আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
249 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (18 points)
ক । এখানে সংখ্যাটা লিখা হয়ে গেছে তখন আমি মনে মনে বলছিলাম কখনোই না কখনোই না মানে কখনোই তালাক না। আমার সংখ্যা লিখা হওয়ার গেছে কখনোই নাও মনে মনে সাথে সাথে কয়েকবার বলসি।এর পরে ইচ্ছাকৃত মনে করসি আমার নিজের ওপর তালাক। এভাবেকি তালাক হয়ে গেছে?

খ ওপরের প্রশ্নে কয়েকবার কিখার সময় এবং এখনো কয়েকবার লিখার সময় মনে আসে নিজের ওপর কয়েকবার তালাক। মনে হয় আমি যেনো ইচ্ছা করে বলি। কিন্তু আমি ইচ্ছা করে বলিনা। এভাবেকি তালাক হয়ে গেছে??

গ । আমার সংখ্যা লিখা হয়ে গেছে কখনোই নাও মনে মনে সাথে সাথে কয়েকবার। এখানে এই কয়েকবার বলার সময় কেউ ইচ্ছাকৃত নিজের ওপর তালাক নিলে সেটা কি। হয়ে যাবে??এটাতো কেনায়া শব্দ না
ঘ । আমি শান্তিতে ব্রাশ ও করতে পারিনা। ব্রাশ করে গেলেও ভয় লাগে আমার অসচেনোটায় তালাক শব্দটা মুখ থেকে বের হয়ে যায়?জিহবা যদি নড়ে।

ঙ । সুধু  জিহবা নড়ে তালাক শব্দটা স্পষ্ট উচ্চারণ ও হয়নি আমার মনের সন্দেহ উচ্চারণ হইসে কিনা এগাবে কি তালাক হয়ে যায়?

চ। আলহামদুলিল্লাহ, বিসমিল্লাহ, ইনাশাল্লাহ বা অন্য কোনো আরবি দুয়া, হ্যালো, কেউ মারা গেছে শুনলেনসেই দুয়াটাও পড়তে পারিনা। এগুলোতো কেনায়া বাক্য না তবুও বলতে ভয় লাগে। কথা বললেই আন্দেহ হয় আমি কি উল্টা পাল্টা কিছু বলসি কিনা

ছ নামাজ ও পড়তে পারছিনা সূরা গুলা পড়ার সময় নিজের ওপর তালাক কথাটা চলে আসে। রুকু সিজদাতেও এমন হয়। কি করবো নামাজ না পড়লেতো গুনাও হবে। আমি ভয়ে নামাজে দাঁড়ায় না।

জ প্রশ্ন করার জন্য বার বার যে নিজের ওপর তালাক লিখছি এখানেও মনে আসতেসে আমি কি নিজের ওপর সত্যিই নিলাম কিনা অথচ আমার এমন ইচ্ছা নাই। আমি সংসার করতে চাই। এখানে নিজের ওপর তালাক না লিখি আগে তারপর না মুছে দেই। এভাবেই না টা মুছে দেওয়ার কারণে কি তালাক হবে???

ঝ।বাচ্চাদের খেলনা আছে যেগুলো একটার সাথে আরেকটা লাগাইতে হয় ঐগুলো নিয়ে আমি বাবুর সাথে খেলতেসিলাম তখন খেলনা গুলার জোড়া ভেঙে  গেছে। তখন আমার মনে আসে আমার সংজ্ঞাসার আমি ফেলসি তারপর তালাক না তালাক না মনে মনে বলতেসিলাম নাকি যেনো আল্লাহর মাফ করো বলতেসিলাম এরপরে মনে আসে নিজের ওপর তালাক বলসি কিনা পরে মনে হলো এটাতো বলিনি  আমি। এভাবেই কি তালাক হয়ে গেছে?

ম। কোথাও নামাবরা লিখার সময় মনে মনে তালাক না তালাক না বলতেসিলাম নাকি যেনো কখনোই না কখনোই না বলতেসিলাম এর মাঝেই একবার মনে চলে আসে নিজের ওপর তালাক এটা মনে হলো আমি ইচ্ছা করে মনে আনসি কিন্তু এটা আমার ইচ্ছাকৃত না। আমি এইসব মনে আনা বন্ধ করতে পারিনা। এভাবেই কি তালাক হয়ে গেছে??

প।কেউ যদি নাম্বার ল্যাপটপ এ নাম্বার লিখার সময় ইচ্ছা করে মনে মনে বলে নিজের ওপর তালাক  তাহলেকি তালাক হয়ে যাবে??বা নিজের ওপর উক্ত সংখ্যা তালাক  তাহলেকি তালাক হয়ে যাবে??

ডাক্তার বলসে আমি OCD  রুগী।মানসিক রোগে আক্রান্ত মানুষের তালাক নাকি গণ্য হয়না আমার বেলায় ও কি তাই হবে?? আমিতো ইচ্ছাকী তালাকের কথা মনে করিনা অথকো সারাদিন আমার মাথায় এসব ঘুরে। আমি

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

 তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার সম্পূর্ণ প্রশ্ন পড়ে যা বুঝলাম।আপনি OCD রোগে আক্রান্ত। সুতরাং আপনার কোনো তালাকই গ্রহণযোগ্য হবে না। অযথা তালাকের চিন্তাকে পরিহার করুন। এবং OCD রোগের চিকিৎসা গ্রহণ করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...