আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
114 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (16 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ। শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নতুন পাঠ্য পুস্তকে কোমলমতি শিশুদের কাছে transgender বা রুপান্তরিত লিঙ্গের মত ভয়াবহ বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে, এখানে বিভিন্ন গল্পের মাধ্যমে বাচ্চাদের এখন থেকে বলা হচ্ছে যে মানুষের মনের লিঙ্গ নামে অন্য লিঙ্গ থাকতে পারে যা কিনা জন্মের সময়ের লিঙ্গের সাথে নাও মিলতে পারে। একটি ছেলে সে পরবর্তীতে নিজেকে মেয়ে বলে দাবি করার অধিকার রাখে। এগুলো সম্পূর্ণ পশ্চিম থেকে আমদানি করা কুফরি মতবাদ যাতে কোন সন্দেহই নেই। এতে করে দেশের পরবর্তী প্রজন্মের সমকামিতাকে সাদরে গ্রহণ করে নেওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি দূরে বলে মনে হচ্ছে না। এই ব্যাপারে আপনার এবং আরও উলামায়ে দ্বীনের বক্তব্য ও দিক নির্দেশনা কামনা করছি। সঙ্গে শিশুদের অভিভাবকদের করণীয় কি হতে পারে এই বিষয়েও নির্দেশনা কামনা করছি।
এই রূপান্তরিত লিঙ্গ বা transgender এর বিষয়টি কি স্পষ্ট কুফরি নয়, কুরআন, হাদিসের আলোকে অনুগ্রহ করে জানাবেন।
আর এখানে পর্দানশীন নারীদের এভাবে বস্তা, ভূত ইত্যাদির সাথে তুলনা করে ব্যাঙ্গ করা হচ্ছে। এগুলো পড়ে এই ক্লাস সিক্স-সেভেনের ছাত্রছাত্রীরা কি হিসেবে বেড়ে উঠবে?? আমাদের এখানে সমষ্টিগতভাবে কি কি করা দরকার, যদি কিছুই না করে ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে বাংলাদেশের একজন অন্যতম আলিমের বক্তব্যই প্রতীয়মান হবে কিছুদিন পরে, "বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মে আর মুসলিম খুঁজে পাওয়া যাবে না, মুমিন খুঁজে পাওয়া যাবে না, সিংহভাগই নাস্তিকদের দোসর হিসেবে বেড়ে উঠবে।"

এমনকি ইসলামী ইতিহাস বইয়ে মুয়াবিয়া রা কেন ভুল এই কারণগুলো পশ্চিমা কাফির ইতিহাসবিদের কথা দিয়ে শিক্ষার্থীদের বুঝানো হচ্ছে। এই লেখকগুলো মুয়াবিয়া রা  এর নামের সাথে ন্যূনতম সম্মানও দেখাচ্ছে না, সে বলেছে, সে করেছে এভাবে লিখা হচ্ছে রাদিয়াল্লাহু ও ব্যাবহার হচ্ছে না।
বিষয়গুলোর উপর আলোকপাত করা, আমাদের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা এবং সে অনুযায়ী কাজে কিভাবে লাগা যায় এগুলো এখন ঈমানের দাবি হয়ে পড়েছে।
https://postimg.cc/dk42dPHQ
এখানে বইয়ের অংশগুলো তুলে ধরা হল।

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
وَإِذَا رَأَيْتَ الَّذِينَ يَخُوضُونَ فِي آيَاتِنَا فَأَعْرِضْ عَنْهُمْ حَتَّىٰ يَخُوضُوا فِي حَدِيثٍ غَيْرِهِ ۚ وَإِمَّا يُنسِيَنَّكَ الشَّيْطَانُ فَلَا تَقْعُدْ بَعْدَ الذِّكْرَىٰ مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ

যখন আপনি তাদেরকে দেখেন, যারা আমার আয়াত সমূহে ছিদ্রান্বেষণ করে, তখন তাদের কাছ থেকে সরে যান যে পর্যন্ত তারা অন্য কথায় প্রবৃত্ত না হয়, যদি শয়তান আপনাকে ভূলিয়ে দেয় তবে স্মরণ হওয়ার পর জালেমদের সাথে উপবেশন করবেন না।(সূরা আন'আম-৬৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এই সমস্ত বিষয়কে এড়িয়ে যেতে হবে। এবং এই সমস্ত ইসলাম বিরোধী বিষয় সমূহের মূলৎপাঠন করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...