থাকতে হবে,অহংকার থেকে বেঁচে থাকতে হবে। 
বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত, যিকির আযকার,ফরজ সহ নফল নামাজ পড়তে হবে। 
দান ছদকাহ করতে হবে।
,
স্বপ্নের কথা কাউকে বলা যাবেনা।

(০৩)
এক্ষেত্রে হুরমত হবেনা।

(০৪)
এভাবে মনে মনে বলাতে তালাক হবেনা।

এ প্রশ্ন লেখাতেও তালাক হবেনা।

(০৫)
তাহলে তার ঈমান চলে যাবেনা। সে কাফের হয়ে যাবেনা।

(০৬)
না,এর ফলে আপনি কাফের হয়ে যাবেননা।

(০৭)
"নতুন করে ঈমান আনার পদ্ধতি হলো সে গোসল করে তওবা করে কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করবে।
,
নতুন করে ঈমান আনলে সে আর কাফের থাকবেনা।
,
(তবে পরবর্তীতে আবারো কাফের হয়ে গেলে আবারো ঈমান আনবে।)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...