আসসালামু আলাইকুম শায়েখ। শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নতুন পাঠ্য পুস্তকে কোমলমতি শিশুদের কাছে transgender বা রুপান্তরিত লিঙ্গের মত ভয়াবহ বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে, এখানে বিভিন্ন গল্পের মাধ্যমে বাচ্চাদের এখন থেকে বলা হচ্ছে যে মানুষের মনের লিঙ্গ নামে অন্য লিঙ্গ থাকতে পারে যা কিনা জন্মের সময়ের লিঙ্গের সাথে নাও মিলতে পারে। একটি ছেলে সে পরবর্তীতে নিজেকে মেয়ে বলে দাবি করার অধিকার রাখে। এগুলো সম্পূর্ণ পশ্চিম থেকে আমদানি করা কুফরি মতবাদ যাতে কোন সন্দেহই নেই। এতে করে দেশের পরবর্তী প্রজন্মের সমকামিতাকে সাদরে গ্রহণ করে নেওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি দূরে বলে মনে হচ্ছে না। এই ব্যাপারে আপনার এবং আরও উলামায়ে দ্বীনের বক্তব্য ও দিক নির্দেশনা কামনা করছি। সঙ্গে শিশুদের অভিভাবকদের করণীয় কি হতে পারে এই বিষয়েও নির্দেশনা কামনা করছি।
এই রূপান্তরিত লিঙ্গ বা transgender এর বিষয়টি কি স্পষ্ট কুফরি নয়, কুরআন, হাদিসের আলোকে অনুগ্রহ করে জানাবেন।
আর এখানে পর্দানশীন নারীদের এভাবে বস্তা, ভূত ইত্যাদির সাথে তুলনা করে ব্যাঙ্গ করা হচ্ছে। এগুলো পড়ে এই ক্লাস সিক্স-সেভেনের ছাত্রছাত্রীরা কি হিসেবে বেড়ে উঠবে?? আমাদের এখানে সমষ্টিগতভাবে কি কি করা দরকার, যদি কিছুই না করে ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে বাংলাদেশের একজন অন্যতম আলিমের বক্তব্যই প্রতীয়মান হবে কিছুদিন পরে, "বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মে আর মুসলিম খুঁজে পাওয়া যাবে না, মুমিন খুঁজে পাওয়া যাবে না, সিংহভাগই নাস্তিকদের দোসর হিসেবে বেড়ে উঠবে।"
এমনকি ইসলামী ইতিহাস বইয়ে মুয়াবিয়া রা কেন ভুল এই কারণগুলো পশ্চিমা কাফির ইতিহাসবিদের কথা দিয়ে শিক্ষার্থীদের বুঝানো হচ্ছে। এই লেখকগুলো মুয়াবিয়া রা এর নামের সাথে ন্যূনতম সম্মানও দেখাচ্ছে না, সে বলেছে, সে করেছে এভাবে লিখা হচ্ছে রাদিয়াল্লাহু ও ব্যাবহার হচ্ছে না।
বিষয়গুলোর উপর আলোকপাত করা, আমাদের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা এবং সে অনুযায়ী কাজে কিভাবে লাগা যায় এগুলো এখন ঈমানের দাবি হয়ে পড়েছে।
https://postimg.cc/dk42dPHQ
এখানে বইয়ের অংশগুলো তুলে ধরা হল।