আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
571 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু।

মুসলিম ও অমুসলিম উপস্থিত আছেন এমন বৈঠকে কথা শুরু করার আগে কি সবাইকে সালাম দিয়ে শুরু করা যাবে? এতে কি অমুসলিমদেরকেও সালাম দেয়া হবে?
জাযাকাল্লাহ খাইর।
closed

1 Answer

+1 vote
by (597,330 points)
selected by
 
Best answer
সমাধানঃ-
আল্লামা হাসক্বফী রাহ বলেনঃ 
قال العلامة الحصكفي في الدر المختار 
(ﻭﻳﺴﻠﻢ) اﻟﻤﺴﻠﻢ (ﻋﻠﻰ ﺃﻫﻞ اﻟﺬﻣﺔ) ﻟﻮ ﻟﻪ ﺣﺎﺟﺔ ﺇﻟﻴﻪ ﻭﺇﻻ ﻛﺮﻩ ﻫﻮ اﻟﺼﺤﻴﺢ ﻛﻤﺎ ﻛﺮﻩ ﻟﻠﻤﺴﻠﻢ ﻣﺼﺎﻓﺤﺔ اﻟﺬﻣﻲ ﻛﺬا ﻓﻲ ﻧﺴﺦ اﻟﺸﺎﺭﺡ ﻭﺃﻛﺜﺮ اﻟﻤﺘﻮﻥ ﺑﻠﻔﻆ ﻭﻳﺴﻠﻢ ﻓﺄﻭﻟﺘﻬﺎ ﻫﻜﺬا ﻭﻟﻜﻦ ﺑﻌﺾ ﻧﺴﺦ اﻟﻤﺘﻦ. ﻭﻻ ﻳﺴﻠﻢ ﻭﻫﻮ اﻷﺣﺴﻦ اﻷﺳﻠﻢ ﻓﺎﻓﻬﻢ
মুসলমানের বিশেষ কোনো প্রয়োজন থাকলে সে অবশ্য কোনো অমুসলিমকে আগ বাড়িয়ে সালাম প্রদাণ করতে পারবে নতুবা মাকরুহ হবে।যেমন একজন মুসলমানের জন্য অমুসলিমের সাথে মুসাফাহা করা মাকরুহ।

অতঃপর তিনি লিখেন,
ﻭﻟﻮ ﺳﻠﻢ ﻳﻬﻮﺩﻱ ﺃﻭ ﻧﺼﺮاﻧﻲ ﺃﻭ ﻣﺠﻮﺳﻲ ﻋﻠﻰ ﻣﺴﻠﻢ ﻓﻼ ﺑﺄﺱ ﺑﺎﻟﺮﺩ(ﻭ) ﻟﻜﻦ (ﻻ ﻳﺰﻳﺪ ﻋﻠﻰ ﻗﻮﻟﻪ ﻭﻋﻠﻴﻚ) ﻛﻤﺎ ﻓﻲ اﻟﺨﺎﻧﻴﺔ (ﻭﻟﻮ ﺳﻠﻢ ﻋﻠﻰ اﻟﺬﻣﻲ ﺗﺒﺠﻴﻼ ﻳﻜﻔﺮ) ﻷﻥ ﺗﺒﺠﻴﻞ اﻟﻜﺎﻓﺮ ﻛﻔﺮ ﻭﻟﻮ ﻗﺎﻝ ﻟﻤﺠﻮﺳﻲ ﻳﺎ ﺃﺳﺘﺎﺫ ﺗﺒﺠﻴﻼ ﻛﻔﺮ ﻛﻤﺎ ﻓﻲ اﻷﺷﺒﺎﻩ ﻭﻓﻴﻬﺎ: ﻟﻮ ﻗﺎﻝ ﻟﺬﻣﻲ ﺃﻃﺎﻝ اﻟﻠﻪ ﺑﻘﺎءﻙ ﺇﻥ ﻧﻮﻯ ﺑﻘﻠﺒﻪ ﻟﻌﻠﻪ ﻳﺴﻠﻢ ﺃﻭ ﻳﺆﺩﻱ اﻟﺠﺰﻳﺔ ﺫﻟﻴﻼ ﻓﻼ ﺑﺄﺱ ﺑﻪ.
যদি কোনো ইহুদী বা খৃষ্টান বা অগ্নিপূজক  মুসলমানকে সালাম করে তাহলে তাহলে জবাব প্রদাণ করতে কোনো সমস্যা নেই।তবে জবাব প্রদাণের সময় অবশ্যই "ওয়া আলাইকা" এর বেশী বলবে না।
কিন্তু যদি কোনো মুসলমান কোনো যিম্মি অমুসলিমকে সম্মাণ প্রদর্শন করে সালাম প্রদাণ করে,তাহলে সে কুফুরী কাজ করবে।
কেননা কাফিরকে সম্মাণ প্রদর্শন করা কুফুরী। ঠিকতেমনিভাবে যদি কেউ কোনো অগ্নিপূজককে সম্মাণ প্রদর্শন করে বলে, হে উস্তাদ!তাহলে সেও কুফুরী করবে।
যদি কোনো মুসলিম কোনো যিম্মি/অমুসলিমকে বলে,আল্লাহ তোমার হায়াত বৃদ্ধি করুক,এবং সে মনে মনে এ ধারণা রাখে যে,হয়তো সে ইসলাম গ্রহণ করবে অথবা জিযিয়া প্রদাণ করবে,তাহলে এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই।


ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেনঃ 
وقال ابن عابدين في ردالمحتار تحت قوله : "ويسلم المسلم علي أهل الذمة" الخ
(لكنَّ ﻓِﻲ اﻟﺸِّﺮْﻋَﺔِ ﺇﺫَا ﺳَﻠَّﻢَ ﻋَﻠَﻰ ﺃَﻫْﻞِ اﻟﺬِّﻣَّﺔِ ﻓَﻠْﻴَﻘُﻞْ: اﻟﺴَّﻼَﻡُ ﻋَﻠَﻰ ﻣَﻦْ اﺗَّﺒَﻊَ اﻟْﻬُﺪَﻯ ﻭَﻛَﺬَﻟِﻚَ ﻳَﻜْﺘُﺐُ ﻓِﻲ اﻟْﻜِﺘَﺎﺏِ ﺇﻟَﻴْﻬِﻢْ اﻩـ. ﻭَﻓِﻲ اﻟﺘَّﺘَﺎﺭْﺧَﺎﻧِﻴَّﺔ ﻗَﺎﻝَ ﻣُﺤَﻤَّﺪٌ: ﺇﺫَا ﻛَﺘَﺒْﺖَ ﺇﻟَﻰ ﻳَﻬُﻮﺩِﻱٍّ ﺃَﻭْ ﻧَﺼْﺮَاﻧِﻲٍّ ﻓِﻲ ﺣَﺎﺟَﺔٍ ﻓَﺎﻛْﺘُﺐْ اﻟﺴَّﻼَﻡُ ﻋَﻠَﻰ ﻣَﻦْ اﺗَّﺒَﻊَ اﻟْﻬُﺪَﻯ اﻩ)
(ردالمحتار علي الدرالمختار ج٦:ص٤١٢;)
তবে শরীয়তের বিধান হলো, যখন কেউ অমুসলিমকে সালাম প্রদাণ করতে যাবে,
সে যেন "আস্সালামু আ'লা মান ইত্তাবা'ল হুদা" বলে,এবং লিখার প্রয়োজন হলে লিখে।
তাতারখানিয়া বর্ণিত রয়েছে, ইমাম মুহাম্মদ রাহ বলেনঃ 
যখন তোমি কোনো ইহুদী বা খৃষ্টান কাছে চিঠি লিখবে,তখন তুমি "আস্সালামু আ'লা মান ইত্তাবা'ল হুদা" লিখে পাঠাবে।
রদ্দুল মুহতার-৬/৪১২
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।


সুুু-প্রি য়প প্্র্র্র্র্র্র্র শ্নকারীশ্নকাশ্নকশ্নশ্শ

জ্্ব্বী  যাাাবেব

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু এখানে মুসলিম অমুসলিম সবাই আছেন।সুতরাং মুসলিমদের প্রতি লক্ষ্য রেখে বলা হবে,যে এমতাবস্থায় সালাম দেয়া যাবে।নিয়ত মুসলমানকে রাখতে হবে।তবে যদি কাফিরের সংখ্যা বেশী থাকে,তাহলে বলতে হবে,
আসসালামু আলা মানিত্তাবা'আল হুদা





(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
+3
সংশোধন করা হয়েছে

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...