আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
226 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম।

আমি এক মেয়েকে তার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করি। এরপর মাঝে মাঝে আমরা একাকি ঘরে সময় কাটাই। কিন্তু আমার স্ত্রী আমাকে কখনই তার যোনিতে গোপনাঙ্গ প্রবেশ করতে দিতোনা। সর্বদা বাঁধা দিতো এবং তার বাঁধার কারণে কখনই তা পেরে উঠতে পারিনি। তবে আমার উভয়ে নগ্ন অবস্থায় বির্যপাত ঘটত।
এরমধ্যে আমাদের সময়ে সময়ে তিন তালাক হয়ে যায়। এক্ষেত্রে একে কি খালওয়াতে সাহিহা বিবেচনা করা হবে নাকি খালওয়াতে ফাসিদা বিবেচনা করা হবে? এবং উক্ত ঘটনায় কি ১ তালাক পতিত হবে নাকি ৩ তালাকই পতিত হবে?

জাযাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বিয়ের বিবস্ত্র অবস্থায় স্বামী স্ত্রী একই রুমে ছিলো, তবে সহবাস হয়নি, এবং সহবাস করতে স্ত্রী বাধা প্রধান কারী। এক্ষেত্রে খালওয়াতে সহীহা হবে কি না? প্রশ্নটি খুবই স্পর্শকাতর। তাই দারুল উলূম দেওবন্দের একটি ফাতাওয়া সুওয়াল জওয়াব সহকারে উল্লেখ করছি।

উক্ত জবাবের খুলাসা হল,
স্ত্রী কর্তৃক সহবাসে বাধা প্রদান খালওয়াতে সহীহা হওয়ার জন্য কোনো সমস্যা তৈরী করবে না।বরং এক্ষেত্রে খালওয়াতে সহীহা হবে এবং একাধিক তালাক পতিত হবে এবং স্ত্রী পূর্ণ মহর পাবে।

سوال:سوال یہ ہے کہ ایک لڑکا اور لڑکی کا نکاح ہوا، لیکن رخصتی کبھی نھیں ہوئی تھی۔ نکاح کے بعد 3-4مرتبہ دونوں نے علیحدگی میں ملاقات ضرور کی لیکن کبھی بھی دونوں کے درمیان بوس و کنار اورہاتھ تھامنے سے زیادہ کوئی معاملہ نہ ہوا۔ ان ملاقاتوں میں دونوں کے درمیان جماع کبھی نہ ہوا اور بیوی نکاح کے بعد بھی تمام عرصہ کنواری تھی۔ ان ملاقاتوں میں لڑکی یا تو اپنے خاص ایام میں تھی یاملاقات تنہائی کے باوجود کسی ایسے مقام پہ تھی کہ کسی نا کسی کے آجانے کا خدشہ ہوتا تھا یا حالات جماع کے لئے مناسب نہ تھے کہ آواز کسی کو جاتی یا کوئی مدخل ہو جاتا یا کوئی ان کو اس حال میں دیکھ سکتا تھا ۔ ملاقاتوں میں دونوں کے درمیان جماع کی کوئی نیت بھی نہیں تھی اور لڑکی کی شرط بھی شادی اور ان ملاقاتوں کے لیے یہ ہی تھی کہ وہ رخصتی سے پہلے جماع نہیں کرنا چاہتی اور لڑکا بھی اس شرط پہ دل سے بخوشی راضی تھا۔گو یہ کہ ملاقاتیں ایک حد سے آگے کبھی نہیں گئی۔ نکاح کے کچھ عرصہ بعد دونوں کے درمیان اختلافات ہوئے اور لڑکے نے فون پہ لڑکی سے کہا کہ "میں نے تمہیں پہلی طلاق دی" اور فون بند کر دیا۔ اس کے بعد دونوں میں کوئی رابطہ و رجوع نہ ہوا۔ اگلے دن معاملات مزید بگڑنے پہ لڑکے نے وآٹس ایپ پر 3 دفعہ اس طرح میسج کیا کہ "میں نے تمہیں طلاق دی-میں نے تمہیں طلاق دی- میں نے تمہیں طلاق دی۔" اور رشتہ ختم کردیا- لڑکی کا اس کے بعد کہیں نکاح یا منگنی نہیں ہوئی ۔ لڑکی اب بھی کنواری اور مطلقہ ہے ۔ کیا اب اس لڑکی کا واپس اسی پہلے لڑکے سے بناء حلالہ کے نکاح ممکن ہے ؟ جبکہ دونوں کے درمیان پہلے نکاح میں میاں بیوی والی خاص قربت و دخول کبھی بھی نھیں ہوا تھا ۔ لڑکا اور لڑکی دونوں اس بات کا حلف بھی اٹھاتے ہیں کے ان دونوں کے درمیان کبھی کوئی ازدواجی قربت نہیں ہوی رہنمائی فرمایں۔لڑکی کی طبی رپورٹ کے مطابق بھی لڑکی کنواری ہے ۔

جواب نمبر: 150536
بسم الله الرحمن الرحيم
Fatwa: 893-1053/sn=10/1438
اگر نکاح کے بعد لڑکا اور لڑکی کی کسی کمرے میں خلوت صحیحہ ہوجائے اگرچہ اس دوران ہمبستری؛ بلکہ بوس وکنار تک نہ ہوا ہو، پھر لڑکا لڑکی کو کسی وجہ سے تین طلاق دیدے خواہ ایک جملہ میں دے یا متعدد جملوں میں یا متعدد اوقات میں تو لڑکی پر تینوں طلاقیں واقع ہوجاتی ہیں اور وہ اپنے شوہر پر حرمتِ غلیظہ کے ساتھ حرام ہوجاتی ہے، بلا حلالہٴ شرعی ان دونوں کا ایک ساتھ ازدواجی زندگی گزارنا قطعاً جائز نہیں ہوتا۔ اور صورتِ مسئولہ میں بھی چونکہ نکاح کے بعد لڑکا اور لڑکی کے درمیان تنہائی اور خلوت صحیحہ متحقق ہوچکی ہے؛ اس لیے لڑکی پر تینوں طلاقیں واقع ہوچکی ہیں اور لڑکی حرمت غلیظہ کے ساتھ لڑکے پر حرام ہوگئی، اب حلالہٴ شرعی کے بغیر ان دونوں کا ایک ساتھ ازدواجی زندگی گزارنا جائز نہیں ہے، یہاں یہ بات واضح رہے کہ ایک طلاق سے بائنہ بلاعدت ہونے اور آئندہ کی طلاقیں نہ پڑنے کا مدار عدم ہمبستری پر نہیں؛ بلکہ ”عدم خلوتِ صحیحہ“ پر ہے؛ لہٰذا صورت مسئولہ میں لڑکی کا ابھی تک کنواری ہونا اس پر تین طلاق واقع ہونے میں مانع نہ بنے گا؛ کیوں کہ ”خلوتِ صحیحہ“ جو مدارِ حکم ہے اس کا تحقق ہوچکا ہے


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...