আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
154 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)

আসসালামু আলাইকুম। 
রসুলুল্লহ সল্লল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
‘তোমাদের মধ্যে কে আছে, যে মদীনায় যাবে এবং যেখানেই কোনো প্রাণীর মূর্তি পাবে তা ভেঙে ফেলবে, যেখানেই কোনো সমাধিসৌধ পাবে তা ভূমিসাৎ করে দিবে এবং যেখানেই কোনো চিত্র পাবে তা মুছে দিবে?’ আলী রা. এই দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত হলেন। এরপর নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে কেউ পুনরায় উপরোক্ত কোনো কিছু তৈরি করতে প্রবৃত্ত হবে সে মুহাম্মাদের (সা.) প্রতি নাজিলকৃত দ্বীনকে অস্বীকারকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ : ৬৫৭)

এখানে প্রাণির মূর্তি তৈরিকারীকে বলা হয়েছে,"দ্বীন অস্বীকারকারী"।আর অস্বীকার করা মানেই তো কুফর।তাহলে হাদিসের বাহ্যিক অর্থ থেকে কি এটাই বোঝা যায় যে,যেসব মুসলিম মূর্তি বানায়,বা মূর্তি বানানোকে সমর্থন করে,তারা ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে গিয়েছে?

হাদিসটি দেশের বর্তমান পরিস্থতির সাথে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হওয়ায় এর ব্যাখ্যা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখা প্রয়োজন।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
 بسم الله الرحمن الرحيم 

উল্লেখিত হাদীস শরীফটি হলো এইঃ  

حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنِ أَبِي مُحَمَّدٍ الْهُذَلِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي جَنَازَةٍ فَقَالَ: " أَيُّكُمْ يَنْطَلِقُ إِلَى الْمَدِينَةِ فَلا يَدَعُ بِهَا وَثَنًا إِلا كَسَرَهُ، وَلا قَبْرًا إِلا سَوَّاهُ، وَلا صُورَةً إِلا لَطَّخَهَا؟ " فَقَالَ رَجُلٌ: أَنَا يَا رَسُولَ اللهِ. فَانْطَلَقَ، فَهَابَ أَهْلَ الْمَدِينَةِ، فَرَجَعَ، فَقَالَ عَلِيٌّ: أَنَا أَنْطَلِقُ يَا رَسُولَ اللهِ. قَالَ: فَانْطَلِقْ " فَانْطَلَقَ ثُمَّ رَجَعَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ، لَمْ أَدَعْ بِهَا وَثَنًا إِلا كَسَرْتُهُ، وَلا قَبْرًا إِلا سَوَّيْتُهُ، وَلا صُورَةً إِلا لَطَّخْتُهَا. ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ عَادَ لِصَنْعَةِ شَيْءٍ مِنْ هَذَا، فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
ثُمَّ قَالَ: لَا تَكُونَنَّ فَتَّانًا وَلا مُخْتَالًا، وَلا تَاجِرًا إِلا تَاجِرَ الْخَيْرِ، فَإِنَّ أُولَئِكَ هُمِ الْمَسْبُوقُونَ بِالْعَمَلِ

আলী (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি জানাযায় ছিলেন। তারপর বললেনঃ তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে, মদীনায় গিয়ে সকল মূর্তি ভেঙ্গে দেবে, সকল কবর সমান করে দেবে এবং সকল ছবির ওপর কালো কালি মেখে দেবে? এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমি পারবো। অতঃপর সে চলে গেল। কিন্তু মদীনাবাসীর ভয়ে ভীত হয়ে ফিরে এল। তখন আলী (রাঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমি যাবো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ বেশ, যাও। তিনি গেলেন, আবার ফিরে এলেন। এসে বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমি প্রতিটি মূর্তি ভেঙ্গে এসেছি, প্রতিটি কবর সমান করে এসেছি এবং প্রতিটি ছবিতে কালি মেখে এসেছি। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এর একটিও যে ব্যক্তি পুনরায় করবে, সে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নাযিলকৃত দীনকে অস্বীকার করবে। তারপর বললেনঃ কেউ নির্যাতনকারী হয়ো না, অহংকারী হয়ো না, ব্যবসায়ী হয়ো না, তবে সৎ ব্যবসায়ী হয়ো। কেননা এসকল (নির্যাতনকারী, অহংকারী ও অসৎ ব্যবসায়ী) লোক সৎকাজে পেছনে পড়ে যাবে। (সুতরাং কোন অজুহাতেই কোন প্রাণীর ছবি বা প্রতিকৃতি তৈরি করা ও স্থাপন করা ইসলাম সম্মত নয়।)
[মুসনাদ আহমাদ ৬৫৮, ৮৮১, ১১৭০, ১১৭৫, ১১৭৬, ১১৭৭]

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
 মুসনাদে আহমাদ ৬৫৭
 মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)
,
إسناده ضعيف، أبو محمد الهذلي ويُكنى أيضاً بأبي المورع قال الذهبي في "الميزان": لا يعرف، وباقي رجاله ثقات رجال الشيخين
معاوية: هو ابنُ عمرو بن المهلب الأزدي الكوفي، وأبو إسحاق: هو إبراهيمُ بنُ محمد الفزاري، والحكم: هو ابنُ عُتيبة
وأخرجه الطيالسي (96) ، وأخرجه أبو يعلى (506) من طريق يزيد بنِ زريع كلاهما (الطيالسي ويزيد بن زريع) عن شعبة، بهذا الإسناد
وأورده الهيثمي في "المجمع" 5/172-173 وقال: رواه أحمدُ وابنه عبد الله، وفيه أبو محمد الهذلي، ويقال: أبو المورع، ولم أجد من وثقه، وقد روى عنه جماعة، ولم يُضعفه أحد، وبقية رجاله رجال الصحيح. وسيأتي برقم (881) و (1170) و (1175) و (1176) و (1177) وانظر ما بعده
وقصة طمس الصورة وتسوية القبر المشرف ستأتي بإسناد صحيح برقم (741)
,
★যার সারমর্ম হলো উক্ত হাদীস জয়ীফ।
সুতরাং এই হাদীস দিয়ে কাউকে ইসলাম থেকে খারিজ,কাফের বলে ফতোয়া দেওয়া যাবেনা।
.
কাহারো উপর কাফেরের হুকুম লাগানো সংক্রান্ত বিস্তারিত  জানুন 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...