বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
যেহেতু আপনি পড়ানোর চেষ্টা করেছেন, তাই আপনার জন্য পূর্ণ বেতন গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। কেননা এই সময়টা আপনি তার জন্য নির্ধারণ করে রেখেছিলেন।হ্যা, আপনি অন্যত্র সেই সময়টাকে ব্যবহার করতে পারতেন কিন্তু তার জন্য নির্ধারণ করার কারণে আপনি এই সময়টাকে অন্য কারো জন্য ব্যবহার করতে পারেননি। সুতরাং সময়ের বিনিময় হিসেবে আপনি সেই টাকা গ্রহণ করতে পারবেন। আর যদি আপনি গ্রহণ না করতে চান, তাহলে সেটা কতইনা উত্তম।
(২)
হজরত সাদ ইবনে ওবায়দা (রা.) থেকে বর্ণিত,
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ عِيسَى بْنِ فَائِدٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " مَا مِنِ امْرِئٍ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ يَنْسَاهُ إِلَا لَقِيَ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَجْذَمَ "
রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি কোরআন পড়ে ভুলে যায়, সে কেয়ামতের দিন আল্লাহর দরবারে এমন অবস্থায় আসবে যে, কুষ্ঠ রোগের কারণে তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেন খসে খসে পড়ছে।’ (আবু দাউদ : ১৪৭৪) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/14328
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কাগজে লিখিত কুরআনকে ঘর থেকে বের করে দিলেই যে, কুরআনের অভিশাপ থেকে বাঁচা যাবে, বিষয়টা এমন না, বরং উদ্দেশ্য হল, কুরআন তিলাওয়াত না করা। কুরআন তিলাওয়াত না করলে, মানুষ সূরাকে ভুলে যাবে, এবং এই ভুলে যাওয়া সূরাটাই কিয়ামতের ময়দানে ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করবে।
(৩)
গভীর পানিতে কিছুর সাথে বেধে ফেলে দিবেন।