জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
﴿وَٱلَّذِينَ يَكۡنِزُونَ ٱلذَّهَبَ وَٱلۡفِضَّةَ وَلَا يُنفِقُونَهَا فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ فَبَشِّرۡهُم بِعَذَابٍ أَلِيمٖ ٣٤﴾ [التوبة:34]
“যারা সোনা ও রূপা পুঞ্জীভূত করে রাখে এবং তা আল্লাহর রাস্তায় খরচ করে না, তুমি তাদেরকে বেদনাদায়ক আযাবের সুসংবাদ দাও”। [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৩৪]
অপর আয়াতে তিনি বলেন:
﴿وَلَا يَحۡسَبَنَّ ٱلَّذِينَ يَبۡخَلُونَ بِمَآ ءَاتَىٰهُمُ ٱللَّهُ مِن فَضۡلِهِۦ هُوَ خَيۡرٗا لَّهُمۖ بَلۡ هُوَ شَرّٞ لَّهُمۡۖ سَيُطَوَّقُونَ مَا بَخِلُواْ بِهِۦ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِۗ ١٨٠﴾ [آل عمران:180]
“আল্লাহ যাদেরকে তার অনুগ্রহ থেকে যা দান করেছেন তা নিয়ে যারা কৃপণতা করে তারা যেন ধারণা না করে যে, তা তাদের জন্য কল্যাণকর, বরং তা তাদের জন্য অকল্যাণকর, যা নিয়ে তারা কৃপণতা করেছিল, কিয়ামত দিবসে তা দিয়ে তাদের বেড়ি পরানো হবে”। [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৮]
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
বিনা ওযরে যাকাত আদায়ে দেরি করা জায়েজ নেই।
এতে যাকাত আদায় হয়ে গেলেও গুনাহ হবে।
,
তবে ওযর বশত এমনটি করলে কোনো সমস্যা নেই।
,
وتجب علی الفور عند تمام الحول حتی یأثم بتأخیرہ من غیر عذر۔ (الفتاویٰ الہندیة ۱/۱۷۰)
সারমর্মঃ
যাকাত বছর পার হলে তৎক্ষনাৎ আদায় করা ওয়াজিব। বিনা ওযরে দেড়ি করার দ্বারা গুনাহ হবে
وافتراضہا عمري : أي علی التراخي وصححہ الباقاني وغیرہ، وقیل فوري: أی واجب علی الفور وعلیہ الفتویٰ، کما في شرح الوہبانیة، فیأثم بتأخیرہا بلاعذر۔ قولہ: فیأثم بتأخیرہا … وقد یقال: المراد أن لایوٴخر إلی العام القابل، لما في البدائع عن المنقی: إذا لم یوٴدِّ حتی مضی حولان، فقد أساء وأثم۔ (الدر المختار مع الرد المحتار، کتاب الزکاة ۲/۲۷۲ کراچی، بدائع الصنائع، الزکاة / في کیفیة فرضیة الزکاة ۲/۷۷ زکریا، کذا في الفتاویٰ التاتارخانیة ۳/۱۳۴ رقم: ۳۹۳۸ زکریا)
সারমর্মঃ
যাকাত বছর পার হলে তৎক্ষনাৎ আদায় করা ওয়াজিব।
ইহার উপরেই ফতোয়া।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(i)
ইসলামী স্কলারগন বলেছেন,
لا يجوز تأخير إخراج الزكاة بعد تمام الحول إلا لعذر شرعي، كعدم وجود الفقراء حين تمام الحول وعدم القدرة على إيصالها إليهم ولغيبة المال ونحو ذلك.
সারমর্মঃ-
বছর পূর্ণ হওয়ার পর যাকাত আদায়ে বিলম্ব করা জায়েজ নেই,কিন্তু শরয়ী ওযর বশত বিলম্ব করা যাবে।
যেমন, বছর পূর্ণ হওয়ার পর ফকির পাওয়া না গেলে অথবা ফকির পর্যন্ত সম্পদ পৌছে দেয়ার উপর শক্তিবান না হলে,অথবা সম্পদের৷ অনুপস্থির কারনে ইত্যাদি।
(ii)
এক্ষেত্রে ব্যবসায়ে খাটানো মূলধনের টাকা হাতে থাকলে তাহা হতে দেয়া আবশ্যক।
নতুবা বিলম্বের দরুন গুনাহ হবে।
হ্যাঁ যদি সেই মূলধন দিয়ে পন্য ক্রয় করে ফেলা হয়ে থাকে,আর হাতে এই মুহুর্তে যাকাত দেয়াত মতো দৈনন্দিন প্রয়োজন অতিরিক্ত টাকা না থাকলে সেক্ষেত্রে লভ্যাংশ হাতে আসা পর্যন্ত দেরি করা যাবে।
এতে গুনাহ হবেনা।
,
(iii)
শরয়ী ওযর বশত এমনটি করা জায়েজ আছে।
(iv)
তার পিতা মাতার কাছে যদি নিজেদের চিকিৎসার খরচ না থাকে,তারা যদি সামর্থহীন হয়,সেক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে প্রথমে পিতা-মাতার চিকিৎসা খরচ ও ঔষধ করবে,পরবর্তীতে যাকাত প্রদান করবে।
আর যদি তার বাবা মার চিকিৎসা, ঔষধ ক্রয়ের জন্য নিজস্ব সম্পদ থাকেই,সেক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির জন্য যাকাত আগে প্রদান করতে হবে।
এক্ষেত্রে যাকাত আদায়ে বিলম্ব করা জায়েজ নেই।
আরো জানুনঃ-