ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সাবালক হওয়ার পর থেকে সকল কা'যা নামাযকে আদায় করতে হবে।এক্ষেত্রে কা'যা নামাযকে আদায় না করে শুধুমাত্র তাওবাহ ইস্তেগফার যথেষ্ট হবে না।বরং অবশ্যই আদায় করতে হবে।এবং সাথে সাথে তাওবাহ ইস্তেগফার জারী রাখতে হবে।
জীবনে কতটি দিন বা মাস কিংবা বৎসরের নামায কা'যা হয়েছে,সে বিষয়ে অধিকাংশ ধারণার উপর ভিত্তি করেই মূলত নামায-কে কা'যা করতে হবে।যখন মনের মধ্যে পূর্ণ ঈয়াক্বিন চলে আসবে যে,এখন থেকে আরো কোনো নামায কা'যা নেই।তখন থেকেই কা'যা নামায কে সমাপ্ত করা হবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) ফজরের ওয়াক্তে প্রথমে কাজা ২ রাকাত ফরজ নামাজ (সম্ভব হলে সন্নত সহ)পড়ে নিবেন।তারপর ওয়াক্তের নামায পড়ে নিবেন।
(২) যোহরের সময় ,প্রথমে কাজা ৪ রাকাত ফরজ নামাজ (সম্ভব হলে সুন্নত সহ) পড়ে নিবেন ,তারপর ওয়াক্তের নামায পড়ে নিবেন। অথবা ওয়াক্তের নামায প্রথমে তারপর কা'যা নামায পড়ে নিবেন।
(৩) আসরের সময় প্রথমে ৪ রাকার কাজা নামাজ পড়ে নিবেন, তারপর ওয়াক্তের নামায পড়ে নিবেন।
(৪) মাগরীবের সময় প্রথমে ওয়াক্তের নামায পড়ে নিবেন, তারপর কাযা নামায পড়ে নিবেন।
(৫) এশার সময় প্রথমে ওয়াক্তের নামায পড়ে নিবেন তারপর কাযা নামায পড়ে নিবেন।