আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
250 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (48 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। আপনি জানেন আমি ওয়াস ওয়াসার রোগি। আর বিরক্ত করব না ইনশাআল্লাহ
গত প্রশ্নের  উত্তর আসছে কোন  তালাক হই নাই।কেন  হই নাই এইটা জানতে পারলে মাথায় হইত আর ওয়াস ওয়াসা  আসত না।

১.প্রশ্ন  টা ছিল  এরকম যে বউ বলসে ডিভোর্স  দিয়া দিও। হাসবেন্ড বলসে তুমি ডিভোর্স দিয়া দিও। কয়েক দিন হইত বলসে তুমি ছাইড়া  দিও। হাসবেন্ড  কে পরবর্তীতে  জিিজ্ঞে করাই সে বলসে আমি তালাক দিব না তাই বলছি  আর আমি জানি তুমিও  দিবা না।কিন্তু হাসবেন্ড যখন অইগুলা বলসে  বউ  সে  সময়  কিছু  বলে নাই।অনেকদিন পর মাসালা  জানার  পর থেকে এই বিষয় মাথাই থেকে যায়  না।ওয়াস ওয়াসা থেকে বউ নিজের উপর তালাক বইলা  ফেলসে। কিন্তু সেটা  হাসবেন্ড  কে জানাই নাই।কিন্তু  শব্দ  কইরা  বলসে নাকি তা নিয়ে সন্দেহ  আছে।শুধু  মনে হই জিব্বা ঠোঁট নড়ছে। ((এক হুজুর  কে জিজ্ঞেস  করাই উনি বলসে হাসবেন্ড  অইভাবে বলাই আপনি কোন  অধিকারই পান নাই।তাই সরাসরি  তালাক  নিলেও হবে না।হাসবেন্ড  কে এভাবে বলতে হবে যে তুমি  ডিভোর্স নিয়া নিও।কিন্তু  আপনার হাসবেন্ড  ত উলটা  বলসে। বা এভাবে  বলতে হবে যে অধিকার  দেওয়া হল তুমি  নিযের উপর তালাক নিতে পার।)))কিন্তু  হাসবেন্ড  ত অইভাবে কিছু বলে নাই।এখন যদি অধিকার  পাইয়াই থাকি হাসবেন্ড  কয়েকবার বলাই কি ৩ টার অধিকার পাইছি।বউ পরবর্তীতে বলাই কি ৩ টাই হইয়া যাব।

ক।অইভাবে বলাই কি আমি অধিকার  পাইসি?

খ।অধিকার যদি পাইয়া থাকি তাইলে আমি যে চিন্তায় থেকে বলসি তালাক হইয়া গেছে।তাইলে কি তালাক না হইলেও  তালাক হবে?

গ।জনার জন্য জিজ্ঞাসা  করা-----হাসবেন্ড যদি মাসালা জানার জন্য  হুজুরের কাছে জিজ্ঞেস করে যে হুজুর ডিভোর্স  দিলাম এইভাবে বললে কি তালাক হবে।কিন্তু হাসবেন্ড সেটা আসলে বলে নাই। অইভাবে হুজুর  কে জিজ্ঞাসা  করাই কি তালাক পতিত  হবে। হাসবেন্ড  আসলে  হুজুর  কে এই কথা বলসে নাকি বউ সিউর না।বউ সন্দেহ  থেকে জানতে চাইতেছে।

ঘ।আমি যে কত ভাবে প্রশ্ন  করসি আপনাদের।সব কিছু বইলা।জা ঘটছে  সেটাও  বলছ।যেটা  না হইছে  সন্দেহ  দূর  করার জন্য  সেটাও জিজ্ঞেস  করসি। মাসালা জানতে চাওয়াই কি কোন  প্রব্লেম  হবে?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
إذَا قَالَ لِامْرَأَتِهِ اخْتَارِي يَنْوِي بِذَلِكَ الطَّلَاقَ أَوْ قَالَ لَهَا طَلِّقِي نَفْسَك فَلَهَا أَنْ تُطَلِّقَ نَفْسَهَا مَا دَامَتْ فِي مَجْلِسِهَا ذَلِكَ وَإِنْ تَطَاوَلَ يَوْمًا أَوْ أَكْثَرَ مَا لَمْ تَقُمْ مِنْهُ أَوْ تَأْخُذَ فِي عَمَلٍ آخَرَ وَكَذَا إذَا قَامَ هُوَ مِنْ الْمَجْلِسِ فَالْأَمْرُ فِي يَدِهَا مَا دَامَتْ فِي مَجْلِسِهَا وَلَيْسَ لِلزَّوْجِ أَنْ يَرْجِعَ فِي ذَلِكَ وَلَا يَنْهَاهَا عَمَّا جَعَلَ إلَيْهَا وَلَا يَفْسَخُ كَذَا فِي الْجَوْهَرَةِ النَّيِّرَةِ. 
যদি স্বামী তার স্ত্রীকে বলে, তুমি নিজের রাস্তা নিজে গ্রহণ করো, এবং এদ্বারা স্বামী তালাকের নিয়ত করে থাকে, অথবা স্বামী তার স্ত্রীকে বলে, তুমি তোমার নিজেকে তালাক দাও, তাহলে স্ত্রী ঐ মজলিসে যতক্ষণ থাকবে, ততক্ষণ নিজেকে তালাক দিতে পারবে।যতক্ষণ এই মজলিস থেকে না উঠবে বা অন্য কোনো কাজে মনোনিবেশ করবে, ততক্ষণ তালাকের অধিকার থাকবে,যদি মজলিসে একাধিক দিনও বসা থাকে,তাহলেও তার তালাকের অধিকার অবশিষ্ট থাকবে। স্বামী মজলিস থেকে উঠে গেলেও স্ত্রী যদি মজলিসে বসা থাকে,তাহলেও তার অধিকার বাকী থাকবে, স্বামী সে তার অধিকার প্রদানকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারবে না এবং স্ত্রীকে তালাক প্রদাণের ক্ষেত্রে বাধাও দিতে পারবে না, এমনকি সেই অধিকারকে ভঙ্গও করতে পারবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৮৭)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার প্রশ্নের অংশ
"বউ বলসে ডিভোর্স  দিয়া দিও। হাসবেন্ড বলসে তুমি ডিভোর্স দিয়া দিও। কয়েক দিন হইত বলসে তুমি ছাইড়া  দিও। হাসবেন্ড  কে পরবর্তীতে  জিিজ্ঞে করাই সে বলসে আমি তালাক দিব না তাই বলছি  আর আমি জানি তুমিও  দিবা না।"

এখানে স্ত্রী সাময়িক তথা যেই বৈঠকে উক্ত আলোচনা হয়েছে, সেই বৈঠকের ভিতর স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে। পরবর্তীতে তালাক দিলে সেই তালাক গ্রহণযোগ্য  হবে না। পরবর্তীতে স্ত্রী তালাক দিছে কি না? সেই সন্দেহ থাকলেও তালাক পতিত হবে না। আপনার সমস্ত বিবরণ শুনে আমরা এই সিদ্ধান্ত দিয়েছি যে, প্রশ্নের বিবরণমতে কোনো তালাক পতিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
এখানে মজলিশ বলতে কি বোঝানো হয়েছে? 
সাক্ষী থাকতে হবে কি?
by (590,550 points)
মজলিস বলতে কোনো এক জায়গায় স্থির হয়ে আলোচনা করা। তথা বৈঠককে মজলিস বলা হয়।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...