বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ধোকা এবং প্রতারণা সম্পর্কে হাদীসে ধমকি বর্ণিত হয়েছে,হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ ، فَلَيْسَ مِنَّا ، وَمَنْ غَشَّنَا ، فَلَيْسَ مِنَّا )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন-
যে ব্যক্তি আমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্র ধরলো, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।এবং যে কাউকে ধোকা দিলো সেও আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১৪৬)
ভিন্ন এক সুত্রে বর্ণিত আছে,
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه – أيضاً - ، وفيه : مَنْ غَشَّ ، فَلَيْسَ مِنِّي
যে কাউকে ধোকা দিলো সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১৪৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যে ৩ টি জিনিষের কারণে কোচিং করতে চাচ্ছেন না। বিষয়গুলো হল,
(১)ছেলে মেয়ে একসাথে কোচিং করায়
(২)স্যার হচ্ছে পুরুষ
(৩)জেনারেল পড়াশুনার জন্য এতো টাকা খরচ করতে ইচ্ছে করে না এইজন্য।
যেহেতু জেনারেল শিক্ষাকে: ফুকাহায়ে কেরামগণ জরুরতে বিত্তিতে বৈধ বলেছেন। তাই সহশিক্ষা সাময়িক রুখসতযোগ্য। সুতরাং উপরে বর্ণিত কারণ গুলোর কারণে আপনি কোচিং পরিত্যাগ করে মাতাপিতার সাথে বিরুপ অাচরণ করবেন, সেটা গ্রহণযোগ্য নয়। আপনার জন্য মাকে ধোকা দিয়ে কোচিংয়ের নামে টাকা গ্রহণ জায়েয হবে না।